ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় ভাইয়ের হাতে ভাইসহ চারজন আহত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় বাড়ির গেটের সামনে গোবর ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ভাই-ভাবিসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনকে (৩২) দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর ছেলে। আহত অপর তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর মাঝেরপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে।
আহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, ‘দেবর মইনুলের স্ত্রী আমাদের বসতবাড়ির গেটের পাশে প্রায়ই গোবর ফেলে রাখে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই গোবর ছড়িয়ে পড়ে এবং চলাচলের সমস্যা হয়। কিছু বলতে গেলেই আমাদের গালমন্দ করে ও মারতে আসে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মইনুলের স্ত্রী পুনরায় গেটের সামনে গোবর ফেলে রেখে বাড়ির মধ্যে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আমি গোবর তুলে নেওয়ার জন্য বলতে গেলে আমাকে সে মারতে আসে। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার দেবর মইনুল ও তার ছেলে হৃদয় লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় আমার স্বামী আনোয়ার, ভাসুর আলাউদ্দীন ও তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাদেরও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। দেবর মইনুলের লাঠির আঘাতে আমার স্বামীর মাথা ফেটে যায় এবং জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাদের রক্ষা করে এবং হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোবর ফেলা নিয়ে ইতিপূর্বেও একবার ওরা আমাদের মারধর করেছিল। ওই ঘটনায় আমার স্বামী থানায় একটি জিডিও করেছিল।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় ভাইয়ের হাতে ভাইসহ চারজন আহত

আপলোড টাইম : ১০:৪৩:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা:
দামুড়হুদায় বাড়ির গেটের সামনে গোবর ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ভাই-ভাবিসহ চারজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনকে (৩২) দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তিনি উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আক্কেল আলীর ছেলে। আহত অপর তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর মাঝেরপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে।
আহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, ‘দেবর মইনুলের স্ত্রী আমাদের বসতবাড়ির গেটের পাশে প্রায়ই গোবর ফেলে রাখে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই গোবর ছড়িয়ে পড়ে এবং চলাচলের সমস্যা হয়। কিছু বলতে গেলেই আমাদের গালমন্দ করে ও মারতে আসে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মইনুলের স্ত্রী পুনরায় গেটের সামনে গোবর ফেলে রেখে বাড়ির মধ্যে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর আমি গোবর তুলে নেওয়ার জন্য বলতে গেলে আমাকে সে মারতে আসে। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার দেবর মইনুল ও তার ছেলে হৃদয় লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় আমার স্বামী আনোয়ার, ভাসুর আলাউদ্দীন ও তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাদেরও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। দেবর মইনুলের লাঠির আঘাতে আমার স্বামীর মাথা ফেটে যায় এবং জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আমাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাদের রক্ষা করে এবং হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গোবর ফেলা নিয়ে ইতিপূর্বেও একবার ওরা আমাদের মারধর করেছিল। ওই ঘটনায় আমার স্বামী থানায় একটি জিডিও করেছিল।’