ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনা এখন সাংস্কৃতিক সম্ভাবনার বাতিঘর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০
  • / ২১৯ বার পড়া হয়েছে

অনির্বাণ থিয়েটার এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের কথা বলে
আওয়াল হোসেন:
চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্তবর্তী শহর দর্শনা। এ শহরটি এখন নাট্যচার্চার উজ্জ্বল সম্ভাবনার স্থল হিসেবে বিবেচিত। আর এ অঞ্চলের নাট্যচর্চার পথিকৃত হিসেবে অন্যতম আলোচিত সংগঠন হলো ‘অনির্বাণ থিয়েটার’।
‘জাতীয় সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশ চাই’ এ অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৮৩ সালের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়। মুনির চৌধুরীর কবর নাটক দিয়ে অনির্বাণ থিয়েটার নাট্যাঙ্গনে পর্দাপণ করে। এরপর থেকে একে একে মঞ্চায়ন করতে সক্ষম হয় সংগঠনের ৪৩তম পরিবেশনা। সর্বশেষ মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হিং টিং সট। এ ছাড়া নাট্যজন আনোয়ার হোসেন লেখা ও নির্দেশনা ‘জিষ্ণু যারা’ নাটকটি ভারতের কলকাতা, ঢাকা, রাজশাহীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনির্বাণ থিয়েটারের প্রযোজনায় দেশের বর্তমান অবস্থায় পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত ‘জিষ্ণু যারা’ নাটকটি। মূলত যুগোপযোগী হওয়ার কারণেই নাটকটি দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলে।
নাটক ও সংগঠন সম্পর্কে অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাটক মানুষের কথা বলে। নাটক শিল্পের কথা বলে। ধারণ করে কালকে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত ত্রিকালের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচর্যায় নাটক হয়ে ওঠে পরিপুষ্ট। আর এর পেছনে কার করে একদল সাহসী নাট্যকর্মী। অনির্বাণ থিয়েটার নিয়মিত নাটক মঞ্চস্থর মাধ্যমে দেশর সাংস্কৃতিক বিকাশে যেমন অবদার রাখছে, তেমন একটি অঞ্চলের সমাজচিত্র তুলে ধরে সচেতন করছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের।’ সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশের লক্ষ্যে নিয়মিত নাটক মঞ্চস্থের মধ্য দিয়েই অনির্বাণ থিয়েটার আজ মাটি ও মানুষের সংগঠনে পরিণত হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এ দর্শনা অঞ্চলকে করে তুলেছে সাংস্কৃতিক সম্ভাবনার বাতিঘর, এমনটাই মনে করেন অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন আনোয়ার হোসেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনা এখন সাংস্কৃতিক সম্ভাবনার বাতিঘর

আপলোড টাইম : ১১:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০

অনির্বাণ থিয়েটার এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের কথা বলে
আওয়াল হোসেন:
চুয়াডাঙ্গা জেলার সীমান্তবর্তী শহর দর্শনা। এ শহরটি এখন নাট্যচার্চার উজ্জ্বল সম্ভাবনার স্থল হিসেবে বিবেচিত। আর এ অঞ্চলের নাট্যচর্চার পথিকৃত হিসেবে অন্যতম আলোচিত সংগঠন হলো ‘অনির্বাণ থিয়েটার’।
‘জাতীয় সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশ চাই’ এ অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৮৩ সালের ১৭ ফ্রেব্রুয়ারি দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়। মুনির চৌধুরীর কবর নাটক দিয়ে অনির্বাণ থিয়েটার নাট্যাঙ্গনে পর্দাপণ করে। এরপর থেকে একে একে মঞ্চায়ন করতে সক্ষম হয় সংগঠনের ৪৩তম পরিবেশনা। সর্বশেষ মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হিং টিং সট। এ ছাড়া নাট্যজন আনোয়ার হোসেন লেখা ও নির্দেশনা ‘জিষ্ণু যারা’ নাটকটি ভারতের কলকাতা, ঢাকা, রাজশাহীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনির্বাণ থিয়েটারের প্রযোজনায় দেশের বর্তমান অবস্থায় পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত ‘জিষ্ণু যারা’ নাটকটি। মূলত যুগোপযোগী হওয়ার কারণেই নাটকটি দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলে।
নাটক ও সংগঠন সম্পর্কে অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাটক মানুষের কথা বলে। নাটক শিল্পের কথা বলে। ধারণ করে কালকে। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত ত্রিকালের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরিচর্যায় নাটক হয়ে ওঠে পরিপুষ্ট। আর এর পেছনে কার করে একদল সাহসী নাট্যকর্মী। অনির্বাণ থিয়েটার নিয়মিত নাটক মঞ্চস্থর মাধ্যমে দেশর সাংস্কৃতিক বিকাশে যেমন অবদার রাখছে, তেমন একটি অঞ্চলের সমাজচিত্র তুলে ধরে সচেতন করছে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের।’ সংস্কৃতির প্রগতিশীল বিকাশের লক্ষ্যে নিয়মিত নাটক মঞ্চস্থের মধ্য দিয়েই অনির্বাণ থিয়েটার আজ মাটি ও মানুষের সংগঠনে পরিণত হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী এ দর্শনা অঞ্চলকে করে তুলেছে সাংস্কৃতিক সম্ভাবনার বাতিঘর, এমনটাই মনে করেন অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন আনোয়ার হোসেন।