ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশে সর্বোচ্চ শনাক্তের দিনে ১৯৯ জনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০০:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৭ জনের প্রাণহানি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একইসমেয় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্র্গ নিয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩৩ জনের শরীরে। গতকাল মেহেরপুরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। গতকাল জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩৩ জনের শরীরে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ চুয়াডাঙ্গার ৪০৫টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ১৩৩টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ ও ২৭২টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। জেলায় নতুন আক্রান্ত ১৩৩ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৬০ জন, আলমডাঙ্গার ৩৩ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ২৩ জন রয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২.৮৩ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৪ হাজার ৩৯৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ৮৭৬ জন, আলমডাঙ্গার ৭৩০ জন, দামুড়হুদায় ৯৩৯ জন ও জীবননগরে ৮৪৭ জন। গতকাল জেলায় নতুন ৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ২ হাজার ৩৯২ জন।
গতকাল জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে মৃত্যু হওয়া দুজনসহ করোনায় ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে ইয়োলো জোনে আরও চারজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হলো ১৩১ জনের। এরমধ্যে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলায় ও করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ জেলার বাইরে।
গতকাল সদর হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া দুজন হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বড় শলুয়া গ্রামের হবিবার রহমানের স্ত্রী আাকলিমা বেগম ৩৫ ও একই উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর স্ত্রী পারুলা খাতুন (৪৬)।
সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া অন্য চারজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নূরনগরের হাশেম উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৫৫), সদর উপজেলার শেয়ালমারী গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫০), দামুড়হুদা উপজেলার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের তারাচাঁদের ছেলে সুন্নত আলী (৮০) ও আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে আনসার হোসেন (৬৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য গত সোমবার ৩৭২টি, মঙ্গলবার ৩৪৫টি ও বুধবার ৩৯৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে ৪০৫টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ৩৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ১৬ হাজার ৩০৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ১৫ হাজার ৮০৭টি, পজিটিভ ৪ হাজার ৩৯৯ জন। জেলায় বর্তমানে ১ হাজার ৮৭৩ জন হোম আইসোলেশন ও হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছে। এরমধ্যে হোম আইসোলেশনে আছে ১ হাজার ৭৪৬ জন ও হাসপাতাল আইসোলেশনে ১২৭ জন।
মেহেরপুর:
মেহেরপুরে করোনা ও উপসর্গে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজন ও উপসর্গ নিয়ে আরও চারজন। একই সময়ে জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৬৮ জনের শরীরে। নতুন আক্রান্ত ৬৮ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৪০ জন, গাংনীর ২৪ জন ও মুজিবনগরে ৪ জন রয়েছে। এনিয়ে জেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৬৪ জন। গতকাল মেহেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ ২১৩টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৬৮টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সারা দেশ:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এনিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৭৯২ জনে। গত ১২দিন ধরে করোনায় শতাধিকের ওপরে মৃত্যু দেখছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে। এর আগে ৬ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি নমুনা। যেখানে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৪৪ জন। এনিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ ১০৭ জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৩৩ জন ও মহিলা ৬৬ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ১২ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে ৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন মারা গেছেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই করেনায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দেশে সর্বোচ্চ শনাক্তের দিনে ১৯৯ জনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১১:০০:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৭ জনের প্রাণহানি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একইসমেয় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্র্গ নিয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩৩ জনের শরীরে। গতকাল মেহেরপুরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ জন।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। গতকাল জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩৩ জনের শরীরে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ চুয়াডাঙ্গার ৪০৫টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ১৩৩টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ ও ২৭২টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। জেলায় নতুন আক্রান্ত ১৩৩ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৬০ জন, আলমডাঙ্গার ৩৩ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ২৩ জন রয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২.৮৩ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৪ হাজার ৩৯৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ৮৭৬ জন, আলমডাঙ্গার ৭৩০ জন, দামুড়হুদায় ৯৩৯ জন ও জীবননগরে ৮৪৭ জন। গতকাল জেলায় নতুন ৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ২ হাজার ৩৯২ জন।
গতকাল জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে মৃত্যু হওয়া দুজনসহ করোনায় ছয়জন ও উপসর্গ নিয়ে ইয়োলো জোনে আরও চারজনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হলো ১৩১ জনের। এরমধ্যে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলায় ও করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ জেলার বাইরে।
গতকাল সদর হাসপাতালের রেড জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া দুজন হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বড় শলুয়া গ্রামের হবিবার রহমানের স্ত্রী আাকলিমা বেগম ৩৫ ও একই উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর স্ত্রী পারুলা খাতুন (৪৬)।
সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া অন্য চারজন হলেন- চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার নূরনগরের হাশেম উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৫৫), সদর উপজেলার শেয়ালমারী গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৫০), দামুড়হুদা উপজেলার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের তারাচাঁদের ছেলে সুন্নত আলী (৮০) ও আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে আনসার হোসেন (৬৫)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য গত সোমবার ৩৭২টি, মঙ্গলবার ৩৪৫টি ও বুধবার ৩৯৪টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে ৪০৫টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আরও ৩৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ১৬ হাজার ৩০৭টি, প্রাপ্ত ফলাফল ১৫ হাজার ৮০৭টি, পজিটিভ ৪ হাজার ৩৯৯ জন। জেলায় বর্তমানে ১ হাজার ৮৭৩ জন হোম আইসোলেশন ও হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছে। এরমধ্যে হোম আইসোলেশনে আছে ১ হাজার ৭৪৬ জন ও হাসপাতাল আইসোলেশনে ১২৭ জন।
মেহেরপুর:
মেহেরপুরে করোনা ও উপসর্গে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনজন ও উপসর্গ নিয়ে আরও চারজন। একই সময়ে জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৬৮ জনের শরীরে। নতুন আক্রান্ত ৬৮ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ৪০ জন, গাংনীর ২৪ জন ও মুজিবনগরে ৪ জন রয়েছে। এনিয়ে জেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৬৪ জন। গতকাল মেহেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ ২১৩টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৬৮টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সারা দেশ:
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে একদিনে করোনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এনিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৫ হাজার ৭৯২ জনে। গত ১২দিন ধরে করোনায় শতাধিকের ওপরে মৃত্যু দেখছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৬৫১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে। এর আগে ৬ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ হাজার ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি নমুনা। যেখানে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৪৪ জন। এনিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ ১০৭ জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৯ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুজন রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৩৩ জন ও মহিলা ৬৬ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ১২ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। একই সময়ে বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৫ জন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে ৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন মারা গেছেন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই করেনায় মৃত্যু বেড়েই চলেছে।