ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এমপি আনার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১
  • / ৩৩ বার পড়া হয়েছে

কালীগঞ্জ সরকারি মাহবতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের একটি আদালতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার কালীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। যার মামলা নম্বর কালী সিআর-৮৬/২১। মামলার অন্য দুইজন আসামি হলেন- প্রথম আলো পত্রিকার ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ রহমান ও কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। ভার্চুয়াল আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন এবং আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন।
এদিকে সাংবাদিকদের নামে সংসদ সদস্যের মানহানি মামলা করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদহের সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বাদী সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার তাঁর নালিশীর বিবরণে উল্লেখ করেছেন, গত ৬ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়ে সাংসদের আপত্তি, ১৪ মাস বেতন বন্ধ শিক্ষকদের’ শিরোনামে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তি জীবনের ব্যাপক সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা অর্থ দ্বারা পূরণ যোগ্য নয়। উপরোক্ত বাদীর ৫ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সংসদ সদস্যের দাবি, তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিবাদীরা এহেন সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
এমপি আনার মামলার আরজিতে আরও উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট থেকে এই ৩৫ মাস তিনি অফিসিয়াল বা আনঅফিসিয়ালি কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয়। ফলে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া বা কলেজে প্রবেশে বাধা প্রদান করার খবরটি সত্য নয়। তা ছাড়া খবরে ২০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদানের বিষয়টিও অসত্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান জানান, সংবাদটি উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা সাংসদের মানহানি করার জন্য নয়। সংবাদে যথারীতিভাবে সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও তিনি পত্রিকায় কোনো প্রতিবাদ না পাঠিয়ে আদালতে মানহানি মামলা করেছেন, যা হয়রানির নামান্তর মাত্র।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এমপি আনার

আপলোড টাইম : ০৪:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১

কালীগঞ্জ সরকারি মাহবতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের একটি আদালতে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার কালীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। যার মামলা নম্বর কালী সিআর-৮৬/২১। মামলার অন্য দুইজন আসামি হলেন- প্রথম আলো পত্রিকার ঝিনাইদহের নিজস্ব প্রতিবেদক জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ রহমান ও কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান। ভার্চুয়াল আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছেন এবং আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য্য করেছেন।
এদিকে সাংবাদিকদের নামে সংসদ সদস্যের মানহানি মামলা করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদহের সাংবাদিকেরা। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বাদী সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার তাঁর নালিশীর বিবরণে উল্লেখ করেছেন, গত ৬ আগস্ট দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়ে সাংসদের আপত্তি, ১৪ মাস বেতন বন্ধ শিক্ষকদের’ শিরোনামে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে তাঁর রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যক্তি জীবনের ব্যাপক সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, যা অর্থ দ্বারা পূরণ যোগ্য নয়। উপরোক্ত বাদীর ৫ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সংসদ সদস্যের দাবি, তথ্য যাচাই-বাছাই না করেই তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিবাদীরা এহেন সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
এমপি আনার মামলার আরজিতে আরও উল্লেখ করেন, ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট থেকে এই ৩৫ মাস তিনি অফিসিয়াল বা আনঅফিসিয়ালি কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয়। ফলে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানকে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া বা কলেজে প্রবেশে বাধা প্রদান করার খবরটি সত্য নয়। তা ছাড়া খবরে ২০ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রদানের বিষয়টিও অসত্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আজাদ রহমান জানান, সংবাদটি উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বা সাংসদের মানহানি করার জন্য নয়। সংবাদে যথারীতিভাবে সাংসদ আনোয়ারুল আজীম আনারের বক্তব্য সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও তিনি পত্রিকায় কোনো প্রতিবাদ না পাঠিয়ে আদালতে মানহানি মামলা করেছেন, যা হয়রানির নামান্তর মাত্র।