ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু : চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৮৭ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: নার্স ও আনাড়ি আয়াদের দিয়েই চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার অভিযোগ দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। গতকাল সন্ধ্যায় সন্তান প্রসবকালে এক নবজাতকের মৃত্যু হলে ওই রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসায় অবহেলাসহ আনাড়ি আয়াদের নার্স হিসেবে কাজে লাগানোর অভিযোগ তোলে।
জানা যায়, দর্শনা পুরাতন বাজারপাড়ার বিশিষ্ট চাউল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের স্ত্রী আয়নুর নাহারের হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে দ্রুত তাকে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এসময় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. হোসনে আরা জারী আখি ক্লিনিকে উপস্থিত না থাকায় তার স্বামী ডা. তারিকুল আলম তাৎক্ষণিক রোগী দেখে বেশ কয়েকটি পরিক্ষা দেন।
আয়নুরের আল্ট্রাসনোগ্রাফি শেষে রিপোর্ট দেখে ডা. তারিকুল আলম রোগির পরিবারের সদস্যদের জানান, মায়ের পেটে সন্তান সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। তবে কিছুটা পানির স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। তবে, অস্ত্রপচার মানে সিজারিয়ানের প্রয়োজন নেই। এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আয়নুরকে স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারী করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। ডা. তারিকুল আলম আয়াদের স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারী করানোর নির্দেশ দিয়ে নিজ বাসভবনের উপরতলাস্থ বিশ্রামরুমে চলে যান।
আয়নুরের স্বামী আলাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, অপরেশন থিয়েটারে ২/৩ জন আনাড়ি আয়া স্বাভাবিক ডেলিভারীর চেষ্টা করে দীর্ঘ সময় ধরে। আনাড়ি আয়াদের নিয়মবর্হিভূত টানাটানির কারণেই মারা গেছে আমাদের নবজাতক কন্যা শিশুটি। এছাড়া অতিরিক্ত টানা-হেচড়ার কারনে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রসূতি আয়নুর। রাত ১২টা নাগাদ শেষ খবর পর্যন্ত আয়নুর জ্ঞানহীন অবস্থায় ক্লিনিকের ৩য় তলার একটি বেডে আছে বলে জানা গেছে। আয়নুরের স্বামী আলাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা আরো অভিযোগ করে বলেন, একজন চিকিৎসক কিভাবে এ রকম ইমারজেন্সী পেসেন্ট রেখে বিশ্রামে চলে যান। তার বিবে বোধ দেখে আমরা আশ্চার্য হয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত আয়নুর স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করেছেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা গেছে পেটের মধ্যে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে শিশুটি। চিকিৎসক তরিকুল যদি রোগীর প্রতি মনোযোগী হতেন এমনটা হতো না। প্রত্যক্ষদর্শীরাও মডার্ন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বিভিন অভিযোগও করেন এ প্রতিবেদকের কাছে।
এবিষয়ে ডা. তারিকুল আলমের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টার কমতি রাখেনি। সব রকম চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তবে, নবজাতকটি বাচাঁনো সম্ভব হয়নি। আমাদের চিকিৎসা সেবায় কোন ঘাটতি ছিলো না বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে নবজাতকের মৃত্যু : চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১১:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৮

দর্শনা অফিস: নার্স ও আনাড়ি আয়াদের দিয়েই চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার অভিযোগ দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। গতকাল সন্ধ্যায় সন্তান প্রসবকালে এক নবজাতকের মৃত্যু হলে ওই রোগীর স্বজনেরা চিকিৎসায় অবহেলাসহ আনাড়ি আয়াদের নার্স হিসেবে কাজে লাগানোর অভিযোগ তোলে।
জানা যায়, দর্শনা পুরাতন বাজারপাড়ার বিশিষ্ট চাউল ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের স্ত্রী আয়নুর নাহারের হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে দ্রুত তাকে সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় দর্শনা মর্ডান ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এসময় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. হোসনে আরা জারী আখি ক্লিনিকে উপস্থিত না থাকায় তার স্বামী ডা. তারিকুল আলম তাৎক্ষণিক রোগী দেখে বেশ কয়েকটি পরিক্ষা দেন।
আয়নুরের আল্ট্রাসনোগ্রাফি শেষে রিপোর্ট দেখে ডা. তারিকুল আলম রোগির পরিবারের সদস্যদের জানান, মায়ের পেটে সন্তান সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। তবে কিছুটা পানির স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। তবে, অস্ত্রপচার মানে সিজারিয়ানের প্রয়োজন নেই। এরপর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আয়নুরকে স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারী করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। ডা. তারিকুল আলম আয়াদের স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারী করানোর নির্দেশ দিয়ে নিজ বাসভবনের উপরতলাস্থ বিশ্রামরুমে চলে যান।
আয়নুরের স্বামী আলাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, অপরেশন থিয়েটারে ২/৩ জন আনাড়ি আয়া স্বাভাবিক ডেলিভারীর চেষ্টা করে দীর্ঘ সময় ধরে। আনাড়ি আয়াদের নিয়মবর্হিভূত টানাটানির কারণেই মারা গেছে আমাদের নবজাতক কন্যা শিশুটি। এছাড়া অতিরিক্ত টানা-হেচড়ার কারনে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রসূতি আয়নুর। রাত ১২টা নাগাদ শেষ খবর পর্যন্ত আয়নুর জ্ঞানহীন অবস্থায় ক্লিনিকের ৩য় তলার একটি বেডে আছে বলে জানা গেছে। আয়নুরের স্বামী আলাউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা আরো অভিযোগ করে বলেন, একজন চিকিৎসক কিভাবে এ রকম ইমারজেন্সী পেসেন্ট রেখে বিশ্রামে চলে যান। তার বিবে বোধ দেখে আমরা আশ্চার্য হয়েছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত আয়নুর স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করেছেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে দেখা গেছে পেটের মধ্যে সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে শিশুটি। চিকিৎসক তরিকুল যদি রোগীর প্রতি মনোযোগী হতেন এমনটা হতো না। প্রত্যক্ষদর্শীরাও মডার্ন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বিভিন অভিযোগও করেন এ প্রতিবেদকের কাছে।
এবিষয়ে ডা. তারিকুল আলমের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টার কমতি রাখেনি। সব রকম চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তবে, নবজাতকটি বাচাঁনো সম্ভব হয়নি। আমাদের চিকিৎসা সেবায় কোন ঘাটতি ছিলো না বলে তিনি জানান।