ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনার ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলেমাঠ পাড়ায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে : গ্রাহকদের পকেট কাটলো দালালরা : প্রতিকার কামনা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭
  • / ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস: দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের বেলে মাঠ পাড়ায় মাষ্টারপ্লানে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যেকোন সময় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হতে পারে। সম্প্রতি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলে মাঠ পাড়া পরিদর্শন করে। এদিকে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বা এর দর্শনা সাব-জোনাল অফিসের অজান্তে জনৈক ওমিদুল হক ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের কিছু অসাধু লোকজনের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট থেকে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নামে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জনৈক ওমিদুল নামে ঐ ব্যক্তি ৬মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের কথা বলে এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে ৪৭জন গ্রাহকের নিকট থেকে মিটার বাবদ আড়াই লক্ষাধিক টাকা অর্থ উত্তোলন করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলেমাঠ পাড়া গ্রামের রাহিমন, শফিকুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমানকে দিয়ে ঐ ওমিদুল হক নেপথ্যে থেকে প্রতিটি মিটার বাবদ ৫/৬হাজার করে টাকা উত্তোলন করেছে বলে অনেক গ্রামবাসী এই প্রতিনিধিকে জানায়। গ্রামের ওসমান গনি, আবু তোরাফ, আব্দুল হান্নানসহ বেশ কয়েকজন মহিলা জানান, প্রতিটি পরিবার থেকে বিদ্যুৎ মিটার বাবদ ৫হাজার থেকে ৬হাজার টাকা উত্তোলন করেছে ওমিদুল ও তার সহযোগীরা। অথচ দর্শনা সাব-জোনাল অফিসের কেউই এ বিষয়ে অবগত নন বলে এজিএম মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। যেহেতু বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের কাজ শেষ, অচিরেই বাড়ি বাড়ি নতুন সংযোগ যুক্ত হবে-তাই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চতুর ওমিদুল সেই সুযোগ নিয়ে গ্রামের নিরিহ দরিদ্র সম্ভাব্য গ্রাহকদেও ঠগিয়ে বিদ্যুৎ মিটার প্রতি ৫/৬ হাজার করে টাকা উত্তোলন করে। এ বিষয়ে দর্শনা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মনিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ঐসব বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে খোজখবর না নিয়ে মিটার প্রতি অত টাকা দিয়েছে কেন? তিনি আরো বলেন ১টা বিদ্যুৎ মিটার নিতে গ্রাহককে অফিস খরচ হিসাবে ৭৫০টাকা দিতে হয়, এর বেশী নয়। তবে ঘর ওয়্যারিং খরচ গ্রাহকে বহন করতে হবে। যার ঘর যেমন, তার ঘরের তেমন খরচ করবে গ্রাহকরা। ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলেমাঠ পাড়ায় কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার লোকজন পরিদর্শনে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ঠেকে থাকা গাছপালা পরিষ্কারের কাজ চলছে। এগুলো পরিষ্কারের পর দেখে শুনে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে। এছাড়াও সম্প্রতি ঝড়ে বৈদ্যুতিক  লাইনের উপর বেশকিছু গাছ ভেঙ্গে পড়ায় তা অপসারনে কর্মীরা ব্যস্ত থাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ দেরি হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন যে সব গ্রাহক দালালের খপ্পরে পওে মিটার প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা কওে দালালকে দিয়েছে, তাদের উচিৎ ওই সব দালালদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়া। কারণ নতুন সংযোগ প্রদানে দালালের কোন ভূমিকা নেই। এদিকে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম বলেন আমার ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামে মাষ্টার প্লান্টে কাজ করার জন্য হায়দার ভাইকে নিয়ে এ মাষ্টার প্লান পাশ করে এনেছি। যারা দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে ওমিদুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয় নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনার ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলেমাঠ পাড়ায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে : গ্রাহকদের পকেট কাটলো দালালরা : প্রতিকার কামনা

