ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় বিষাক্ত মদপানে একজনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১২৬ বার পড়া হয়েছে

পরিবারের দাবি মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে
দর্শনা অফিস:
দামুড়হুদা উপজলার বারাদী গ্রামে বিষাক্ত মদপানে শুকুর আলী (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত শুকুর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামের শ্যাম বাঙালের ছেলে। এ ঘটনায় পাশের গ্রাম কামারপাড়ার আক্কাস মাতব্বরের ছেলে মদ ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবির বিরুদ্ধে মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে তাঁকে হত্যার অভিযোগ তুলে দর্শনা থানায় অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
মৃত শুকুর আলীর ছেলে মিস্টার আলী জানান, ‘দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মাঝপাড়ার (মধ্যপাড়া) আক্কাস মাতব্বরের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি একজন মদ ব্যবসায়ী। সে গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হবির নিজ বাড়ি ডেকে নিয়ে মদের ভেতর ঘাসমারা বিষ মিশিয়ে আমার পিতা শুকুর আলীকে হত্যার উদ্দ্যেশে মদ্যপান করায়। তা পান করে আমার পিতা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আমার পিতাকে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এ চিকিৎসার কয়েকদিন পর পুনরায় ২৮ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওইদিন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। এরপর সে সুস্থ হলে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। আবারও আমার পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়। তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি দেখা দেওয়ায় চিকিৎসের পরামর্শে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র নিয়ে গত সোমবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা হয়। পথের মধ্যে ঢাকা মানিকগঞ্জ নামক স্থানে পৌঁছালে আমার পিতার মৃত্যু হয়।’ তিনি আরও জানান, ‘আমার পিতার সাথে হবির পূর্বশত্রুতা রয়েছে। তাই আমার পিতাসহ আমার পরিবারের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছিল। সে খুব পরিকল্পিতভাবে মদের মধ্যে বিষ জাতীয় মিশিয়ে তা সেবন করিয়ে আমার পিতাকে হত্যা করেছে।’
এ ঘটনায় শুকুর আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে দর্শনা থানায় হাবিবুর রহমান হবির নাম উল্লেখ করে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল জানান, অভিযোগ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরিস্কার হওয়া যাবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় বিষাক্ত মদপানে একজনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১০:১৩:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

পরিবারের দাবি মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে
দর্শনা অফিস:
দামুড়হুদা উপজলার বারাদী গ্রামে বিষাক্ত মদপানে শুকুর আলী (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে নিজ বাড়ি ফেরার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত শুকুর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামের শ্যাম বাঙালের ছেলে। এ ঘটনায় পাশের গ্রাম কামারপাড়ার আক্কাস মাতব্বরের ছেলে মদ ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হবির বিরুদ্ধে মদের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে তাঁকে হত্যার অভিযোগ তুলে দর্শনা থানায় অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
মৃত শুকুর আলীর ছেলে মিস্টার আলী জানান, ‘দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মাঝপাড়ার (মধ্যপাড়া) আক্কাস মাতব্বরের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি একজন মদ ব্যবসায়ী। সে গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হবির নিজ বাড়ি ডেকে নিয়ে মদের ভেতর ঘাসমারা বিষ মিশিয়ে আমার পিতা শুকুর আলীকে হত্যার উদ্দ্যেশে মদ্যপান করায়। তা পান করে আমার পিতা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আমার পিতাকে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এ চিকিৎসার কয়েকদিন পর পুনরায় ২৮ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওইদিন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। এরপর সে সুস্থ হলে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে আসি। আবারও আমার পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়। তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে ভর্তির পর তার অবস্থার অবনতি দেখা দেওয়ায় চিকিৎসের পরামর্শে হাসপাতাল হতে ছাড়পত্র নিয়ে গত সোমবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা হয়। পথের মধ্যে ঢাকা মানিকগঞ্জ নামক স্থানে পৌঁছালে আমার পিতার মৃত্যু হয়।’ তিনি আরও জানান, ‘আমার পিতার সাথে হবির পূর্বশত্রুতা রয়েছে। তাই আমার পিতাসহ আমার পরিবারের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছিল। সে খুব পরিকল্পিতভাবে মদের মধ্যে বিষ জাতীয় মিশিয়ে তা সেবন করিয়ে আমার পিতাকে হত্যা করেছে।’
এ ঘটনায় শুকুর আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে দর্শনা থানায় হাবিবুর রহমান হবির নাম উল্লেখ করে দর্শনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
এ ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল জানান, অভিযোগ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরিস্কার হওয়া যাবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।