ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দৃষ্টি এখন বঙ্গভবনে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ২৮৯ বার পড়া হয়েছে

400px-Bangabhaban01Dhaka

সমীকরণ ডেস্ক: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে এক মাসে ৩১টি রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এখন তিনি কী সিদ্ধান্ত দেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোসহ গোটা দেশ। অতীতে ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ এবং মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মেনে নেবে বলে জানালেও বিএনপি হুমকি দিয়ে রেখেছে, সার্চ কমিটিতে নিরপেক্ষ লোক না এলে এবং ইসি গঠন ‘দলীয় অনুগত’দের দিয়ে হলে তা মানবে না। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি নির্বাচন কমিশন গঠন না হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে, এই সরকার আগের খেলায় রয়েছে। সরকারের ওই রকম খায়েশ থাকলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই তারা রাস্তায় নামবেন। তারা দেখতে চান যে, রাষ্ট্রপতি কী করেন?’ বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন।’ সংবিধানের আলোকে সেই আইন এখন পর্যন্ত না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। গতবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের একটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। এবারও একইভাবে সংলাপের আয়োজন করে ইসি গঠন করতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। নতুন যে নির্বাচন কমিশন হবে তাদের অধীনেই হবে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নতুন ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গভবনে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এই সংলাপে প্রথম দফায় ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এই পর্বে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাসদ (আম্বিয়া), বাসদ, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফোরাম, খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দৃষ্টি এখন বঙ্গভবনে

আপলোড টাইম : ১১:৪১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০১৭

400px-Bangabhaban01Dhaka

সমীকরণ ডেস্ক: নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে এক মাসে ৩১টি রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এখন তিনি কী সিদ্ধান্ত দেন, সেদিকেই তাকিয়ে আছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোসহ গোটা দেশ। অতীতে ইসি গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ এবং মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত মেনে নেবে বলে জানালেও বিএনপি হুমকি দিয়ে রেখেছে, সার্চ কমিটিতে নিরপেক্ষ লোক না এলে এবং ইসি গঠন ‘দলীয় অনুগত’দের দিয়ে হলে তা মানবে না। এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি নির্বাচন কমিশন গঠন না হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে, এই সরকার আগের খেলায় রয়েছে। সরকারের ওই রকম খায়েশ থাকলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই তারা রাস্তায় নামবেন। তারা দেখতে চান যে, রাষ্ট্রপতি কী করেন?’ বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি নির্বাচন কমিশন গঠনের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন।’ সংবিধানের আলোকে সেই আইন এখন পর্যন্ত না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। গতবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটি গঠনের একটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। এবারও একইভাবে সংলাপের আয়োজন করে ইসি গঠন করতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। নতুন যে নির্বাচন কমিশন হবে তাদের অধীনেই হবে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নতুন ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গভবনে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এই সংলাপে প্রথম দফায় ২৩টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এই পর্বে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), ইসলামী ঐক্যজোট, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), সাম্যবাদী দল, বিকল্পধারা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাসদ (আম্বিয়া), বাসদ, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্রী পার্টি, গণফোরাম, খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।