ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত কিশোরের তিনদিন পর পরিচয় মিলেছে মায়ের বকুনী : ক্ষোভে ট্রেনে মাথা দেয় রায়হান!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:১৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭
  • / ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে

20170515_213728দর্শনা অফিস: দর্শনা হল্ট স্টেশন সংলগ্ন গ্যাং কোয়াটারপাড়ার রেল লাইনের পাশ হতে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় তিনদিন পর গতকাল নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
অজ্ঞাত কিশোর দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুরের ক্যাম্পপাড়ার দিন মজুর বিল্লাল হেসেনের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে রায়হান। রায়হান মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলো। এর আগে ৭ম শেনী পর্যন্ত সে দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার পড়াশুনা করেছে। পরিবার সদস্যরা জানান, গত শুক্রবার রাত করে বাড়িতে এলে তার মা পড়াশুনা সংক্রান্ত বিষয়ে বকাঝকা করেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়হানের পিতা দিনমজুর বিল্লাল হোসেন বাড়িতে আসে এবং ছেলেকে নিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন। এরপর কিশোর রায়হান পরিবারের সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে দর্শনা হল্ট স্টেশনে এসে স্টেশন সংলগ্ন গ্যাং কোয়াটারপাড়ার নিকটে খুলনা-সৈয়দপুর সিমান্ত এক্সপ্রেস চলন্ত ট্রেনে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করে। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন রাতেই দর্শনা হল্ট স্টেশনের জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। পরেরদিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকটি পরিবার তাদের সন্তানের লাশ কিনা দেখতে আসে। ওই দিন রায়হানের পিতা ও বড় ভাইও এসেছিলো হল্ট স্টেশনে কিন্তু রায়হানের পিতা বুঝতে পারেনি ট্রেনে কাটা লাশটি তার সন্তানের। কারণ শরির থেকে মাথা বিছিন্ন লাশ দেখতে পারবেন না বলে লাশ না দেখে ফেরত যান। অবশেষে তিনপর নিশ্চিত হলেন এটা তার সন্তানের লাশ। গতকাল দুপুরে বিল্লাল হোসেন স্টেশনে এসে লাশের ছবি ও পরনের কাপড় গেঞ্জি ও প্যান্ট দেখে নিশ্চিত হন এটা তার সন্তান রায়হান। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে দর্শনা জিআরপি পুলিশ সদস্যরা তাকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে লাশের পরিচয় না পেয়ে জিআরপি পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে চুয়াডাঙ্গা আনজুমান মফিদুলে দাফনকার্য সম্পন্ন করে।  গতকাল ট্রেনে কাটা রায়হানের লাশের পরিচয় নিশ্চিতের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পরিবারে আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে। এসময় শতশত নারী-পুরুষ বিল্লালের বাড়িতে ভিড় জমায়। অনেকে বিল্লাল ও তার স্ত্রী সান্তনা দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত কিশোরের তিনদিন পর পরিচয় মিলেছে মায়ের বকুনী : ক্ষোভে ট্রেনে মাথা দেয় রায়হান!

আপলোড টাইম : ০৫:১৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০১৭

20170515_213728দর্শনা অফিস: দর্শনা হল্ট স্টেশন সংলগ্ন গ্যাং কোয়াটারপাড়ার রেল লাইনের পাশ হতে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় তিনদিন পর গতকাল নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
অজ্ঞাত কিশোর দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুরের ক্যাম্পপাড়ার দিন মজুর বিল্লাল হেসেনের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে রায়হান। রায়হান মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলো। এর আগে ৭ম শেনী পর্যন্ত সে দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার পড়াশুনা করেছে। পরিবার সদস্যরা জানান, গত শুক্রবার রাত করে বাড়িতে এলে তার মা পড়াশুনা সংক্রান্ত বিষয়ে বকাঝকা করেন। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়হানের পিতা দিনমজুর বিল্লাল হোসেন বাড়িতে আসে এবং ছেলেকে নিয়ে একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন। এরপর কিশোর রায়হান পরিবারের সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে দর্শনা হল্ট স্টেশনে এসে স্টেশন সংলগ্ন গ্যাং কোয়াটারপাড়ার নিকটে খুলনা-সৈয়দপুর সিমান্ত এক্সপ্রেস চলন্ত ট্রেনে মাথা দিয়ে আত্মহত্যা করে। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন রাতেই দর্শনা হল্ট স্টেশনের জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিশোরের লাশ উদ্ধার করে। পরেরদিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসা কয়েকটি পরিবার তাদের সন্তানের লাশ কিনা দেখতে আসে। ওই দিন রায়হানের পিতা ও বড় ভাইও এসেছিলো হল্ট স্টেশনে কিন্তু রায়হানের পিতা বুঝতে পারেনি ট্রেনে কাটা লাশটি তার সন্তানের। কারণ শরির থেকে মাথা বিছিন্ন লাশ দেখতে পারবেন না বলে লাশ না দেখে ফেরত যান। অবশেষে তিনপর নিশ্চিত হলেন এটা তার সন্তানের লাশ। গতকাল দুপুরে বিল্লাল হোসেন স্টেশনে এসে লাশের ছবি ও পরনের কাপড় গেঞ্জি ও প্যান্ট দেখে নিশ্চিত হন এটা তার সন্তান রায়হান। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে দর্শনা জিআরপি পুলিশ সদস্যরা তাকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে লাশের পরিচয় না পেয়ে জিআরপি পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে চুয়াডাঙ্গা আনজুমান মফিদুলে দাফনকার্য সম্পন্ন করে।  গতকাল ট্রেনে কাটা রায়হানের লাশের পরিচয় নিশ্চিতের খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পরিবারে আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠে। এসময় শতশত নারী-পুরুষ বিল্লালের বাড়িতে ভিড় জমায়। অনেকে বিল্লাল ও তার স্ত্রী সান্তনা দেন।