ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুজনের যাবজ্জীবন, একজনের ১৪ বছরের জেল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০১৯
  • / ২০৪ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা ও স্বর্ণ পাচারের আলাদা দুটি মামলার রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবননগরের আবুল কালাম হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দ-প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের গনি ম-লের ছেলে আব্বাস আলী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আলী আহম্মেদ। গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ রাতে জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামের আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনও গুরুতর আহত হন। ঘটনার পরদিন নিহত ব্যক্তির ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার উপপরিদর্শক মকবুল হোসেন তদন্তকালে এ হত্যাকা-ে জড়িত দুই ঘাতক আলী আহম্মেদ ও আব্বাস আলীকে ওই বছরের ১৯ মে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আলোচিত এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশ দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আব্বাস আলী ও আলী আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন।
এদিকে, স্বর্ণ পাচারের মামলায় আলামিন সরকার নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ সকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট থেকে আলামিন সরকার নামের একজনকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পরে তাঁর স্যান্ডেলের ভেতরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা চারটি স্বর্ণের বার ও ১৪টি স্বর্ণের গয়না উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় যশোর বেনাপোল বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় স্বর্ণ পাচারের একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার উপপরিদর্শক রাজীব আল রশিদ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন আলামিন সরকারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। স্বর্ণ পাচারের এ মামলায় আদালত মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আলামিন সরকারকে অভিযুক্ত করেন। রায়ে আদালত তাঁকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদ-ের কথা উল্লেখ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ ম-লের ছেলে দ-িত আলামিন সরকার জামিনের মুক্তির পর থেকেই পলাতক ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুজনের যাবজ্জীবন, একজনের ১৪ বছরের জেল

আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা ও স্বর্ণ পাচারের আলাদা দুটি মামলার রায়
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবননগরের আবুল কালাম হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দ-প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন জীবননগর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের গনি ম-লের ছেলে আব্বাস আলী ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দিগড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আলী আহম্মেদ। গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ রাতে জীবননগর উপজেলার পাকা গ্রামের আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনও গুরুতর আহত হন। ঘটনার পরদিন নিহত ব্যক্তির ভাই জাকির হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার উপপরিদর্শক মকবুল হোসেন তদন্তকালে এ হত্যাকা-ে জড়িত দুই ঘাতক আলী আহম্মেদ ও আব্বাস আলীকে ওই বছরের ১৯ মে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আলোচিত এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশ দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযুক্ত আব্বাস আলী ও আলী আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন।
এদিকে, স্বর্ণ পাচারের মামলায় আলামিন সরকার নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রবিউল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ সকালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট থেকে আলামিন সরকার নামের একজনকে আটক করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পরে তাঁর স্যান্ডেলের ভেতরে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা চারটি স্বর্ণের বার ও ১৪টি স্বর্ণের গয়না উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় যশোর বেনাপোল বন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় স্বর্ণ পাচারের একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা থানার উপপরিদর্শক রাজীব আল রশিদ তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন আলামিন সরকারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। স্বর্ণ পাচারের এ মামলায় আদালত মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আলামিন সরকারকে অভিযুক্ত করেন। রায়ে আদালত তাঁকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ-, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদ-ের কথা উল্লেখ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ ম-লের ছেলে দ-িত আলামিন সরকার জামিনের মুক্তির পর থেকেই পলাতক ছিলেন।