ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় প্রকাশ্যে মা-মেয়েকে হাতুড়ি পেটা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • / ৪৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়ক থেকে বাড়ি ফেরার পথে দামুড়হুদায় ডেকে নিয়ে মা-মেয়েকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে দামুড়হুদা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর মাঝেরপাড়ার ইশা হকের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে তিথি আক্তার (২০)।
আহত নাসিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বিকেলে আমার দশ-মাস বয়সী নাতনীকে ডাক্তার দেখাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডে এসেছিলাম মেয়ে তিথির সঙ্গে। কিন্তু দামুড়হুদায় আমাদের ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়।
নাসিমা বেগম অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার ভাই মৃত তমিজ উদ্দীনের ছেলে রুবেল ৪ বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে আমাদের এলাকার রায়হানের ছেলে সাইফুল মণ্ডলের বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নাতনীসহ আমার মেয়ে আমার কাছেই প্রায় ৩ মাস যাবত থাকছে। এরমধ্যে শনিবার বিকেলে বিকেলে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় আমার মেয়ে ও নাতনীর জন্য ঈদের পোষাক-আশাক কেনার খরচ দিবে বলে আমাদেরকে দামুড়হুদা বাজারে দেখা করতে বলে আমার ভাতিজা রুবেল। আমরা চুয়াডাঙ্গা থেকে ফিরে রুবেলের সাথে দেখা করলে সে আমার নাতনীকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়। এবং ওখানে উপস্থিত আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের কাছে শিশু নাতনীকে দিয়ে দেয়। এসময় আমরা প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার মেয়ে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে রুবেল। পরে সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গেলে আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘হাতুড়ি জাতীয় ভারী কিছুর আঘাতে নাসিমা বেগমর বাম হাতের আঙ্গুলের হাড় ভেঙ্গে গুরুতর জখম হয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে আহতদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় প্রকাশ্যে মা-মেয়েকে হাতুড়ি পেটা!

আপলোড টাইম : ০৮:৫০:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়ক থেকে বাড়ি ফেরার পথে দামুড়হুদায় ডেকে নিয়ে মা-মেয়েকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে দামুড়হুদা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করেন। আহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর মাঝেরপাড়ার ইশা হকের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে তিথি আক্তার (২০)।
আহত নাসিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার বিকেলে আমার দশ-মাস বয়সী নাতনীকে ডাক্তার দেখাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডে এসেছিলাম মেয়ে তিথির সঙ্গে। কিন্তু দামুড়হুদায় আমাদের ডেকে নিয়ে মারধর করা হয়।
নাসিমা বেগম অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার ভাই মৃত তমিজ উদ্দীনের ছেলে রুবেল ৪ বছর আগে আমার মেয়ের সঙ্গে আমাদের এলাকার রায়হানের ছেলে সাইফুল মণ্ডলের বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নাতনীসহ আমার মেয়ে আমার কাছেই প্রায় ৩ মাস যাবত থাকছে। এরমধ্যে শনিবার বিকেলে বিকেলে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় আমার মেয়ে ও নাতনীর জন্য ঈদের পোষাক-আশাক কেনার খরচ দিবে বলে আমাদেরকে দামুড়হুদা বাজারে দেখা করতে বলে আমার ভাতিজা রুবেল। আমরা চুয়াডাঙ্গা থেকে ফিরে রুবেলের সাথে দেখা করলে সে আমার নাতনীকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেয়। এবং ওখানে উপস্থিত আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের কাছে শিশু নাতনীকে দিয়ে দেয়। এসময় আমরা প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার মেয়ে প্রকাশ্যে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে রুবেল। পরে সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে গেলে আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ীর লোকজন শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আমাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘হাতুড়ি জাতীয় ভারী কিছুর আঘাতে নাসিমা বেগমর বাম হাতের আঙ্গুলের হাড় ভেঙ্গে গুরুতর জখম হয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে আহতদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।