ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনা থানার পুলিশকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করল আসামীরা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৯৫ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নে আসামী ধরতে যাওয়া পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে, অতিরিক্ত টিম যেয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেগমপুর ইউনিয়নে শৈলমারী গ্রামে একটি বাড়িতে মারামারি ও ছিনতাই মামলার আসামী ধরতে যায় দর্শনা থানা-পুলিশ। এসময় ওই বাড়ির লোকজন প্রবেশদ্বারের গেট আটকে পুলিশদের অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাঁদেরকে উদ্ধার করে। শৈলমারী গ্রামের ইবাদ মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু (৫৪) ও ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানুকে (৬০) গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেগমপুর বিলপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (৩৭) গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে একই ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের মাঠের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গতিরোধ করে। তার কাছে থাকা নগদ ২৭ শত টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একই ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের ইবাদ মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু (৫৪) ও ছানোয়া হোসেন ওরফে ছানু (৬০), মুনছুর আলীর ছেলে রিপন (৪০), আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহাগ (৩২) ও কাদের আলীর ছেলে আকাশকে (৩৫) আসামী করে থানায় মামলা করেন। এ মামলার আসামীদেরকে ধরতে গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার এএসআই কুদ্দুস ও জাহিদ আসামী ছানোয়ার হোসের বাড়ি প্রবেশ করেন। এসময় পুলিশের উপর চড়াও হন তাঁরা। একপর্যায় পুলিমের সাথে অসাদাচরণ করা হয়। একপর্যায় অবস্থা বেগতিক বুঝে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাঁদেরকে উদ্ধারসহ আনোয়ার হোসেন আনু ও ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান কাজল জানান, বেগমপুরের শৈলমারী গ্রামে একটি মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই মামলার ঘটনা তদন্ত ও আসামীকে গ্রেপ্তারে গেলে পুলিশের সাথে অসদাচরণ করেন আসামীরা। পরবর্তীতে আসামী আনোয়ার হোসেন ও ছানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবরুদ্ধ করা হয়েছে, এই বিষয়টি সঠিক নয়। তবে আসামীরা বিভিন্নভাবে পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনা থানার পুলিশকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করল আসামীরা!

আপলোড টাইম : ০৯:৪৪:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

দর্শনা অফিস:
চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নে আসামী ধরতে যাওয়া পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে, অতিরিক্ত টিম যেয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বেগমপুর ইউনিয়নে শৈলমারী গ্রামে একটি বাড়িতে মারামারি ও ছিনতাই মামলার আসামী ধরতে যায় দর্শনা থানা-পুলিশ। এসময় ওই বাড়ির লোকজন প্রবেশদ্বারের গেট আটকে পুলিশদের অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে তাঁদেরকে উদ্ধার করে। শৈলমারী গ্রামের ইবাদ মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু (৫৪) ও ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানুকে (৬০) গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেগমপুর বিলপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে জাকির হোসেন (৩৭) গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে একই ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের মাঠের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গতিরোধ করে। তার কাছে থাকা নগদ ২৭ শত টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একই ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের ইবাদ মন্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু (৫৪) ও ছানোয়া হোসেন ওরফে ছানু (৬০), মুনছুর আলীর ছেলে রিপন (৪০), আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহাগ (৩২) ও কাদের আলীর ছেলে আকাশকে (৩৫) আসামী করে থানায় মামলা করেন। এ মামলার আসামীদেরকে ধরতে গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার এএসআই কুদ্দুস ও জাহিদ আসামী ছানোয়ার হোসের বাড়ি প্রবেশ করেন। এসময় পুলিশের উপর চড়াও হন তাঁরা। একপর্যায় পুলিমের সাথে অসাদাচরণ করা হয়। একপর্যায় অবস্থা বেগতিক বুঝে থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাঁদেরকে উদ্ধারসহ আনোয়ার হোসেন আনু ও ছানোয়ার হোসেন ওরফে ছানুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান কাজল জানান, বেগমপুরের শৈলমারী গ্রামে একটি মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়। ওই মামলার ঘটনা তদন্ত ও আসামীকে গ্রেপ্তারে গেলে পুলিশের সাথে অসদাচরণ করেন আসামীরা। পরবর্তীতে আসামী আনোয়ার হোসেন ও ছানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবরুদ্ধ করা হয়েছে, এই বিষয়টি সঠিক নয়। তবে আসামীরা বিভিন্নভাবে পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে।