ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদায় করোনাক্রান্তে দুজন ও উপসর্গে চারজনের মৃত্যু

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

ফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার করোনা পরিস্থিতি : নতুন শনাক্ত ৫৯ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। যা এ বছরের মধ্যে মধ্যে সর্বোচ্চ। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪৬.০৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দুজন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে আরও চারজন। চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে ভাইরাসটি।
জানা যায়, দামুড়হুদায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ছকিনা বেগমের। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার দশমীপাড়ার বাসিন্দা। দামুড়হুদায় আক্রান্ত হয়ে অপর এক নারীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। এর মধ্যে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলায় অবস্থানকালে, বাকি ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
এদিকে, গতকাল করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি গ্রামের খোরশেদ (৬০), একই এলাকাার কোমরপুর গ্রামের তছলিম উদ্দীনের ছেলে হামিদুল (৫৫), বড় দুধপাতিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী মাছুরা খাতুন (৫০) ও সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘড়ি গ্রামের ইছাহক মণ্ডলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৮০)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাহেত্ আকরাম বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা উক্ত চারজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁদেরকে হাসপাতালের ইয়োলোজোনে ভর্তি রাখা হয়। বুধবার ভোড় সাড়ে চারটায় একজন, সকালে একজন, দুপুরে একজন ও রাতে একসনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর প্রত্যেকের শরীর থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ শেষে করোনা প্রটোকলে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’
অপরদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও ৫৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত নয়টায় জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৬.০৯ শতাংশ। নতুন আক্রন্ত ৫৯ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ৮ জন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪০৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ১৪৬ জন, আলমডাঙ্গার ৪০০ জন, দামুড়হুদায় ৫৭৬ জন ও জীবননগরে ২৮২ জন।
গত মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য চার উপজেলা থেকে ১৭০টি ও গত সোমবার করোনা পরীক্ষার জন্য ১২৪ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষাকৃত মোট ১২৮টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। এর মধ্যে ৫৯ জনের করোনা ফলাফল পজিটিভ আসে, বাকী ৬৯টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ।
এদিকে গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য আরও ১৩১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রেরণকৃত ৫৭৫টি নমুনার ফলাফল পেন্ডিং রয়েছে।
গতকাল দামুড়হুদা উপজেলা থেকে ৪০ জনকে সুস্থতার সনদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৯৬ জন, আলমডাঙ্গার ৩৪৫, দামুড়হুদার ৩৯১ ও জীবননগরে ১৯৭ জন। জেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম ও হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪০১জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ১১ হাজার ৫০০টি, প্রাপ্ত ফলাফল ১০ হাজার ৯২৫টি, পজিটিভ ২ হাজার ৪০৪ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৪০১ জন করোনাক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৭ জন, দামুড়হুদায় ১৬২ জন ও জীবননগরে ৮১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৩৬১ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০৩ জন, আলমডাঙ্গায় ৩০ জন, দামুড়হুদায় ১৪৮ জন ও জীবননগরে ৮০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ১৭ জন, আলমডাঙ্গার ৬ জন, দামুড়হুদার ১২ জন ও জীবননগরের ১ জন জনসহ মোট ৩৬ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। এরমধ্যে সদর উপজেলার ২৫ জন, আলমডাঙ্গায় ১৭ জন, দামুড়হুদায় ২০ জন ও জীবননগরে ৪ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন রয়েছে অন্য ৪ জন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদায় করোনাক্রান্তে দুজন ও উপসর্গে চারজনের মৃত্যু

আপলোড টাইম : ১১:১৮:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১

ফের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার করোনা পরিস্থিতি : নতুন শনাক্ত ৫৯ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। যা এ বছরের মধ্যে মধ্যে সর্বোচ্চ। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ৪৬.০৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন দুজন। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে আরও চারজন। চুয়াডাঙ্গা সদর ও দামুড়হুদা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালাচ্ছে ভাইরাসটি।
জানা যায়, দামুড়হুদায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় ছকিনা বেগমের। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার দশমীপাড়ার বাসিন্দা। দামুড়হুদায় আক্রান্ত হয়ে অপর এক নারীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ জনে। এর মধ্যে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলায় অবস্থানকালে, বাকি ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
এদিকে, গতকাল করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালের ইয়োলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি গ্রামের খোরশেদ (৬০), একই এলাকাার কোমরপুর গ্রামের তছলিম উদ্দীনের ছেলে হামিদুল (৫৫), বড় দুধপাতিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের স্ত্রী মাছুরা খাতুন (৫০) ও সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের তেঘড়ি গ্রামের ইছাহক মণ্ডলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৮০)।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম ফাহেত্ আকরাম বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা উক্ত চারজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। শরীরে করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁদেরকে হাসপাতালের ইয়োলোজোনে ভর্তি রাখা হয়। বুধবার ভোড় সাড়ে চারটায় একজন, সকালে একজন, দুপুরে একজন ও রাতে একসনসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর প্রত্যেকের শরীর থেকে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ শেষে করোনা প্রটোকলে লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’
অপরদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে আরও ৫৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত নয়টায় জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে। গতকাল নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৬.০৯ শতাংশ। নতুন আক্রন্ত ৫৯ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ৮ জন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪০৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ১৪৬ জন, আলমডাঙ্গার ৪০০ জন, দামুড়হুদায় ৫৭৬ জন ও জীবননগরে ২৮২ জন।
গত মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য চার উপজেলা থেকে ১৭০টি ও গত সোমবার করোনা পরীক্ষার জন্য ১২৪ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করে। গতকাল উক্ত নমুনা ও পূর্বের পেন্ডিং নমুনার মধ্যে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষাকৃত মোট ১২৮টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। এর মধ্যে ৫৯ জনের করোনা ফলাফল পজিটিভ আসে, বাকী ৬৯টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ।
এদিকে গতকাল জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ করোনা পরীক্ষার জন্য আরও ১৩১টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করেছে। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রেরণকৃত ৫৭৫টি নমুনার ফলাফল পেন্ডিং রয়েছে।
গতকাল দামুড়হুদা উপজেলা থেকে ৪০ জনকে সুস্থতার সনদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৯৯৬ জন, আলমডাঙ্গার ৩৪৫, দামুড়হুদার ৩৯১ ও জীবননগরে ১৯৭ জন। জেলায় বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম ও হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪০১জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জেলা থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ ১১ হাজার ৫০০টি, প্রাপ্ত ফলাফল ১০ হাজার ৯২৫টি, পজিটিভ ২ হাজার ৪০৪ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডায় ৪০১ জন করোনাক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় অবস্থানকালে আক্রান্ত হয়েছেন ১২১ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৭ জন, দামুড়হুদায় ১৬২ জন ও জীবননগরে ৮১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ৩৬১ জন হোম আইসোলেশনে আছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০৩ জন, আলমডাঙ্গায় ৩০ জন, দামুড়হুদায় ১৪৮ জন ও জীবননগরে ৮০ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন সদর উপজেলার ১৭ জন, আলমডাঙ্গার ৬ জন, দামুড়হুদার ১২ জন ও জীবননগরের ১ জন জনসহ মোট ৩৬ জন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৪ জনের। এরমধ্যে সদর উপজেলার ২৫ জন, আলমডাঙ্গায় ১৭ জন, দামুড়হুদায় ২০ জন ও জীবননগরে ৪ জন। চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলার বাইরে চিকিৎসাধীন রয়েছে অন্য ৪ জন।