ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় দুর্নীতিগ্রস্ত কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বঞ্চিত কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা: দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বঞ্চিত কৃষকরা। গত মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপজেলার বঞ্চিত চাষীরা।

সাংবাদিক সম্মেলনে মনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত আড়াই বছরে দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আমাদের শুধু আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন সরকারি প্রণোদনা প্রান্তিক পর্যায়ে চাষী ও কৃষকরা পাবেন। কিন্তু আশ্চার্যজনক হলেও সত্য গত আড়াই বছর মনিরুজ্জামান কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর একটি দিনও আমাদের মতো হতভাগা চাষীদের সাথে দেখা পর্যন্ত করেননি, প্রণোদনা তো দূরের কথা। কিন্তু সরকার যে অর্থে কৃষকের উন্নয়ন কল্যাণে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন, তাতো একজন দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। তাছাড়া সরকার প্রান্তিক চাষীদের জন্য যে মহতি উদ্যোগ নিয়েছে, তা একজন ব্যক্তির অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান যোগদানের পর তার নিকটাত্মীয় সামসুল ইসলাম মেম্বারকে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষক সংগঠন সিআইজির (কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ) সভাপতি বানিয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত কৃষি উপকরণ, প্রণোদনা ও প্রর্দশনী প্লটের বরাদ্দসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণে ব্যাপক অনিয়ম করে আসছেন, যা মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করলে প্রদর্শনী প্লটের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়বে। কৃষিখাতে উন্নয়নে সরকারের মহতি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা এ ধরণের কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে ব্যহত হচ্ছে।’

সরকারি প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত কৃষকেরা আরও জানান, কৃষি কর্মকর্তা শুধু মুখচিনে ও স্থানীয় মেম্বার দামুড়হুদা উপজেলা সিআইজি সভাপতি সামসুল ইসলামের মাধ্যমে পছন্দমত লোককে সরকারি এ প্রণোদনা দিয়ে বেশ আলোচিত হয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়। কৃষকগণ জোরদাবি জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলেন, এমন কৃষি কর্মকর্তা এ উপজেলায় থাকলে সরকারের যেমন দুর্নাম-বদনাম হবে, তেমনিভাবে প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকগণ বিনামূল্যে সরকারি উপকরণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেই থাকবে। সরকারের কোনো সুফল এই কৃষি কর্মকর্তার কারণে হবে না, হতে দেবে না।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ছয়জন প্রান্তিক কৃষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের এ খবর জানান। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে কৃষি কর্মকর্তার অফিসে সাংবাদিক নেতারা গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কোনোভাবেই তাঁর গোপনকক্ষ থেকে বের হননি। পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি উভয়পক্ষের কাছ থেকে জানতে হবে। এ ধরণের ঘটনা হলে সেটা তো অনিয়মের মধ্যে পড়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক ও টেলিভিশনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় দুর্নীতিগ্রস্ত কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বঞ্চিত কৃষকদের সংবাদ সম্মেলন

আপলোড টাইম : ১০:০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

প্রতিবেদক, দামুড়হুদা: দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বঞ্চিত কৃষকরা। গত মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন উপজেলার বঞ্চিত চাষীরা।

সাংবাদিক সম্মেলনে মনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘গত আড়াই বছরে দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আমাদের শুধু আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন সরকারি প্রণোদনা প্রান্তিক পর্যায়ে চাষী ও কৃষকরা পাবেন। কিন্তু আশ্চার্যজনক হলেও সত্য গত আড়াই বছর মনিরুজ্জামান কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর একটি দিনও আমাদের মতো হতভাগা চাষীদের সাথে দেখা পর্যন্ত করেননি, প্রণোদনা তো দূরের কথা। কিন্তু সরকার যে অর্থে কৃষকের উন্নয়ন কল্যাণে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন, তাতো একজন দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে। তাছাড়া সরকার প্রান্তিক চাষীদের জন্য যে মহতি উদ্যোগ নিয়েছে, তা একজন ব্যক্তির অনিয়ম দুর্নীতির কারণে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান যোগদানের পর তার নিকটাত্মীয় সামসুল ইসলাম মেম্বারকে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষক সংগঠন সিআইজির (কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ) সভাপতি বানিয়ে সরকারের বরাদ্দকৃত কৃষি উপকরণ, প্রণোদনা ও প্রর্দশনী প্লটের বরাদ্দসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণে ব্যাপক অনিয়ম করে আসছেন, যা মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করলে প্রদর্শনী প্লটের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়বে। কৃষিখাতে উন্নয়নে সরকারের মহতি কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা এ ধরণের কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে ব্যহত হচ্ছে।’

সরকারি প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত কৃষকেরা আরও জানান, কৃষি কর্মকর্তা শুধু মুখচিনে ও স্থানীয় মেম্বার দামুড়হুদা উপজেলা সিআইজি সভাপতি সামসুল ইসলামের মাধ্যমে পছন্দমত লোককে সরকারি এ প্রণোদনা দিয়ে বেশ আলোচিত হয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়। কৃষকগণ জোরদাবি জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে বলেন, এমন কৃষি কর্মকর্তা এ উপজেলায় থাকলে সরকারের যেমন দুর্নাম-বদনাম হবে, তেমনিভাবে প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকগণ বিনামূল্যে সরকারি উপকরণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেই থাকবে। সরকারের কোনো সুফল এই কৃষি কর্মকর্তার কারণে হবে না, হতে দেবে না।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ছয়জন প্রান্তিক কৃষক লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের এ খবর জানান। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে কৃষি কর্মকর্তার অফিসে সাংবাদিক নেতারা গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কোনোভাবেই তাঁর গোপনকক্ষ থেকে বের হননি। পরে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি উভয়পক্ষের কাছ থেকে জানতে হবে। এ ধরণের ঘটনা হলে সেটা তো অনিয়মের মধ্যে পড়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক ও টেলিভিশনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।