ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দম বন্ধ হয়ে আসমা আর হাসিবুলের করুণ মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০
  • / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে

কার্পাসডাঙ্গায় নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের পানি পরিস্কার নেমে বিপত্তি
মোজাম্মেল শিশির/ইকবাল রেজা:
দামুড়হুদায় নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের পানি পরিস্কার করতে নেমে আসমা খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরী ও হাসিবুল ইসলাম (২৫) নামের দুজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহত আসমা খাতুন কার্পাসডাঙ্গা মুদি ব্যবসায়ী ইশাদুল হকের মেয়ে এবং দোকান কর্মচারী হাসিবুল উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ায় ওই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ওই সেপটিক ট্যাংকের মধ্য থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার মুদি ব্যবসায়ী ইশাদুল হক তাঁর নিজ বসতবাড়ির একাংশে নতুন সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করছেন। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন ওই সেপটিক ট্যাংক পানিতে ভরে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মুদি ব্যবসায়ী ইশাদুল হকের মেয়ে আসমা খাতুন সেপটিক ট্যাংকের বাঁশ বয়ে নিচে নামে জমে থাকা পানি পরিস্কার করার জন্য। সেপটিক ট্যাংকে নামার পরপরই অক্সিজেনের অভাবে দম বন্ধ হয়ে পানির নিচে তলিয়ে যায় আসমা। তাঁকে উদ্ধার করতে দোকান কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম ওই সেপটিক ট্যাংকে নামলে একইভাবে তিনিও দম বন্ধ হয়ে পানির নিচে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির পুলিশ ছুটে যান ঘটনাস্থলে।

 

খবর দেয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে। বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাঁরা আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর বাতাস প্রবেশ করালে দুজনের মৃতদেহ পানিতে ভেসে ওঠে। পরে বিকেল ছয়টার দিকে হাসিবুলের পরিবারের লোকজন তাঁর মরদেহ নিজ গ্রাম নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ দুটোর জানাজা শেষে দাফনকার্যের প্রস্তুতি চলছিল।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে জানতে পারি কার্পাসডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে দুজন পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থানে চলে আসি এবং বিকেল ৫টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে একজন নারী ও একজন পুরুষকে উদ্ধার করি। উদ্ধার করার পর দেখি তারা মারা গিয়েছে। আমরা জানতে পারি তারা মামা ও ভাগ্নে।’
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দম বন্ধ হয়ে আসমা আর হাসিবুলের করুণ মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ১০:১৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জুলাই ২০২০

কার্পাসডাঙ্গায় নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের পানি পরিস্কার নেমে বিপত্তি
মোজাম্মেল শিশির/ইকবাল রেজা:
দামুড়হুদায় নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের পানি পরিস্কার করতে নেমে আসমা খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরী ও হাসিবুল ইসলাম (২৫) নামের দুজনের করুণ মৃত্যু হয়েছে। নিহত আসমা খাতুন কার্পাসডাঙ্গা মুদি ব্যবসায়ী ইশাদুল হকের মেয়ে এবং দোকান কর্মচারী হাসিবুল উপজেলার কালিয়াবকরি গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ায় ওই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ওই সেপটিক ট্যাংকের মধ্য থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়ার মুদি ব্যবসায়ী ইশাদুল হক তাঁর নিজ বসতবাড়ির একাংশে নতুন সেপটিক ট্যাংক নির্মাণ করছেন। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন ওই সেপটিক ট্যাংক পানিতে ভরে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মুদি ব্যবসায়ী ইশাদুল হকের মেয়ে আসমা খাতুন সেপটিক ট্যাংকের বাঁশ বয়ে নিচে নামে জমে থাকা পানি পরিস্কার করার জন্য। সেপটিক ট্যাংকে নামার পরপরই অক্সিজেনের অভাবে দম বন্ধ হয়ে পানির নিচে তলিয়ে যায় আসমা। তাঁকে উদ্ধার করতে দোকান কর্মচারী হাসিবুল ইসলাম ওই সেপটিক ট্যাংকে নামলে একইভাবে তিনিও দম বন্ধ হয়ে পানির নিচে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ির পুলিশ ছুটে যান ঘটনাস্থলে।

 

খবর দেয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে। বিকেল পাঁচটার দিকে চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাঁরা আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর বাতাস প্রবেশ করালে দুজনের মৃতদেহ পানিতে ভেসে ওঠে। পরে বিকেল ছয়টার দিকে হাসিবুলের পরিবারের লোকজন তাঁর মরদেহ নিজ গ্রাম নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লাশ দুটোর জানাজা শেষে দাফনকার্যের প্রস্তুতি চলছিল।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে জানতে পারি কার্পাসডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে দুজন পড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থানে চলে আসি এবং বিকেল ৫টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে একজন নারী ও একজন পুরুষকে উদ্ধার করি। উদ্ধার করার পর দেখি তারা মারা গিয়েছে। আমরা জানতে পারি তারা মামা ও ভাগ্নে।’
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।