ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের খালটি প্রভাবশালীদের দখলে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
  • / ৪৪৮ বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা : সংস্কার দাবি
রোকনুজ্জামান রোকন: দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হাজার পরিবারের পানি নিষ্কাশণের একমাত্র খালটি এখন প্রভাবশালীদের দখলে। কয়েকজন অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তির কারনে খালটি এখন মৃত প্রায়। এই খালটি প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। গ্রামের একমাত্র খালটি ভরাট করে কেউ তৈরি করেছে বাগান, কেউ তৈরি করেছে যাতায়াতের রাস্তা আবার কেউবা খালের একাংশ ভরাট করে গড়ে তুলেছে দোকানসহ বিভিন্ন সুবিধা নিতে খালটি ব্যবহার করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আর তাই দিনেদিনে খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালটি ভরাট হওয়ার কারনে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আর এতে করে পানি বন্দি হয়ে পড়ছে গ্রামের অধিকাংশ পরিবার।
গ্রামের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের কাছ থেকে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে খালটি খনন করা হয়। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে একবারো সংস্কার করা হয়নি খালটি। আর তাই এই সুযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের কিছু অসাধু ব্যক্তিরা খালটিকে নিজেদের প্রয়োজনে ভরাট করে চলেছে। খালটি গোপালপুর গ্র০ামের মাঝদিয়ে বয়ে দলকা-লক্ষীপুর বিলে গিয়ে মিশেছে। আর অন্যদিকটা মিশেছে গোপালপুরসহ আশপাশের গ্রামের বিস্তৃত মাঠের সাথে। এক সময় এই খালের পানি দিয়ে গোপালপুরসহ আশপাশ গ্রামের কৃষকেরা তাদের আবাদী জমিতে পানির অভাব পূরণ করতো। কিন্তু খালটি অবৈধ দখলদারদের দখলের কারনে খালটি ভরাট হয়ে যেমন কৃষকদের আবাদী জমিতে পানি শূন্যতা করেছে ঠিক তেমনি সামান্য বর্ষায় গ্রামের পথঘাটগুলো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী এবং কৃষকেরা। কৃষকদের পাশাপাশি মাছ চাষীরাও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বড় জেয়ালা নামক মাঠে বেশ কয়েকজন মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এমতাবস্তায় পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বন্ধ থাকায় মাছ চাষীরাও পড়েছে চরম বিপাকে। কেননা বর্ষা মৌসুমে পুকুরের বাধ ভেঙ্গে বিলীন হওয়ার সম্ভনাটায় বেশি থাকে যা এর আগেও বেশ কয়েকবার হয়েছে। আবার আরেকটা লক্ষনীয় বিষয় হলো খালের পাশদিয়ে বয়ে গেছে মাঠের রাস্তা। যে রাস্তাদিয়ে কৃষকেরা তাদের ফসলাদি নিয়ে আসে বাড়িতে।
সরেজমিনে গিয়ে এই প্রতিবেদক কথা বলে গ্রামের মেম্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বেশ কয়জন কৃষকের সাথে। তারা জানান, কয়েক যুগ পার হয়ে গেলেও খালটি পুনরায় খনন করলো না কোন সরকার। তবে বিএনপি সরকারের আমলে খনন করা হয়েছিলো খালটি। সেই শেষ আর সংস্কার হয়নি খালটি। আমরা গরীব কৃষক সরকারি পানিতে একটু আবাদ করবো তা আর হলো না। এছাড়া পানি আসার কোন পথ নেই। আসবে কি করে ওই বড়লোকেরা তাতো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এর প্রতিকার ও যারা খাল ভরাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং খালের সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে একজন কৃষিবিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাঠের সাথে খালের সংযোগ বন্ধ হওয়ার কারনে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। যার ফলে কৃষকেরা তাদের আশানুরুপ ফসল ঘরে তুলতে পারে না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদার গোপালপুর গ্রামের খালটি প্রভাবশালীদের দখলে