আপলোড টাইম : ০৪:২৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

দর্শনা অফিস: দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের বেলে মাঠ পাড়ায় মাষ্টারপ্লানে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যেকোন সময় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হতে পারে। সম্প্রতি মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলে মাঠ পাড়া পরিদর্শন করে। এদিকে মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বা এর দর্শনা সাব-জোনাল অফিসের অজান্তে জনৈক ওমিদুল হক ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের কিছু অসাধু লোকজনের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট থেকে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের নামে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জনৈক ওমিদুল নামে ঐ ব্যক্তি ৬মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের কথা বলে এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে ৪৭জন গ্রাহকের নিকট থেকে মিটার বাবদ আড়াই লক্ষাধিক টাকা অর্থ উত্তোলন করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলেমাঠ পাড়া গ্রামের রাহিমন, শফিকুল ইসলাম ও মতিয়ার রহমানকে দিয়ে ঐ ওমিদুল হক নেপথ্যে থেকে প্রতিটি মিটার বাবদ ৫/৬হাজার করে টাকা উত্তোলন করেছে বলে অনেক গ্রামবাসী এই প্রতিনিধিকে জানায়। গ্রামের ওসমান গনি, আবু তোরাফ, আব্দুল হান্নানসহ বেশ কয়েকজন মহিলা জানান, প্রতিটি পরিবার থেকে বিদ্যুৎ মিটার বাবদ ৫হাজার থেকে ৬হাজার টাকা উত্তোলন করেছে ওমিদুল ও তার সহযোগীরা। অথচ দর্শনা সাব-জোনাল অফিসের কেউই এ বিষয়ে অবগত নন বলে এজিএম মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন। যেহেতু বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের কাজ শেষ, অচিরেই বাড়ি বাড়ি নতুন সংযোগ যুক্ত হবে-তাই বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চতুর ওমিদুল সেই সুযোগ নিয়ে গ্রামের নিরিহ দরিদ্র সম্ভাব্য গ্রাহকদেও ঠগিয়ে বিদ্যুৎ মিটার প্রতি ৫/৬ হাজার করে টাকা উত্তোলন করে। এ বিষয়ে দর্শনা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মনিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ঐসব বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে খোজখবর না নিয়ে মিটার প্রতি অত টাকা দিয়েছে কেন? তিনি আরো বলেন ১টা বিদ্যুৎ মিটার নিতে গ্রাহককে অফিস খরচ হিসাবে ৭৫০টাকা দিতে হয়, এর বেশী নয়। তবে ঘর ওয়্যারিং খরচ গ্রাহকে বহন করতে হবে। যার ঘর যেমন, তার ঘরের তেমন খরচ করবে গ্রাহকরা। ঝাঁঝাডাঙ্গা বেলেমাঠ পাড়ায় কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার লোকজন পরিদর্শনে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ লাইনের সাথে ঠেকে থাকা গাছপালা পরিষ্কারের কাজ চলছে। এগুলো পরিষ্কারের পর দেখে শুনে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হবে। এছাড়াও সম্প্রতি ঝড়ে বৈদ্যুতিক  লাইনের উপর বেশকিছু গাছ ভেঙ্গে পড়ায় তা অপসারনে কর্মীরা ব্যস্ত থাকায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ দেরি হচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন যে সব গ্রাহক দালালের খপ্পরে পওে মিটার প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা কওে দালালকে দিয়েছে, তাদের উচিৎ ওই সব দালালদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়া। কারণ নতুন সংযোগ প্রদানে দালালের কোন ভূমিকা নেই। এদিকে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম বলেন আমার ইউনিয়নের ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামে মাষ্টার প্লান্টে কাজ করার জন্য হায়দার ভাইকে নিয়ে এ মাষ্টার প্লান পাশ করে এনেছি। যারা দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীর নিকট থেকে টাকা উত্তোলন করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে ওমিদুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয় নি।