ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তালাবদ্ধ ঘরে মিলল অধ্যক্ষের গলিত লাশ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৮৩ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার (৪৮) গলিত লাশ তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গোলাম মোস্তফা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের মৃত মির্জন বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া বাজারের আমজাদ আলীর ভাড়া বাড়ি থেকে গোলাম মোস্তফার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গাংনীর বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রী মনোমালিন্য করে তাঁর সংসার ছেড়ে চলে যান। তিনি কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়িয়ার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শনিবার তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ার ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিলেন। গত রোববার থেকে তাঁর মোবাইল ফোন খোলা থাকলেও ফোন রিসিভ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর রুমের মধ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল এবং রুমের ভেতর থেকে ছিটকিন দেওয়া ছিল। বাসার মালিক আমজাদ হোসেন দুর্গন্ধের বিষয়টি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে তাঁর গলিত লাশ উদ্ধার করে।
ভোমরদহ গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর জানান, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, তিনি কুষ্টিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। কয়েকদিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে আশেপাশের লোক জানতে পারে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তালাবদ্ধ ঘরে মিলল অধ্যক্ষের গলিত লাশ!

আপলোড টাইম : ০৯:০১:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

প্রতিবেদক, মেহেরপুর:
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার (৪৮) গলিত লাশ তালাবদ্ধ একটি ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গোলাম মোস্তফা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের মৃত মির্জন বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া বাজারের আমজাদ আলীর ভাড়া বাড়ি থেকে গোলাম মোস্তফার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গাংনীর বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, কয়েক বছর আগে তাঁর স্ত্রী মনোমালিন্য করে তাঁর সংসার ছেড়ে চলে যান। তিনি কুষ্টিয়ার মঙ্গলবাড়িয়ার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শনিবার তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়ার ভাড়া বাড়িতে গিয়েছিলেন। গত রোববার থেকে তাঁর মোবাইল ফোন খোলা থাকলেও ফোন রিসিভ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর রুমের মধ্য থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল এবং রুমের ভেতর থেকে ছিটকিন দেওয়া ছিল। বাসার মালিক আমজাদ হোসেন দুর্গন্ধের বিষয়টি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে তাঁর গলিত লাশ উদ্ধার করে।
ভোমরদহ গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর জানান, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, তিনি কুষ্টিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। কয়েকদিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে আশেপাশের লোক জানতে পারে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।