ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির সাজা কি শুধুই বদলি?

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ব্যাপক দুর্নীতি, কাজ না করে বিল উত্তোলন ও ভুয়া বিল ভাউচারে সরকারের কোটি কোটি আত্মসাৎ করার দায়ে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সচিব পর্যায়ের উচ্চক্ষমতা-সম্পন্ন তদন্ত কমিটির তদন্তের পরই তাঁকে ঝিনাইদহ থেকে সরিয়ে চাঁদপুর জেলায় বদলি করা হলো। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত ২২৩০ নম্বর স্মারকের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তাঁকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় ১২ ডিসেম্বর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
এদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখকে বদলির পর ঠিকাদার ও সচেতন মহলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে প্রমাণিত দুর্নীতির সাজা কি শুধুই বদলি? গত ৩ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সার্কিট হাউসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সামনে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখের দুর্নীতি ও অনিয়মের একাধিক প্রমাণ হাজির করেন ভুক্তভোগীরা। তাঁদের ধারণা ছিল, প্রমাণিত এসব দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হবেন কায়সার ইবনে শাইখ। কিন্তু তা না করে তাঁকে চাঁদপুর জেলায় বদলি করে অভিযোগকারীদের আশাহত করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ই-জিপি টেন্ডার আহ্বাান করে বিধিভঙ্গ করে ম্যানুয়ালি নেটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (নোয়া) দেন। যা পিপির বিধি বহির্ভুত। এতে একজন ঠিকাদারকে অর্ধশত কাজ পেতে সহায়তা করেন। ভূয়া বিল ভাউচার করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেন নির্বাহী প্রকৌশলী। কাজ না করেই জুনের আগে কয়েক কোটি টাকার বিল তুলে নেন। একজনের টাকা আরেকজনকে দিয়ে দেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ২৬টি কাজের গোপন টেন্ডার করেন। এসব বিষয়ে তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুর্নীতির সাজা কি শুধুই বদলি?

আপলোড টাইম : ১০:৫৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ব্যাপক দুর্নীতি, কাজ না করে বিল উত্তোলন ও ভুয়া বিল ভাউচারে সরকারের কোটি কোটি আত্মসাৎ করার দায়ে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সচিব পর্যায়ের উচ্চক্ষমতা-সম্পন্ন তদন্ত কমিটির তদন্তের পরই তাঁকে ঝিনাইদহ থেকে সরিয়ে চাঁদপুর জেলায় বদলি করা হলো। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত ২২৩০ নম্বর স্মারকের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তাঁকে কর্মস্থল ত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় ১২ ডিসেম্বর থেকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত হয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।
এদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখকে বদলির পর ঠিকাদার ও সচেতন মহলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে প্রমাণিত দুর্নীতির সাজা কি শুধুই বদলি? গত ৩ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ সার্কিট হাউসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারীর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সামনে ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাইখের দুর্নীতি ও অনিয়মের একাধিক প্রমাণ হাজির করেন ভুক্তভোগীরা। তাঁদের ধারণা ছিল, প্রমাণিত এসব দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হবেন কায়সার ইবনে শাইখ। কিন্তু তা না করে তাঁকে চাঁদপুর জেলায় বদলি করে অভিযোগকারীদের আশাহত করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ই-জিপি টেন্ডার আহ্বাান করে বিধিভঙ্গ করে ম্যানুয়ালি নেটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড (নোয়া) দেন। যা পিপির বিধি বহির্ভুত। এতে একজন ঠিকাদারকে অর্ধশত কাজ পেতে সহায়তা করেন। ভূয়া বিল ভাউচার করে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেন নির্বাহী প্রকৌশলী। কাজ না করেই জুনের আগে কয়েক কোটি টাকার বিল তুলে নেন। একজনের টাকা আরেকজনকে দিয়ে দেন। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ২৬টি কাজের গোপন টেন্ডার করেন। এসব বিষয়ে তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।