ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুই সপ্তাহের লকডাউনে মালয়েশিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৯২ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে আবারও মালয়েশিয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান সেরী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এই ঘোষণা দেন। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির কুয়ালালামপুর, পুত্রাজায়া, সেলঙ্গর, সাবাহ, জোহর, মালাকা, পুলাউ পেনাং ও লাবুয়ান অঞ্চলে জারি করা হয়েছে ১৪ দিনের মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন (এমসিও)। লকডাউন চলাকালীন সময়ে উৎপাদন, নির্মাণ, পরিষেবা, বাণিজ্য ও বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ও পণ্যাদি অপরিহার্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলি পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত মার্চ মাসে সরকার প্রথমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৮ এবং পাশাপাশি পুলিশ অ্যাক্ট ১৯৬৭ এর অধীনে ধর্মীয়, খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গণসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সে সময় সুপার মার্কেট, পাবলিক মার্কেট, বিভিন্ন জিনিসপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করা দোকান ছাড়া সব উপাসনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে সরকার ধীরে ধীরে তা শিথিল করে। বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করে এবং বেশিরভাগ সামাজিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেয়। শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন ধরনের এমসিওর অধীনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় দফায় করোনা সংক্রমণে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। সম্প্রতি এ সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়ানোর পর আবারও মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলো দেশটির সরকার। এমসিও চলাকালে গেল বছরের মার্চের মতো আবারও ১৪ দিন নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে দেশটির জনগণকে। সর্বশেষ খবর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার। দেশটিতে করনায় মারা গেছেন ৫৫১ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ১১৫ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুই সপ্তাহের লকডাউনে মালয়েশিয়া

আপলোড টাইম : ১০:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

বিশ্ব প্রতিবেদন:
মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে আবারও মালয়েশিয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বিশেষ ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী তান সেরী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এই ঘোষণা দেন। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটির কুয়ালালামপুর, পুত্রাজায়া, সেলঙ্গর, সাবাহ, জোহর, মালাকা, পুলাউ পেনাং ও লাবুয়ান অঞ্চলে জারি করা হয়েছে ১৪ দিনের মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন (এমসিও)। লকডাউন চলাকালীন সময়ে উৎপাদন, নির্মাণ, পরিষেবা, বাণিজ্য ও বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ও পণ্যাদি অপরিহার্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলি পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত মার্চ মাসে সরকার প্রথমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৮৮ এবং পাশাপাশি পুলিশ অ্যাক্ট ১৯৬৭ এর অধীনে ধর্মীয়, খেলাধুলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গণসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সে সময় সুপার মার্কেট, পাবলিক মার্কেট, বিভিন্ন জিনিসপত্র ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করা দোকান ছাড়া সব উপাসনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে সরকার ধীরে ধীরে তা শিথিল করে। বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করে এবং বেশিরভাগ সামাজিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেয়। শর্তসাপেক্ষে বিভিন্ন ধরনের এমসিওর অধীনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় দফায় করোনা সংক্রমণে প্রতিদিনই বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। সম্প্রতি এ সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়ানোর পর আবারও মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলো দেশটির সরকার। এমসিও চলাকালে গেল বছরের মার্চের মতো আবারও ১৪ দিন নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে দেশটির জনগণকে। সর্বশেষ খবর পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার। দেশটিতে করনায় মারা গেছেন ৫৫১ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ১১৫ জন।