ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

দখলমুক্ত হলো কুমার নদ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
অবশেষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর, প্রাগপুর এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পাগলা, মালিহাদ, নতুনপাড়া, সুকচা অংশের দখলকৃত কুমার নদ দখলমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে পাগলা-নতুনপাড়া ব্রিজ-সংলগ্ন ওসমানপুর বিশ্বাসপাড়ায় দুই জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক বৈঠকের মাধ্যমে সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে দখলমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া হয়ে ওসমানপুর, প্রাগপুর ও কুষ্টিয়ার জেলার মিরপুর উপজেলার পাগলা, মালিহাদ, নতুনপাড়া, সুকচা-বাজিতপুর দিয়ে কুমার নদ প্রবাহিত। মৃতপ্রায় এই নদী রক্ষার সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিছুদিন পূর্বে কুমার নদ খনন করা হয়। নদী খননের পর পরই মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ওসমানপুর, প্রাগপুর, পাগলা, মালিহাদ, নতুনপাড়া হয়ে সুকচা পর্যন্ত কুমার নদ দখল করে মাছ চাষ শুরু করেন। কুষ্টিয়া জেলার মানুষ হয়েও আলমডাঙ্গার অংশ দখল করে মাছ চাষ করতে থাকায় এ উপজেলার ওসমানপুর-প্রাগপুরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা অবৈধ দখল বাধা প্রদান করতে গেলে হামিদুল বাহিনীর লোকজন ঢাল-তলোয়ারসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। নদের দুইপাড়ের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই পক্ষেই জারি করা হয় রেড এলার্ট। কোনো পক্ষ নদীতে নামলে বিপক্ষরা শক্ত হাতে বাধা দিতে থাকে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ওসমানপুর গ্রাগপুরের লোকজন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে বিষয়টি অবগত করেন। এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার দখল মুক্তের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এমপির প্রচেষ্টায় অবশেষে গতকাল রোববার দুই জেলার সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে ওসমানপুর গ্রাসের বিশ^াস পাড়ায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হামিদুল দাবি করেন, তিনি ৯০ হাজার টাকার দিয়ে সুকচা পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে লিজ গ্রহণ করেছেন। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় আলমডাঙ্গাা ও মিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবেন। পরে ইজারা বাতিলপূর্বক কুমার নদ দখলমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ন কবির, আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওমী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, হারদি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওবায়দুর রহমান, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান, সার্ভিয়ার মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. গনি, মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান বদরউদ্দিন ভদু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

দখলমুক্ত হলো কুমার নদ

আপলোড টাইম : ০৯:২২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০

আলমডাঙ্গা অফিস:
অবশেষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওসমানপুর, প্রাগপুর এবং কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পাগলা, মালিহাদ, নতুনপাড়া, সুকচা অংশের দখলকৃত কুমার নদ দখলমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে পাগলা-নতুনপাড়া ব্রিজ-সংলগ্ন ওসমানপুর বিশ্বাসপাড়ায় দুই জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক বৈঠকের মাধ্যমে সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে দখলমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটবোয়ালিয়া হয়ে ওসমানপুর, প্রাগপুর ও কুষ্টিয়ার জেলার মিরপুর উপজেলার পাগলা, মালিহাদ, নতুনপাড়া, সুকচা-বাজিতপুর দিয়ে কুমার নদ প্রবাহিত। মৃতপ্রায় এই নদী রক্ষার সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিছুদিন পূর্বে কুমার নদ খনন করা হয়। নদী খননের পর পরই মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ওসমানপুর, প্রাগপুর, পাগলা, মালিহাদ, নতুনপাড়া হয়ে সুকচা পর্যন্ত কুমার নদ দখল করে মাছ চাষ শুরু করেন। কুষ্টিয়া জেলার মানুষ হয়েও আলমডাঙ্গার অংশ দখল করে মাছ চাষ করতে থাকায় এ উপজেলার ওসমানপুর-প্রাগপুরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। তাঁরা অবৈধ দখল বাধা প্রদান করতে গেলে হামিদুল বাহিনীর লোকজন ঢাল-তলোয়ারসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। নদের দুইপাড়ের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই পক্ষেই জারি করা হয় রেড এলার্ট। কোনো পক্ষ নদীতে নামলে বিপক্ষরা শক্ত হাতে বাধা দিতে থাকে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ওসমানপুর গ্রাগপুরের লোকজন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে বিষয়টি অবগত করেন। এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার দখল মুক্তের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এমপির প্রচেষ্টায় অবশেষে গতকাল রোববার দুই জেলার সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে ওসমানপুর গ্রাসের বিশ^াস পাড়ায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হামিদুল দাবি করেন, তিনি ৯০ হাজার টাকার দিয়ে সুকচা পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে লিজ গ্রহণ করেছেন। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় আলমডাঙ্গাা ও মিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবেন। পরে ইজারা বাতিলপূর্বক কুমার নদ দখলমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হুমায়ন কবির, আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওমী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, হারদি ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওবায়দুর রহমান, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল হাসান, সার্ভিয়ার মিজানুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. গনি, মালিহাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম ও সাবেক চেয়ারম্যান বদরউদ্দিন ভদু বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।