ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দেশজুড়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তান্ডবে নিহত ৬, আহত ৩শ’

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮
  • / ১২৬০ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ দেশের ১৮ জেলায় সহ¯্রাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড : উঠতি ফসলে ব্যাপক ক্ষতি
শিশু গাছ ভেঙ্গে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে যানজট : এক ঘন্টার চেষ্টায় যান চলাচল স্বাভাবিক
নিজস্ব প্রতিবেদক: চৈত্রের আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তা-বে গতকাল চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ দেশের অন্তত ১৮ জেলায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বৃহদাকার শিলা ও বাজ পড়ে রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, মাগুরা ও ভৈরবে মারা গেছেন ৬ জন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৩শ’ মানুষ। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে বহু গবাদিপশুও মারা গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের। নষ্ট হয়েছে কৃষকের স্বপ্নের বোরো ধান। প্রচ- বাতাসে উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় বিভিন্ন এলাকা। শিলাবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে শত শত ঘরের টিনের চালা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষের হাহাকার নেমে আসে। গতকাল ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়। এদিকে, এছাড়া হঠাৎ ঝড়সহ শিলা বৃষ্টিতে আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলিতে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের উপর একটি শিশু গাছ ভেঙ্গে পড়লে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঝড় ও সেইসাথে শিলা বৃষ্টি শুরু হলে রোয়াকুলি নামকস্থানে সড়কের পাশের একটি শিশু গাছ ভেঙ্গে মুল সড়কের উপর এসে পড়ে। এতে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা অভিমূখীসহ বিভিন্ন গন্তব্যের যানবাহন দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় সড়কের উপর ভেঙ্গে পড়া গাছটি আরো ১ঘন্টা চেষ্টায় অপসারন করলে যান চলাচল শুরু হয়। অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গায় প্রচন্ড বেগে কাল বৈশাখী ঝড়ে কাঁচা, আধা পাকা প্রায় ঘর বাড়ীর ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এই ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে মাঠের ধান, ভুট্টাসহ বিবিধ ফসল, ফলজ এবং বনজ বৃক্ষেরও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে অটোরিকশা উলটে চালক মুনতাজ নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়ে। অপরদিকে ঝড়ের আগেই চুয়াডাঙ্গা শহরসহ বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ সরববাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাতভর চলতে থাকে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায়। অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে চুয়াডাঙ্গাবাসি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জানান, জেলা সদর চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার উপর দিয়ে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার বেগে কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। সেই সাথে বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টি হওয়ায় একদিকে যেমন কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়েছে অপরদিকে জেলার বিভিন্ন স্থামে কাঁচা আধা কাঁচাপাকা টিন ও খড়ের ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে সহস্্রাধিক ঘর বাড়ী’ চাল উড়ে গেছে । এছাড়া ফলস ও বোনজ গাছগাছালী উপড়ে ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দর্শনা অফিস জানেিয়ছে, হঠাৎ ঝড়ে দর্শনাসহ আশে পাশের জমির ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতিগ সাধিত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টা দিকে উত্তর পশ্চিম কোন থেকে ধুলী ঝড় শুরু হয়। এসময় রাস্তঘাট ধুলোয় অন্ধাকর হয়ে যায়। তখন চলাচলকারী পথচারীরা দিক বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। প্রায় ১০/১৫ মিনিটের ঝড়ে এলাকার জমির ফসল ও আধাকাঁচা ঘরবাড়ি এবং গাছপালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পরানপুর ধাপাড়ী মাঠে লুল্লু মিয়ার পেঁপ ক্ষেত, কলা বাগান ও পরানপুর গ্রামের হালিমের টিনের ঘর ও লোকনাথপুর সহ-শিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিন সেড ও দেওয়াল ভেঙ্গে লোকনাথপুর- কাদিপুর সড়কে উপরে পড়ে থাকতে গেছে। এছাড়া ডুগডুগি হাট পাড়ার বেশ কিছু ঘর বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে এবং দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে পাশের ইপিল-ইপিল ও চটকা গাছের ডাল ভেঙ্গে সড়কে পড়ে। কোথাও কোথাও গাছ ভেঙ্গে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আকর্ষিক এ ঝড়ের পর হালকা কয়েক ফোটা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। আমাদের গাংনী অফিস জানিয়েছে, গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, তামাক, উঠতি ফসলসহ কৃষি খাতে ও টিনের ঘরগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে হঠাৎ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছু সময়ে অবিরাম শিলাবৃষ্টিতে মাঠের বোরো ধান, তামাক, পাকা গম, ভুট্টা, আম ও বিভিন্ন সবজিসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পাশাপাশি টিনের ঘর, স্কুল ও টিনদিয়ে নির্মিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাংনী উপজেলার বামন্দী এলাকার মিনারুল ইসলাম জানান, শিলাবৃষ্টিতে নিজের টিনের ঘর ঝাজরা হয়ে গেছে। এই ঘরে বর্তমান বসবাসের মত অবস্থা নেই।

এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে মাঠের বোরো ধানসহ উঠতি ফসল সব শেষ হয়ে গেছে। রাইপুর ইউনিয়নের কড়–ইগাছি গ্রামের ৩নং- ইউপি সদস্য বকুল হোসেন বলেন, এতো পরিমাণ শিলাবৃষ্টি আমার জীবনে দেখিনি। আমার মাঠের তামাকসহ মাঠের বোরো ধান ও সবজি ফসল এবং টিনের ঘর ঝাজরা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে বলেও তিনি জানান। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম সাহাব উদ্দীন জানান, শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দেশজুড়ে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তান্ডবে নিহত ৬, আহত ৩শ’

আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মার্চ ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ দেশের ১৮ জেলায় সহ¯্রাধিক বাড়িঘর লন্ডভন্ড : উঠতি ফসলে ব্যাপক ক্ষতি
শিশু গাছ ভেঙ্গে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে যানজট : এক ঘন্টার চেষ্টায় যান চলাচল স্বাভাবিক
নিজস্ব প্রতিবেদক: চৈত্রের আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তা-বে গতকাল চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ দেশের অন্তত ১৮ জেলায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বৃহদাকার শিলা ও বাজ পড়ে রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, মাগুরা ও ভৈরবে মারা গেছেন ৬ জন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৩শ’ মানুষ। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে বহু গবাদিপশুও মারা গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের। নষ্ট হয়েছে কৃষকের স্বপ্নের বোরো ধান। প্রচ- বাতাসে উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় বিভিন্ন এলাকা। শিলাবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে শত শত ঘরের টিনের চালা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষের হাহাকার নেমে আসে। গতকাল ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়। এদিকে, এছাড়া হঠাৎ ঝড়সহ শিলা বৃষ্টিতে আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলিতে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের উপর একটি শিশু গাছ ভেঙ্গে পড়লে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ঝড় ও সেইসাথে শিলা বৃষ্টি শুরু হলে রোয়াকুলি নামকস্থানে সড়কের পাশের একটি শিশু গাছ ভেঙ্গে মুল সড়কের উপর এসে পড়ে। এতে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা অভিমূখীসহ বিভিন্ন গন্তব্যের যানবাহন দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ১ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় সড়কের উপর ভেঙ্গে পড়া গাছটি আরো ১ঘন্টা চেষ্টায় অপসারন করলে যান চলাচল শুরু হয়। অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গায় প্রচন্ড বেগে কাল বৈশাখী ঝড়ে কাঁচা, আধা পাকা প্রায় ঘর বাড়ীর ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এই ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে মাঠের ধান, ভুট্টাসহ বিবিধ ফসল, ফলজ এবং বনজ বৃক্ষেরও ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের কবলে পড়ে অটোরিকশা উলটে চালক মুনতাজ নামের এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়ে। অপরদিকে ঝড়ের আগেই চুয়াডাঙ্গা শহরসহ বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ সরববাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাতভর চলতে থাকে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায়। অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে চুয়াডাঙ্গাবাসি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জানান, জেলা সদর চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার উপর দিয়ে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮৫ কিলোমিটার বেগে কাল বৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে। সেই সাথে বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টি হওয়ায় একদিকে যেমন কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়েছে অপরদিকে জেলার বিভিন্ন স্থামে কাঁচা আধা কাঁচাপাকা টিন ও খড়ের ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে সহস্্রাধিক ঘর বাড়ী’ চাল উড়ে গেছে । এছাড়া ফলস ও বোনজ গাছগাছালী উপড়ে ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের দর্শনা অফিস জানেিয়ছে, হঠাৎ ঝড়ে দর্শনাসহ আশে পাশের জমির ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতিগ সাধিত হয়েছে। গতকাল বিকাল ৫টা দিকে উত্তর পশ্চিম কোন থেকে ধুলী ঝড় শুরু হয়। এসময় রাস্তঘাট ধুলোয় অন্ধাকর হয়ে যায়। তখন চলাচলকারী পথচারীরা দিক বিদিক ছুটোছুটি শুরু করে দেয়। প্রায় ১০/১৫ মিনিটের ঝড়ে এলাকার জমির ফসল ও আধাকাঁচা ঘরবাড়ি এবং গাছপালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পরানপুর ধাপাড়ী মাঠে লুল্লু মিয়ার পেঁপ ক্ষেত, কলা বাগান ও পরানপুর গ্রামের হালিমের টিনের ঘর ও লোকনাথপুর সহ-শিক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের টিন সেড ও দেওয়াল ভেঙ্গে লোকনাথপুর- কাদিপুর সড়কে উপরে পড়ে থাকতে গেছে। এছাড়া ডুগডুগি হাট পাড়ার বেশ কিছু ঘর বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে এবং দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে পাশের ইপিল-ইপিল ও চটকা গাছের ডাল ভেঙ্গে সড়কে পড়ে। কোথাও কোথাও গাছ ভেঙ্গে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আকর্ষিক এ ঝড়ের পর হালকা কয়েক ফোটা বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়। আমাদের গাংনী অফিস জানিয়েছে, গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান, তামাক, উঠতি ফসলসহ কৃষি খাতে ও টিনের ঘরগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে হঠাৎ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছু সময়ে অবিরাম শিলাবৃষ্টিতে মাঠের বোরো ধান, তামাক, পাকা গম, ভুট্টা, আম ও বিভিন্ন সবজিসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পাশাপাশি টিনের ঘর, স্কুল ও টিনদিয়ে নির্মিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাংনী উপজেলার বামন্দী এলাকার মিনারুল ইসলাম জানান, শিলাবৃষ্টিতে নিজের টিনের ঘর ঝাজরা হয়ে গেছে। এই ঘরে বর্তমান বসবাসের মত অবস্থা নেই।

এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে মাঠের বোরো ধানসহ উঠতি ফসল সব শেষ হয়ে গেছে। রাইপুর ইউনিয়নের কড়–ইগাছি গ্রামের ৩নং- ইউপি সদস্য বকুল হোসেন বলেন, এতো পরিমাণ শিলাবৃষ্টি আমার জীবনে দেখিনি। আমার মাঠের তামাকসহ মাঠের বোরো ধান ও সবজি ফসল এবং টিনের ঘর ঝাজরা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে বলেও তিনি জানান। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম সাহাব উদ্দীন জানান, শিলাবৃষ্টিতে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।