ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দর্শনায় কেরুজ আবর্জনা যাওয়ার পাইপটি শ্যামপুর জোড়া বটতলাসহ বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গা : দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা : সংস্কার দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে

ওয়াসিম রয়েল: ১৯৩৮ সালে নির্মিত কেরুজ ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ মাথাভাঙ্গা নদীতে যাওয়ার জন্য বৃটিশ কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোম্পানী থেকে মাথাভাঙ্গা নদী পর্যন্ত এই পাইপ লাইনটি স্থাপন করেন। কিন্তু কালের পরিবর্তনে অনেক দিনের এই পুরনো পাইপ লাইনটি সংস্কারের অভাবে বেশকয়েক বছর আগে থেকে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে এলাকাবাসীর জনজীবন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বার বার দৃষ্টি আকর্ষন করলে বেশ কয়েক বছর আগে শ্যামপুর হিন্দু পাড়া থেকে জোড়া বটতলা পর্যন্ত এ পাইপ লাইনের স্থায়ী সংস্করন হলেও জোড়া বটতলা থেকে পাইপ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ফুট পুরনো পাইপটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে দিন যত যাচ্ছে ততোই যেন এই দীর্ঘদিনের পুরনো পাইপটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ধরে ধষে যাচ্ছে। এতে জিবননাশের হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে পাইপ ঘাট এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায় প্রায় ৮মাস আগে এই পাইপের দুই থেকে তিন যায়গায় ৫-৬ ফুট করে ভেঙ্গে পাইপের ভিতরে ধ্বসে যায়। পাইপ ঘাটপাড়ার আবু বকর নামের এক ব্যাক্তি জানায় পাইপটি বিভিন্ন যায়গায় ধ্বসে যাওয়ার পর আমরা বেশ কয়েকবার কেরুজ বিল্ডিং বিভাগের প্রকৌশলিকে জানালে দায়ভার এড়াতে কখনো টিন দিয়ে আবার কখনো কাঠের পাট দিয়ে ধ্বসে যাওয়া জায়গাটি ঢেকে দিয়ে যায়। কিন্তু এর স্থায়ী কোন সমাধান পায়নি এলাকাবাসী। একইপাড়ার ইসমাইল হোসেন জানায় এই পাইপটি ধ্বসে যাওয়ার পর প্রায় ৭ থেকে ৮টি ছাগল এর গভিরে পড়ে যায়। কয়েকটি জীবিত অবস্থায় তোলা গেলেও ৪টি ছাগল এই পাইপের গভীরে পড়ে মারা যায়। এ বিষয়ে সামসুল নামের এক ব্যাক্তি জানায় ময়লা আবর্জনা ও কেরুর বর্জ্য পদার্থ যাওয়া এই পাইপটি বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জায়গায় ভেঙ্গে ধ্বসে পড়েছে ফলে আবর্জনার দূর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে দেখা যায় ১০০টিরও বেশি পরিবার এই পাইপ লাইন পার হয়ে প্রতিনিয়ত তাদের বড়িতে যাওয়া আসা করে থাকে। ঐসমস্ত পরিবারসহ এলাকাবাসী সর্বদা আতঙ্কে থাকে কখন না কখন দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিকাল হলে দেখা যায় অনেক পরিবারের শিশু সন্তানেরা পাইপ লাইনের পাশে খোলা মাঠে খেলা করে। একটু অসাবধানতায় হয়তো একটি শিশু সন্তানের জীবন হয়ে উঠতে পারে দুর্বিসহ। তাই এ ঝুকিপূর্ণ জনজীবন ও বিভিন্ন রকম সমস্যায় অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দর্শনায় কেরুজ আবর্জনা যাওয়ার পাইপটি শ্যামপুর জোড়া বটতলাসহ বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গা : দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা : সংস্কার দাবি

আপলোড টাইম : ০৪:১৯:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০১৭

ওয়াসিম রয়েল: ১৯৩৮ সালে নির্মিত কেরুজ ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ মাথাভাঙ্গা নদীতে যাওয়ার জন্য বৃটিশ কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোম্পানী থেকে মাথাভাঙ্গা নদী পর্যন্ত এই পাইপ লাইনটি স্থাপন করেন। কিন্তু কালের পরিবর্তনে অনেক দিনের এই পুরনো পাইপ লাইনটি সংস্কারের অভাবে বেশকয়েক বছর আগে থেকে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে এলাকাবাসীর জনজীবন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বার বার দৃষ্টি আকর্ষন করলে বেশ কয়েক বছর আগে শ্যামপুর হিন্দু পাড়া থেকে জোড়া বটতলা পর্যন্ত এ পাইপ লাইনের স্থায়ী সংস্করন হলেও জোড়া বটতলা থেকে পাইপ ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ফুট পুরনো পাইপটি সংস্কার করা হয়নি। ফলে দিন যত যাচ্ছে ততোই যেন এই দীর্ঘদিনের পুরনো পাইপটি বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ধরে ধষে যাচ্ছে। এতে জিবননাশের হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে পাইপ ঘাট এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায় প্রায় ৮মাস আগে এই পাইপের দুই থেকে তিন যায়গায় ৫-৬ ফুট করে ভেঙ্গে পাইপের ভিতরে ধ্বসে যায়। পাইপ ঘাটপাড়ার আবু বকর নামের এক ব্যাক্তি জানায় পাইপটি বিভিন্ন যায়গায় ধ্বসে যাওয়ার পর আমরা বেশ কয়েকবার কেরুজ বিল্ডিং বিভাগের প্রকৌশলিকে জানালে দায়ভার এড়াতে কখনো টিন দিয়ে আবার কখনো কাঠের পাট দিয়ে ধ্বসে যাওয়া জায়গাটি ঢেকে দিয়ে যায়। কিন্তু এর স্থায়ী কোন সমাধান পায়নি এলাকাবাসী। একইপাড়ার ইসমাইল হোসেন জানায় এই পাইপটি ধ্বসে যাওয়ার পর প্রায় ৭ থেকে ৮টি ছাগল এর গভিরে পড়ে যায়। কয়েকটি জীবিত অবস্থায় তোলা গেলেও ৪টি ছাগল এই পাইপের গভীরে পড়ে মারা যায়। এ বিষয়ে সামসুল নামের এক ব্যাক্তি জানায় ময়লা আবর্জনা ও কেরুর বর্জ্য পদার্থ যাওয়া এই পাইপটি বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জায়গায় ভেঙ্গে ধ্বসে পড়েছে ফলে আবর্জনার দূর্গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে দেখা যায় ১০০টিরও বেশি পরিবার এই পাইপ লাইন পার হয়ে প্রতিনিয়ত তাদের বড়িতে যাওয়া আসা করে থাকে। ঐসমস্ত পরিবারসহ এলাকাবাসী সর্বদা আতঙ্কে থাকে কখন না কখন দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া বিকাল হলে দেখা যায় অনেক পরিবারের শিশু সন্তানেরা পাইপ লাইনের পাশে খোলা মাঠে খেলা করে। একটু অসাবধানতায় হয়তো একটি শিশু সন্তানের জীবন হয়ে উঠতে পারে দুর্বিসহ। তাই এ ঝুকিপূর্ণ জনজীবন ও বিভিন্ন রকম সমস্যায় অতিদ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।