ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দরুদ শরিফের আমল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৪৩৫ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ইসলামের নবী মুহম্মদ (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এর দ্বারা আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর ওপর রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর জন্য রহমতের দোয়া কর এবং তার প্রতি সালাম পাঠাও।’ এটা আমাদের প্রিয়নবীর (সা.) একমাত্র বৈশিষ্ট্য যে, তার ওপর আল্লাহ ও ফেরেশতারা দরুদ পাঠান। তার কল্যাণের জন্য দোয়া করেন। আল্লাহর পরেই মানবজাতির ওপর সবচেয়ে অনুগ্রহশীল হলেন রাসুুলুল্লাহ (সা.)। এ জন্য তার মর্যাদা ও বিশেষত্ব অন্য সব নবীর চেয়ে বেশি। দরুদ শরিফ স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ দরুদ শরিফ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। এর কারণে আল্লাহ তায়ালাও বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টিপাত করেন। হাদিসে আছে, যারা রাসুলের (সা.) ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে কেয়ামতের দিন রাসুল নিজে তার জন্য সুপারিশ করবেন। এ জন্য রাসুলের (সা.) নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর দরুদ পাঠ করার তাগিদ রয়েছে হাদিসে। যারা রাসুলের নাম উচ্চারণের পর ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর মতো ন্যূনতম দায়িত্বও পালন করেন তাদের হতভাগা বলা হয়েছে। জীবনে অন্তত একবার রাসুলের (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করা ফরজ। নামাজের মধ্যে প্রসিদ্ধ দরুদ (দরুদে ইবরাহিম) শরিফটি পাঠ করা সুন্নত। সাধারণত কোনো স্থানে রাসুলের (সা.) নাম যখন উচ্চারণ করা হলে তার প্রতি দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। জুমার দিন ও রাতে দরুদ শরিফ পড়া খুবই কল্যাণকর। হাদিসে আছে, ‘তোমরা জুমার দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি করে দরুদ পড়। যে ব্যক্তি এরূপ করবে আমি কেয়ামতের দিন তার পক্ষ অবলম্বন করব, তার পক্ষে সাক্ষ্য দেব এবং তার জন্য সুপারিশ করব।’ আমাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার মুখাপেক্ষী রাসুল (সা.) নন। তার ওপর দরুদ পড়তে হবে আমাদের নিজেদেরই স্বার্থে। এর মাধ্যমে উম্মত সাফল্যের সোপান অতিক্রম করতে পারে। দরুদ হলো রাসুলের (সা.) প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন। কিয়ামতের দিন প্রিয়নবীর (সা.) সুপারিশ ছাড়া কেউ মুক্তি পাবে না। এ জন্য তার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দরুদ শরিফের আমল

আপলোড টাইম : ১০:১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০১৮

ধর্ম ডেস্ক: ইসলামের নবী মুহম্মদ (সা.)-এর ওপর দরুদ পাঠ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এর দ্বারা আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা নবীর ওপর রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর জন্য রহমতের দোয়া কর এবং তার প্রতি সালাম পাঠাও।’ এটা আমাদের প্রিয়নবীর (সা.) একমাত্র বৈশিষ্ট্য যে, তার ওপর আল্লাহ ও ফেরেশতারা দরুদ পাঠান। তার কল্যাণের জন্য দোয়া করেন। আল্লাহর পরেই মানবজাতির ওপর সবচেয়ে অনুগ্রহশীল হলেন রাসুুলুল্লাহ (সা.)। এ জন্য তার মর্যাদা ও বিশেষত্ব অন্য সব নবীর চেয়ে বেশি। দরুদ শরিফ স্বতন্ত্র একটি ইবাদত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।’ দরুদ শরিফ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। এর কারণে আল্লাহ তায়ালাও বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টিপাত করেন। হাদিসে আছে, যারা রাসুলের (সা.) ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে কেয়ামতের দিন রাসুল নিজে তার জন্য সুপারিশ করবেন। এ জন্য রাসুলের (সা.) নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর দরুদ পাঠ করার তাগিদ রয়েছে হাদিসে। যারা রাসুলের নাম উচ্চারণের পর ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ এর মতো ন্যূনতম দায়িত্বও পালন করেন তাদের হতভাগা বলা হয়েছে। জীবনে অন্তত একবার রাসুলের (সা.) ওপর দরুদ পাঠ করা ফরজ। নামাজের মধ্যে প্রসিদ্ধ দরুদ (দরুদে ইবরাহিম) শরিফটি পাঠ করা সুন্নত। সাধারণত কোনো স্থানে রাসুলের (সা.) নাম যখন উচ্চারণ করা হলে তার প্রতি দরুদ পাঠ করা ওয়াজিব। জুমার দিন ও রাতে দরুদ শরিফ পড়া খুবই কল্যাণকর। হাদিসে আছে, ‘তোমরা জুমার দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি করে দরুদ পড়। যে ব্যক্তি এরূপ করবে আমি কেয়ামতের দিন তার পক্ষ অবলম্বন করব, তার পক্ষে সাক্ষ্য দেব এবং তার জন্য সুপারিশ করব।’ আমাদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার মুখাপেক্ষী রাসুল (সা.) নন। তার ওপর দরুদ পড়তে হবে আমাদের নিজেদেরই স্বার্থে। এর মাধ্যমে উম্মত সাফল্যের সোপান অতিক্রম করতে পারে। দরুদ হলো রাসুলের (সা.) প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন। কিয়ামতের দিন প্রিয়নবীর (সা.) সুপারিশ ছাড়া কেউ মুক্তি পাবে না। এ জন্য তার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করতে হবে।