ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশে করোনায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে । এ সময় নতুন করে ১ হাজার ২৮৫ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৮৭৮ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ তথ্য জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০৩টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮৫ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারও সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এখন লকডাউন শিথিল হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবার খারাপ আকার ধারণ করতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি। গত শনিবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য প্রকাশ করে। গতকাল সিভিল সার্জন অফিসে পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে একটি নমুনার ফলাফল আসে। এই নমুনায় করোনা পরীক্ষার ফলাপল নেগেটিভ আসে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৭৭ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৯৬ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৫৭ জন, দামুড়হুদায় ৩২৫ জন ও জীবননগরে ২০০ জন। গতকাল জেলায় নতুন করে আরও ৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার দুইজন ও দামুড়হুদার চারজন রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭৬৫ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৪৭জন, আলমডাঙ্গার ৩৩৪ জন, দামুড়হুদার ৩০০ জন ও জীবননগরের ১৮৪ জন।
জানা যায়, গত শুক্রবার জেলা স্বাস্থবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য কোন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ না করায় গতকাল পূর্বের পেন্ডিং থাকা একটি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য নতুন ২২টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। এনিয়ে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৮৪টি।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ৩৮৪টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৯ হাজার ১৫২টি, পজিটিভ ১ হাজার ৮৭৮টি ও নেগেটিভ ৭ হাজার ২৪০টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৫৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন, আলমডাঙ্গায় ৫ জন, দামুড়হুদায় ১৪ জন ও জীবননগরে ১২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৪৭ জন হোম আইসোলেশন আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, আলমডাঙ্গায় ৪ জন, দামুড়হুদায় ১৪ জন ও জীবননগরে ১২ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ৪ জন, আলমডাঙ্গার ১ জনসহ ৫জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ৩ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২১ জন, আলমডাঙ্গায় ১৬ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৪ জন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।
চুয়াডাঙ্গায় সর্বোষেশ গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল করিম (৮০) নামের এক বৃদ্ধর মৃত্যু। নিহত আব্দুল করিম আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দেশে করোনায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ০৮:৪৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদক:
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে । এ সময় নতুন করে ১ হাজার ২৮৫ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ১১ হাজার ৮৭৮ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ লাখ ৭২ হাজার ১২৭ জন। গতকাল শনিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ তথ্য জানা যায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০৩টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৮৫ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বুঝতে পারার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই মহামারিকালে গত বছরের ডিসেম্বেরের শেষ দিক থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাস দুয়েক পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। মার্চ থেকে শুরু হয় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মার্চের শেষ দিকে এসে দেশে নতুন রোগী বাড়তে শুরু করে লাফিয়ে। সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু। সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যদিও তা ছিল ঢিলেঢালা। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আবারও সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দেওয়া লকডাউনের প্রভাবে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এখন লকডাউন শিথিল হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না গেলে যেকোনো সময় পরিস্থিতি আবার খারাপ আকার ধারণ করতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা:
চুয়াডাঙ্গায় নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি। গত শনিবার রাত আটটায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ তথ্য প্রকাশ করে। গতকাল সিভিল সার্জন অফিসে পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে একটি নমুনার ফলাফল আসে। এই নমুনায় করোনা পরীক্ষার ফলাপল নেগেটিভ আসে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৭৭ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৯৬ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৫৭ জন, দামুড়হুদায় ৩২৫ জন ও জীবননগরে ২০০ জন। গতকাল জেলায় নতুন করে আরও ৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার দুইজন ও দামুড়হুদার চারজন রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৭৬৫ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৪৭জন, আলমডাঙ্গার ৩৩৪ জন, দামুড়হুদার ৩০০ জন ও জীবননগরের ১৮৪ জন।
জানা যায়, গত শুক্রবার জেলা স্বাস্থবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য কোন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ না করায় গতকাল পূর্বের পেন্ডিং থাকা একটি নমুনার ফলাফল সিভিল সার্জন অফিসে আসে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য নতুন ২২টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে। এনিয়ে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৩৮৪টি।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ৯ হাজার ৩৮৪টি, প্রাপ্ত ফলাফল ৯ হাজার ১৫২টি, পজিটিভ ১ হাজার ৮৭৮টি ও নেগেটিভ ৭ হাজার ২৪০টি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৫৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিল। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জন, আলমডাঙ্গায় ৫ জন, দামুড়হুদায় ১৪ জন ও জীবননগরে ১২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৪৭ জন হোম আইসোলেশন আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, আলমডাঙ্গায় ৪ জন, দামুড়হুদায় ১৪ জন ও জীবননগরে ১২ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ৪ জন, আলমডাঙ্গার ১ জনসহ ৫জন। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গার বাইরে রয়েছেন আরও ৩ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৫২ জনের। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২১ জন, আলমডাঙ্গায় ১৬ জন, দামুড়হুদায় ১১ জন ও জীবননগরে ৪ জন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।
চুয়াডাঙ্গায় সর্বোষেশ গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল করিম (৮০) নামের এক বৃদ্ধর মৃত্যু। নিহত আব্দুল করিম আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে।