ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দাদীর লাশ নিয়ে ব্যান্ডের তালে নেচে-গেয়ে শ্মশানে নাতিরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১১৮ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন:
১২০ বছর বয়সী দাদী মারা গেছেন। নাতি-নাতনিরা নেচে-গেয়ে শেষকৃত্যের জন্য দাদীর লাশ শ্মশানে নিয়ে গেলেন। এ ঘটনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় শহর দিঘা থানার দক্ষিণ শিমুলিয়ার। ওই দাদীর নাম মাহেশ্বরী চন্দ। বেশ অল্প বয়সে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে সংসারকে সন্তান স্নেহে আগলে রেখেছিলেন তিনি। ছোট ছোট পরিবারের যুগেও একান্নবর্তী পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন তিনি। ১২০ বছর বয়সি ওই নারীর কমপক্ষে ৫৬ জন নাতি ছিলেন। দিব্যি কাটছিল জীবন। তেমন রোগ ভোগও করেননি। তবে আচমকাই যেন বদলে গেল সবকিছু। পরলোকের ডাক অগ্রাহ্য করতে পারলেন না বৃদ্ধা। প্রাণ হারালেন। তার মৃত্যু নাতি-নাতনি ও পরিবারের অন্যদের দুঃখ দিয়েছে ঠিকই। তবে কঠিন বাস্তবকে মেনে নিতে বিশেষ সমস্যা হয়নি তাদের। শেষকৃত্যের অভিনব আয়োজন করেন নাতি-নাতনিরা। হরেক রকম ফুলে সাজিয়ে দেওয়া হয় খাট। আর পাঁচজন শ্মশানযাত্রীর মতো শুধু খই ছড়ানো হলো না। রাস্তায় ছড়ানো হল ফুলও। ওড়ানো হলো আবির। ফাটল আতশবাজি। শবযাত্রীরা ব্যান্ড বাজিয়ে উদ্দাম নাচানাচি করলেন। এভাবেই এগোতে থাকে বৃদ্ধার শববাহী মিছিল। শ্মশানের সামনে গিয়ে শেষ হয় নাচানাচি। এমন অভিনব শবযাত্রা অবাক করে দিয়েছে পুরো দিঘাকে। পর্যটক কিংবা স্থানীয় মানুষ, সবাই ব্যতিক্রমী এই কাণ্ড দেখে থমকে দাঁড়ান। কেউ কেই এ ধরনের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করছেন। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দাদীর লাশ নিয়ে ব্যান্ডের তালে নেচে-গেয়ে শ্মশানে নাতিরা!

আপলোড টাইম : ১০:২৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী ২০২১

বিস্ময় প্রতিবেদন:
১২০ বছর বয়সী দাদী মারা গেছেন। নাতি-নাতনিরা নেচে-গেয়ে শেষকৃত্যের জন্য দাদীর লাশ শ্মশানে নিয়ে গেলেন। এ ঘটনা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় শহর দিঘা থানার দক্ষিণ শিমুলিয়ার। ওই দাদীর নাম মাহেশ্বরী চন্দ। বেশ অল্প বয়সে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে সংসারকে সন্তান স্নেহে আগলে রেখেছিলেন তিনি। ছোট ছোট পরিবারের যুগেও একান্নবর্তী পরিবারকে আগলে রেখেছিলেন তিনি। ১২০ বছর বয়সি ওই নারীর কমপক্ষে ৫৬ জন নাতি ছিলেন। দিব্যি কাটছিল জীবন। তেমন রোগ ভোগও করেননি। তবে আচমকাই যেন বদলে গেল সবকিছু। পরলোকের ডাক অগ্রাহ্য করতে পারলেন না বৃদ্ধা। প্রাণ হারালেন। তার মৃত্যু নাতি-নাতনি ও পরিবারের অন্যদের দুঃখ দিয়েছে ঠিকই। তবে কঠিন বাস্তবকে মেনে নিতে বিশেষ সমস্যা হয়নি তাদের। শেষকৃত্যের অভিনব আয়োজন করেন নাতি-নাতনিরা। হরেক রকম ফুলে সাজিয়ে দেওয়া হয় খাট। আর পাঁচজন শ্মশানযাত্রীর মতো শুধু খই ছড়ানো হলো না। রাস্তায় ছড়ানো হল ফুলও। ওড়ানো হলো আবির। ফাটল আতশবাজি। শবযাত্রীরা ব্যান্ড বাজিয়ে উদ্দাম নাচানাচি করলেন। এভাবেই এগোতে থাকে বৃদ্ধার শববাহী মিছিল। শ্মশানের সামনে গিয়ে শেষ হয় নাচানাচি। এমন অভিনব শবযাত্রা অবাক করে দিয়েছে পুরো দিঘাকে। পর্যটক কিংবা স্থানীয় মানুষ, সবাই ব্যতিক্রমী এই কাণ্ড দেখে থমকে দাঁড়ান। কেউ কেই এ ধরনের আচরণের তীব্র বিরোধিতা করছেন। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন