ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদা সদাবরিতে খুঁটিতে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা : গ্রেফতার-১

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৭
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে

Snapshot - 12নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এবার এক গৃহবধূকে বাঁশের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। তার ইন্ধনে প্রতিবেশীর এক স্ত্রী স্বামীর ঘর ছেড়েছে এমন অভিযোগ এনে শনিবার রাতে তাকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন রোববার দুপুরে এ ব্যাপারে দামুড়হুদা থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রোজিনা বেগমকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, মাস চারেক আগে দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরি গ্রামের পিরু শনির ছেলে লিটন শনিকে ছেড়ে স্ত্রী সীমা খাতুন বাপের বাড়িতে চলে যায়। প্রতিবেশী হোসাইন আলীর স্ত্রী রোজিনা বেগমের ইন্ধনে লিটনের স্ত্রী চলে গেছে বলে দোষারোপ করা হয়। লিটনরা প্রভাবশালী হওয়ায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রোজিনা বেগমকে (৩০) বাড়ি থেকে টেনেহেঁচড়ে লিটনদের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর বাঁশের একটি খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে পরিবারের সবাই তার ওপর নির্যাতন চালায়। পিরু শনিসহ তার স্ত্রী শিবরা শনি, ছেলে লিটন শনি, আবদুর রশিদ শনি, মেয়ে রাশিদা শনি ও রফিকুল শনির স্ত্রী শিউলী বেগম লাঠিসোটা ও কিল ঘুষি মেরে নির্যাতন চালায়।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্প পুলিশ রোজিনা বেগমকে উদ্ধার করে। ক্যাম্প ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, ‘রোজিনা বেগমের কোলে ৪ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। সে কোলে থাকা অবস্থায় রোজিনার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।’ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার রোজিনা বলেন, আমাকে লিটনসহ তার পরিবারের লোকজন জোর করে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে খুটির সাথে বেধে নির্যাতন করে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অনিছুর রহমান জানান, তার শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ জানান, ‘এ ব্যাপারে রোজিনা বেগম নিজেই বাদী হয়ে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে থানায় মামলা করেছেন। মামলার অন্যতম আসামি লিটন শনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদা সদাবরিতে খুঁটিতে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা : গ্রেফতার-১

আপলোড টাইম : ০৫:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৭

Snapshot - 12নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় এবার এক গৃহবধূকে বাঁশের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। তার ইন্ধনে প্রতিবেশীর এক স্ত্রী স্বামীর ঘর ছেড়েছে এমন অভিযোগ এনে শনিবার রাতে তাকে নির্যাতন করা হয়। পরদিন রোববার দুপুরে এ ব্যাপারে দামুড়হুদা থানায় মামলা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ রোজিনা বেগমকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, মাস চারেক আগে দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরি গ্রামের পিরু শনির ছেলে লিটন শনিকে ছেড়ে স্ত্রী সীমা খাতুন বাপের বাড়িতে চলে যায়। প্রতিবেশী হোসাইন আলীর স্ত্রী রোজিনা বেগমের ইন্ধনে লিটনের স্ত্রী চলে গেছে বলে দোষারোপ করা হয়। লিটনরা প্রভাবশালী হওয়ায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রোজিনা বেগমকে (৩০) বাড়ি থেকে টেনেহেঁচড়ে লিটনদের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর বাঁশের একটি খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে পরিবারের সবাই তার ওপর নির্যাতন চালায়। পিরু শনিসহ তার স্ত্রী শিবরা শনি, ছেলে লিটন শনি, আবদুর রশিদ শনি, মেয়ে রাশিদা শনি ও রফিকুল শনির স্ত্রী শিউলী বেগম লাঠিসোটা ও কিল ঘুষি মেরে নির্যাতন চালায়।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ক্যাম্প পুলিশ রোজিনা বেগমকে উদ্ধার করে। ক্যাম্প ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, ‘রোজিনা বেগমের কোলে ৪ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। সে কোলে থাকা অবস্থায় রোজিনার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।’ তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার রোজিনা বলেন, আমাকে লিটনসহ তার পরিবারের লোকজন জোর করে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে খুটির সাথে বেধে নির্যাতন করে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অনিছুর রহমান জানান, তার শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ জানান, ‘এ ব্যাপারে রোজিনা বেগম নিজেই বাদী হয়ে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে থানায় মামলা করেছেন। মামলার অন্যতম আসামি লিটন শনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।