ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দানশীলরা আল্লাহর প্রিয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭
  • / ৪২৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: দুনিয়ার প্রতি বিমুখতা ও অমুখাপেক্ষিতার প্রভাব ফুটে ওঠে দানশীলতার মাধ্যমে। যে ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতি যত বিমুখ হবে তার দানশীলতার মাত্রা তত বাড়বে। আল্লাহর কাছে সম্মান ও মর্যাদা লাভের ক্ষেত্রে এই গুণটি খুবই সহায়ক। রাসূল (সা.) বলেন, ‘দানশীল ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, জান্নাতের কাছাকাছি থাকে। মানুষের কাছে থাকে আর জাহান্নাম থেকে অনেক দূরে থাকে। পক্ষান্তরে কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ ও জান্নাত থেকে দূরে থাকে। মানুষের কাছেও ভিড়তে পারে না। তবে জাহান্নামের অতি কাছে থাকে।’ প্রিয়নবী (সা.) অত্যন্ত দানশীল ছিলেন। তার কাছে কেউ কখনো কিছু চেয়ে ফিরে যায়নি। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। তার দানশীলতার সবচেয়ে বেশি প্রকাশ ঘটত রমজান মাসে। তিনি যখন জিবরাইলের (আ.) সঙ্গে কোরানে কারিমের ‘দাওর’ করতেন তখন তার দানশীলতা অনেক গুণ বেড়ে যেত।’ হজরত ওমর (রা.) বলেন, নবীজীর দরবারে এক লোক এসে কিছু প্রার্থনা করলেন। রাসূল বললেন, এখন তো তোমাকে দেয়ার মতো কিছু আমার কাছে নেই। তুমি আমার কথা বলে কারও কাছ থেকে কিছু ধার নিয়ে নিও। আমার কাছে যখন আসবে তখন পরিশোধ করে দেব। তখন ওমর (রা.) আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তো আপনাকে সামর্থ্যরে বাইরে কিছু দান করতে বলেননি! রাসূল (সা.) হজরত ওমরের এই কথা তেমন পছন্দ করলেন না। এটা দেখে এক আনসারী সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি নিশ্চিন্তে দান করতে থাকুন, আরশের মালিকের কাছে কোনো কিছু কমে যাওয়ার আশঙ্কা করবেন না।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দানশীলরা আল্লাহর প্রিয়

আপলোড টাইম : ০৫:১৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: দুনিয়ার প্রতি বিমুখতা ও অমুখাপেক্ষিতার প্রভাব ফুটে ওঠে দানশীলতার মাধ্যমে। যে ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতি যত বিমুখ হবে তার দানশীলতার মাত্রা তত বাড়বে। আল্লাহর কাছে সম্মান ও মর্যাদা লাভের ক্ষেত্রে এই গুণটি খুবই সহায়ক। রাসূল (সা.) বলেন, ‘দানশীল ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী হয়, জান্নাতের কাছাকাছি থাকে। মানুষের কাছে থাকে আর জাহান্নাম থেকে অনেক দূরে থাকে। পক্ষান্তরে কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ ও জান্নাত থেকে দূরে থাকে। মানুষের কাছেও ভিড়তে পারে না। তবে জাহান্নামের অতি কাছে থাকে।’ প্রিয়নবী (সা.) অত্যন্ত দানশীল ছিলেন। তার কাছে কেউ কখনো কিছু চেয়ে ফিরে যায়নি। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। তার দানশীলতার সবচেয়ে বেশি প্রকাশ ঘটত রমজান মাসে। তিনি যখন জিবরাইলের (আ.) সঙ্গে কোরানে কারিমের ‘দাওর’ করতেন তখন তার দানশীলতা অনেক গুণ বেড়ে যেত।’ হজরত ওমর (রা.) বলেন, নবীজীর দরবারে এক লোক এসে কিছু প্রার্থনা করলেন। রাসূল বললেন, এখন তো তোমাকে দেয়ার মতো কিছু আমার কাছে নেই। তুমি আমার কথা বলে কারও কাছ থেকে কিছু ধার নিয়ে নিও। আমার কাছে যখন আসবে তখন পরিশোধ করে দেব। তখন ওমর (রা.) আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, আল্লাহ তো আপনাকে সামর্থ্যরে বাইরে কিছু দান করতে বলেননি! রাসূল (সা.) হজরত ওমরের এই কথা তেমন পছন্দ করলেন না। এটা দেখে এক আনসারী সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি নিশ্চিন্তে দান করতে থাকুন, আরশের মালিকের কাছে কোনো কিছু কমে যাওয়ার আশঙ্কা করবেন না।