ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দুই নয়িন্ত্রকরে সমন্বয়হীনতায় পুঁজবিাজারে বারবার অস্থরিতা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ২৬৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে সমন্বয় না থাকায় দফায় দফায় পুঁজিবাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। পরস্পর সম্পর্কিত হওয়ায় মুদ্রাবাজার নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হয় পুঁজিবাজার। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছাড়াই মুদ্রাবাজার বিষয়ে নানা সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সৃষ্ট অস্থিরতা ও টালমাটালে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজার-প্রভাবিত বিষয়ে মন্তব্য, সিদ্ধান্ত কিংবা সার্কুলার জারি করতে বা মতামত দিতে বিএসইসির সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সার্কুলার জারি করে ২০১২ সালে। সেই নির্দেশনার কোনো বাস্তবায়ন দেখছেন না পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় উভয় পক্ষের সমন্বয় খুবই জরুরি অভিহিত করে তাঁরা বলছেন, ‘পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী বহুগুণ বেশি। তাদের পুঁজিও তুলনামূলক কম। পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো তথ্য শুনলেই জেনে না জেনে শেয়ার বিক্রি করে। আর শেয়ার বিক্রির চাপে পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি বেপরোয়া ঋণের লাগাম টানতে ব্যাংকের ঋণ আমানত হ্রাস করে এক সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও সার্কুলার জারির আগেই এই তথ্য জেনে শেয়ারবাজার অস্থির হয়ে ওঠে। পুঁজিবাজারে পতন ঘটে। আর কারসাজি করার একটি গোষ্ঠী এ বিষয়ে নানা তথ্য ছড়িয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছে। ওই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য থাকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার বিক্রি করে দিলে তারা সেই শেয়ার কিনে মুনাফা অর্জন করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণা ও এডিআর কমানো নিয়ে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির চাপে বাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা জরুরি সভা করেছেন। সর্বশেষ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, আইসিবি ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দুই নয়িন্ত্রকরে সমন্বয়হীনতায় পুঁজবিাজারে বারবার অস্থরিতা

আপলোড টাইম : ১০:৫১:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে সমন্বয় না থাকায় দফায় দফায় পুঁজিবাজারে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। পরস্পর সম্পর্কিত হওয়ায় মুদ্রাবাজার নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হয় পুঁজিবাজার। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে কোনো সমন্বয় ছাড়াই মুদ্রাবাজার বিষয়ে নানা সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সৃষ্ট অস্থিরতা ও টালমাটালে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
পুঁজিবাজার-প্রভাবিত বিষয়ে মন্তব্য, সিদ্ধান্ত কিংবা সার্কুলার জারি করতে বা মতামত দিতে বিএসইসির সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সার্কুলার জারি করে ২০১২ সালে। সেই নির্দেশনার কোনো বাস্তবায়ন দেখছেন না পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় উভয় পক্ষের সমন্বয় খুবই জরুরি অভিহিত করে তাঁরা বলছেন, ‘পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের পুঁজিবাজারে প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যক্তি বিনিয়োগকারী বহুগুণ বেশি। তাদের পুঁজিও তুলনামূলক কম। পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো তথ্য শুনলেই জেনে না জেনে শেয়ার বিক্রি করে। আর শেয়ার বিক্রির চাপে পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি বেপরোয়া ঋণের লাগাম টানতে ব্যাংকের ঋণ আমানত হ্রাস করে এক সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও সার্কুলার জারির আগেই এই তথ্য জেনে শেয়ারবাজার অস্থির হয়ে ওঠে। পুঁজিবাজারে পতন ঘটে। আর কারসাজি করার একটি গোষ্ঠী এ বিষয়ে নানা তথ্য ছড়িয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছে। ওই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য থাকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার বিক্রি করে দিলে তারা সেই শেয়ার কিনে মুনাফা অর্জন করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণা ও এডিআর কমানো নিয়ে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রির চাপে বাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্টরা জরুরি সভা করেছেন। সর্বশেষ সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, আইসিবি ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে।