ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দামুড়হুদার কুড়–লগাছি এলাকায় বন্ধ হচ্ছে না বাল্যবিয়ে : আইন অমান্য করে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
  • / ৩৩১ বার পড়া হয়েছে

আহাদ আলী: বর্তমান সরকার ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রসাশক যখন বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সে সাথে উপজেলা ও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে তৎপর। তবু বন্ধ হচ্ছে না বাল্য বিয়ে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও মাতুব্বরদের সহায়তায় রাতের আঁধারে এ সব বাল্য বিয়ে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অভিযোগ উঠেছে বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াই খানিকটা গোপনে রাতের আঁধারে এ সব বিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এলাকার স্বার্থন্বেষী কিছু ঈমাম রেজিষ্ট্রশন ছাড়াই ধর্মীয় বিয়ে বৈধ বলে পড়িয়ে দিচ্ছেন বাল্যবিয়ে। আবার ধরা পড়ার ভয়ে কৌশলে নববধুকে বেশ কিছুদিন াপতার গৃহে রেখে সুযোগ বুঝে গোপনে স্বামীর ঘরে নেয়ার অভিযোগও আছে অনেক। দারিদ্রতা মেয়েদের নিরাপত্তারহীনতার কারণে অল্প বয়সে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে দাবি করেন অভিভাবক। ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়ালের প্রভাবে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লে সম্মানহানী ভয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্যবিয়ে বলে অনেক অভিভাবক প্রতিবেদককে জানায়। দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছিসহ আশপাশ অঞ্চলে গোপনে চলছে বাল্যবিয়ে, বন্ধ হচ্ছে না এসমব বিয়ে। এছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষগুলো বাল্যবিবাহের কুফল স¤পর্কে অজ্ঞ, ঠিক তেমনি স্থানীয় অনেক ইমাম ওকাজী দ্বারাও হচ্ছেন প্রভাবিত বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং গ্রামের মানুষের মাঝে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে তুলা ধরা হতে পারে সমাধান। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ সংশিষ্ট কর্তৃপেক্ষর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দামুড়হুদার কুড়–লগাছি এলাকায় বন্ধ হচ্ছে না বাল্যবিয়ে : আইন অমান্য করে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৪:২৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭

আহাদ আলী: বর্তমান সরকার ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রসাশক যখন বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সে সাথে উপজেলা ও স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে তৎপর। তবু বন্ধ হচ্ছে না বাল্য বিয়ে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও মাতুব্বরদের সহায়তায় রাতের আঁধারে এ সব বাল্য বিয়ে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অভিযোগ উঠেছে বিয়ের অনুষ্ঠান ছাড়াই খানিকটা গোপনে রাতের আঁধারে এ সব বিয়ে পড়ানো হচ্ছে। এলাকার স্বার্থন্বেষী কিছু ঈমাম রেজিষ্ট্রশন ছাড়াই ধর্মীয় বিয়ে বৈধ বলে পড়িয়ে দিচ্ছেন বাল্যবিয়ে। আবার ধরা পড়ার ভয়ে কৌশলে নববধুকে বেশ কিছুদিন াপতার গৃহে রেখে সুযোগ বুঝে গোপনে স্বামীর ঘরে নেয়ার অভিযোগও আছে অনেক। দারিদ্রতা মেয়েদের নিরাপত্তারহীনতার কারণে অল্প বয়সে মেয়েদের বাল্যবিবাহ দিতে বাধ্য হচ্ছে বলে দাবি করেন অভিভাবক। ইন্ডিয়ান টিভি সিরিয়ালের প্রভাবে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়লে সম্মানহানী ভয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না বাল্যবিয়ে বলে অনেক অভিভাবক প্রতিবেদককে জানায়। দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছিসহ আশপাশ অঞ্চলে গোপনে চলছে বাল্যবিয়ে, বন্ধ হচ্ছে না এসমব বিয়ে। এছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষগুলো বাল্যবিবাহের কুফল স¤পর্কে অজ্ঞ, ঠিক তেমনি স্থানীয় অনেক ইমাম ওকাজী দ্বারাও হচ্ছেন প্রভাবিত বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে বাল্য বিয়ের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং গ্রামের মানুষের মাঝে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে তুলা ধরা হতে পারে সমাধান। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ সংশিষ্ট কর্তৃপেক্ষর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় সচেতন মহল।