আপলোড টাইম : ০৫:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮

বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা : সংস্কার দাবি
রোকনুজ্জামান রোকন: দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হাজার পরিবারের পানি নিষ্কাশণের একমাত্র খালটি এখন প্রভাবশালীদের দখলে। কয়েকজন অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তির কারনে খালটি এখন মৃত প্রায়। এই খালটি প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। গ্রামের একমাত্র খালটি ভরাট করে কেউ তৈরি করেছে বাগান, কেউ তৈরি করেছে যাতায়াতের রাস্তা আবার কেউবা খালের একাংশ ভরাট করে গড়ে তুলেছে দোকানসহ বিভিন্ন সুবিধা নিতে খালটি ব্যবহার করছে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আর তাই দিনেদিনে খালটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। খালটি ভরাট হওয়ার কারনে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। আর এতে করে পানি বন্দি হয়ে পড়ছে গ্রামের অধিকাংশ পরিবার।
গ্রামের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের কাছ থেকে জানা যায়, বিগত সরকারের আমলে খালটি খনন করা হয়। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে একবারো সংস্কার করা হয়নি খালটি। আর তাই এই সুযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের কিছু অসাধু ব্যক্তিরা খালটিকে নিজেদের প্রয়োজনে ভরাট করে চলেছে। খালটি গোপালপুর গ্র০ামের মাঝদিয়ে বয়ে দলকা-লক্ষীপুর বিলে গিয়ে মিশেছে। আর অন্যদিকটা মিশেছে গোপালপুরসহ আশপাশের গ্রামের বিস্তৃত মাঠের সাথে। এক সময় এই খালের পানি দিয়ে গোপালপুরসহ আশপাশ গ্রামের কৃষকেরা তাদের আবাদী জমিতে পানির অভাব পূরণ করতো। কিন্তু খালটি অবৈধ দখলদারদের দখলের কারনে খালটি ভরাট হয়ে যেমন কৃষকদের আবাদী জমিতে পানি শূন্যতা করেছে ঠিক তেমনি সামান্য বর্ষায় গ্রামের পথঘাটগুলো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী এবং কৃষকেরা। কৃষকদের পাশাপাশি মাছ চাষীরাও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। বড় জেয়ালা নামক মাঠে বেশ কয়েকজন মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এমতাবস্তায় পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথটি বন্ধ থাকায় মাছ চাষীরাও পড়েছে চরম বিপাকে। কেননা বর্ষা মৌসুমে পুকুরের বাধ ভেঙ্গে বিলীন হওয়ার সম্ভনাটায় বেশি থাকে যা এর আগেও বেশ কয়েকবার হয়েছে। আবার আরেকটা লক্ষনীয় বিষয় হলো খালের পাশদিয়ে বয়ে গেছে মাঠের রাস্তা। যে রাস্তাদিয়ে কৃষকেরা তাদের ফসলাদি নিয়ে আসে বাড়িতে।
সরেজমিনে গিয়ে এই প্রতিবেদক কথা বলে গ্রামের মেম্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বেশ কয়জন কৃষকের সাথে। তারা জানান, কয়েক যুগ পার হয়ে গেলেও খালটি পুনরায় খনন করলো না কোন সরকার। তবে বিএনপি সরকারের আমলে খনন করা হয়েছিলো খালটি। সেই শেষ আর সংস্কার হয়নি খালটি। আমরা গরীব কৃষক সরকারি পানিতে একটু আবাদ করবো তা আর হলো না। এছাড়া পানি আসার কোন পথ নেই। আসবে কি করে ওই বড়লোকেরা তাতো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এর প্রতিকার ও যারা খাল ভরাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং খালের সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে একজন কৃষিবিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাঠের সাথে খালের সংযোগ বন্ধ হওয়ার কারনে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। যার ফলে কৃষকেরা তাদের আশানুরুপ ফসল ঘরে তুলতে পারে না।