ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার প্রতিপক্ষের হেঁসোর কোপে দু’ভাইসহ জখম ৫

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮
  • / ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় পৌনে দু’বিঘা জমির কলাবাগান কেটে দেয়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ে ভাইয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ৫ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আহতদের মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা কোমরপুর ব্রীজপাড়ায় ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রক্তাক্ত জখম বৃদ্ধ ওসমান মালিথা (৬২) জানান আমরা ৫ ভাই এবং ৫ বোন। আমার পিতা রবগুল মালিথা মারা যাওয়ার সময় ৫০ বিঘা জমি রেখে যান। আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে যে যার মত চাষাবাদ করে আসছিলাম। পিতার রেখে যাওয়া জমিজমা নিয়ে ভাই-বোনদের সাথে বেশকিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে আমার পৌনে দু বিঘা জমির কলাবাগান কেটে দেয় আমারই আপন ভাই রিয়াজ উদ্দীন মালিথা। আমি সকালে মাঠে গিয়ে দেখি আমার জমির সমস্ত কলাগাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ভাই রিয়াজের নেতৃত্বে তার দু ছেলে শাহিন (২০) ও সুমন (২২), মৃত মাদার মন্ডলের হযরত আলী (৬০), তার ৩ ছেলে রজিদ (৩০), সজিদ (৩২), মজিদ (৩৫), রহমতুল্লাহ ওরফে মতে’র ৩ ছেলে আকতার (২৮), সালাম (৪৫), মতিয়ার (৩০), মোক্তারপুরে মফিজদ্দিনের ছেলে বাদল (৬৫), বাদলের দু ছেলে আনু (৪৮), মালেক (৪০), জিরাটের গফুর জোয়ার্দ্দারের ছেলে জহিরুল (৫৩) এবং তার ছেলে জিয়ারসহ (৩২) আরও ৪/৫ জন লাঠিসোটাসহ ধারালো হাসুয়া, কুড়াল নিয়ে গতকাল সন্ধ্যার পরপরই আমার বাড়ির গেটের সামনে অবস্থান নেয়। আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আমাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর পর্যায়ক্রমে আমার ছেলে আলমগীর (৩৬), আমার ভাই আব্দুল মালিথা (৫৫) এবং তার দু ছেলে ছানোয়ার (৩০) ও হাসানকে (২৩) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে প্রতিবশীরা আমাদের চিৎলা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। বৃদ্ধ ওসমান মালিথার মাথার দুস্থানে মোট ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার ডান হাতটি ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া ছেলে আলমগীরের মাথায় ১২টি, ভাই আব্দুল্লাহর মাথায় ১৬টি, তার দু ছেলে ছানোয়ারের মাথায় ১৩টি এবং হাসানের মাথায় ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসির আশঙ্কা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদার প্রতিপক্ষের হেঁসোর কোপে দু’ভাইসহ জখম ৫

আপলোড টাইম : ০৯:১৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় পৌনে দু’বিঘা জমির কলাবাগান কেটে দেয়াকে কেন্দ্র করে ভাইয়ে ভাইয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে ৫ জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আহতদের মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা কোমরপুর ব্রীজপাড়ায় ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রক্তাক্ত জখম বৃদ্ধ ওসমান মালিথা (৬২) জানান আমরা ৫ ভাই এবং ৫ বোন। আমার পিতা রবগুল মালিথা মারা যাওয়ার সময় ৫০ বিঘা জমি রেখে যান। আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে যে যার মত চাষাবাদ করে আসছিলাম। পিতার রেখে যাওয়া জমিজমা নিয়ে ভাই-বোনদের সাথে বেশকিছু দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাতে আমার পৌনে দু বিঘা জমির কলাবাগান কেটে দেয় আমারই আপন ভাই রিয়াজ উদ্দীন মালিথা। আমি সকালে মাঠে গিয়ে দেখি আমার জমির সমস্ত কলাগাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ভাই রিয়াজের নেতৃত্বে তার দু ছেলে শাহিন (২০) ও সুমন (২২), মৃত মাদার মন্ডলের হযরত আলী (৬০), তার ৩ ছেলে রজিদ (৩০), সজিদ (৩২), মজিদ (৩৫), রহমতুল্লাহ ওরফে মতে’র ৩ ছেলে আকতার (২৮), সালাম (৪৫), মতিয়ার (৩০), মোক্তারপুরে মফিজদ্দিনের ছেলে বাদল (৬৫), বাদলের দু ছেলে আনু (৪৮), মালেক (৪০), জিরাটের গফুর জোয়ার্দ্দারের ছেলে জহিরুল (৫৩) এবং তার ছেলে জিয়ারসহ (৩২) আরও ৪/৫ জন লাঠিসোটাসহ ধারালো হাসুয়া, কুড়াল নিয়ে গতকাল সন্ধ্যার পরপরই আমার বাড়ির গেটের সামনে অবস্থান নেয়। আমি বাড়ি থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আমাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর পর্যায়ক্রমে আমার ছেলে আলমগীর (৩৬), আমার ভাই আব্দুল মালিথা (৫৫) এবং তার দু ছেলে ছানোয়ার (৩০) ও হাসানকে (২৩) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। পরে প্রতিবশীরা আমাদের চিৎলা হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। বৃদ্ধ ওসমান মালিথার মাথার দুস্থানে মোট ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। তার ডান হাতটি ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া ছেলে আলমগীরের মাথায় ১২টি, ভাই আব্দুল্লাহর মাথায় ১৬টি, তার দু ছেলে ছানোয়ারের মাথায় ১৩টি এবং হাসানের মাথায় ৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসির আশঙ্কা।