ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দু’দিনে প্রাণ গেল ৩ জনের : মৃত্যু আতঙ্ক!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯
  • / ৩০৮ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, বারাদী:
মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামবাসীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার পানিতে ডুবে এক শিশু এবং বিদ্যুতস্পৃষ্টে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার বিদ্যুতস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিক সাজু মিয়ার মৃত্যু হয়। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তিনজনের অপমৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি কেউ কেউ ভিন্নভাবেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মৃত্যুদূতের হানা বলে মন্তব্য করছেন গ্রামের অনেকে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজনগর গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বিকেলে নিজ বাড়িতে কাজ করছিলেন। বসতবাড়ির টিনের ঘরের সাথে টাঙানো তারের সাথে ভেজা কাপড় রাখতে গেলে ঘটে বিপত্তি। তাদের সাথে বাড়ির বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ হয়ে গেলেও তা জানতে পারেননি রাজিয়া খাতুন। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবুও পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। রাজিয়া খাতুন তিন কন্যা সন্তানের জননী।
এদিকে একইদিন দুপুরে ওই গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের চার বছর বয়সী ছেলে ইব্রাহিম হোসেন বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে খেলা করছিল। একপর্যায়ে সবার নজর এড়িয়ে গর্তে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন খুঁজাখুজি করে গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খাঁন দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, প্রায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে একই গ্রামের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে ভিন্ন কিছু বলেও আখ্যায়িত করছেন। প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে রাজনগর গ্রামের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ সাটারিং কাজ করছিলেন কয়েকজন রাজমিস্ত্রি ও জোগালে। ছাদে রড তোলার সময় বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের সাথে স্পর্শ হয়। এতে সারা শরীর পুড়ে মৃত্যুবরণ করেন জোগালে সাজু মিয়া (২২)।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দু’দিনে প্রাণ গেল ৩ জনের : মৃত্যু আতঙ্ক!

আপলোড টাইম : ০৯:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৯

প্রতিবেদক, বারাদী:
মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামবাসীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার পানিতে ডুবে এক শিশু এবং বিদ্যুতস্পৃষ্টে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার বিদ্যুতস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিক সাজু মিয়ার মৃত্যু হয়। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তিনজনের অপমৃত্যুর ঘটনার বিষয়টি কেউ কেউ ভিন্নভাবেও ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মৃত্যুদূতের হানা বলে মন্তব্য করছেন গ্রামের অনেকে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজনগর গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বিকেলে নিজ বাড়িতে কাজ করছিলেন। বসতবাড়ির টিনের ঘরের সাথে টাঙানো তারের সাথে ভেজা কাপড় রাখতে গেলে ঘটে বিপত্তি। তাদের সাথে বাড়ির বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ হয়ে গেলেও তা জানতে পারেননি রাজিয়া খাতুন। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবুও পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। রাজিয়া খাতুন তিন কন্যা সন্তানের জননী।
এদিকে একইদিন দুপুরে ওই গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের চার বছর বয়সী ছেলে ইব্রাহিম হোসেন বাড়ির পাশে বন্ধুদের সাথে খেলা করছিল। একপর্যায়ে সবার নজর এড়িয়ে গর্তে পড়ে যায়। পরিবারের লোকজন খুঁজাখুজি করে গর্ত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খাঁন দু’জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, প্রায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে একই গ্রামের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রামের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে ভিন্ন কিছু বলেও আখ্যায়িত করছেন। প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে রাজনগর গ্রামের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদ সাটারিং কাজ করছিলেন কয়েকজন রাজমিস্ত্রি ও জোগালে। ছাদে রড তোলার সময় বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারের সাথে স্পর্শ হয়। এতে সারা শরীর পুড়ে মৃত্যুবরণ করেন জোগালে সাজু মিয়া (২২)।