ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

থানায় মামলা, অভিযুক্ত সেণ্টুর গা ঢাকা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ২৪০ বার পড়া হয়েছে

দামুড়হুদার গোপালপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের চিহ্নিত নারী উত্ত্যক্তকারী সেণ্টুর কুপ্রস্তাব ও হুমকি-ধামকিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাকারী শারমিন আক্তার জলি দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার এশার নামাজের পর গ্রামের কবরস্থানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় জলির মা অভিযুক্ত সেণ্টুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, আত্মহত্যাকারী জলির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত সেণ্টুর নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মঙ্গলবার রাতেই মামলা করেন। অভিযুক্ত সেণ্টু ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান। তবে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জিহালা পাড়ার সাত্তার মল্লিকের ছেলে প্রভাবশালী সেণ্টু মল্লিক একই গ্রামের মুচিপাড়ার মালেশিয়া প্রবাসী ইউসুফের স্ত্রী শারমিন আক্তার জলিকে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্ত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মান সম্মানের কথা ভেবে কয়েকদিন চুপ থাকলেও কিছুদিন পরে জলির পরিবারসহ শ্বশুর বাড়িতে ঘটনাটি জানান জলি। সেণ্টুর উত্ত্যক্তের কথা জলি তাঁর পরিবারকে জানালে সেণ্টুর উৎপাত কমার থেকে আরও বেড়ে যায়। গত সোমবারও সেণ্টুকে ডেকে নিষেধ করেন জলির শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিন্তু ওই দিন রাতেও হুমকি-ধামকি দেন সেণ্টু। পরদিন মঙ্গলবার সকালে দোতলার রান্নাঘরের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জলি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

থানায় মামলা, অভিযুক্ত সেণ্টুর গা ঢাকা

আপলোড টাইম : ১০:২৪:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

দামুড়হুদার গোপালপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের চিহ্নিত নারী উত্ত্যক্তকারী সেণ্টুর কুপ্রস্তাব ও হুমকি-ধামকিতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যাকারী শারমিন আক্তার জলি দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার এশার নামাজের পর গ্রামের কবরস্থানেই তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় জলির মা অভিযুক্ত সেণ্টুকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, আত্মহত্যাকারী জলির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত সেণ্টুর নাম উল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মঙ্গলবার রাতেই মামলা করেন। অভিযুক্ত সেণ্টু ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান। তবে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জিহালা পাড়ার সাত্তার মল্লিকের ছেলে প্রভাবশালী সেণ্টু মল্লিক একই গ্রামের মুচিপাড়ার মালেশিয়া প্রবাসী ইউসুফের স্ত্রী শারমিন আক্তার জলিকে দীর্ঘদিন যাবৎ উত্ত্যক্তসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মান সম্মানের কথা ভেবে কয়েকদিন চুপ থাকলেও কিছুদিন পরে জলির পরিবারসহ শ্বশুর বাড়িতে ঘটনাটি জানান জলি। সেণ্টুর উত্ত্যক্তের কথা জলি তাঁর পরিবারকে জানালে সেণ্টুর উৎপাত কমার থেকে আরও বেড়ে যায়। গত সোমবারও সেণ্টুকে ডেকে নিষেধ করেন জলির শ্বশুর বাড়ির লোকজন। কিন্তু ওই দিন রাতেও হুমকি-ধামকি দেন সেণ্টু। পরদিন মঙ্গলবার সকালে দোতলার রান্নাঘরের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জলি।