ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তামিমে অনুপ্রাণিত বিজয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক: নিঃসন্দেহে এ মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা ওপেনারদের একজন তামিম ইকবাল। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের সূচক ঊর্ধ্বগামী। একটি পরিসংখ্যান তামিমের পারফরম্যান্স স্পষ্ট করবে গাঢ়ভাবে। ১৭৬ ওয়ানডেতে ৫৯৩৪ রান করা তামিম ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত রান করেছেন ১৪১৯। সেটাও ২৮ ইনিংসে। গড় রান ৫৬.৭৬, স্ট্রাইক রেট ৭৮.৩১। চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। এমন এক ব্যাটসম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং ওপেন করছেন এনামুল হক বিজয়। এ নিয়ে অনেক গর্ব তার। যদিও তামিমের সঙ্গী আগেও ছিলেন বিজয়। তবে চোটের কারণে বাদ পড়ার পর আর দলে ফেরা হয়নি তার। এবার ত্রিদেশীয় সিরিজে ফিরে দুজনের জুটিটা জমছে ভালোই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩০ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭১ রানের জুটি হয় দুজনের। সেই রানকে কমপক্ষে দেড়শ রানে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় বিজয়।
দুই ইনিংসেই ভালো শুরুর পর আগে আউট হয়েছেন বিজয়। তাই তামিমের থেকে বড় ইনিংস খেলার কৌশল শিখছেন ডানহাতি ওপেনার। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বলেছেন, ‘বড় ইনিংস খেলা একটা অভ্যাসের ব্যাপার। তামিম ভাইকে দেখলে বুঝতে পারি। তিনি ২০১৫ সাল থেকে যেভাবে বড় ইনিংস খেলে যাচ্ছে, আমার মনে হয় জুনিয়র ব্যাটসম্যান হিসেবে এটা আমার জন্য শিক্ষণীয় ব্যাপার। আমার পক্ষেও বড় ইনিংস খেলা সম্ভব। এটাকে যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা যায়, তাহলে আশা করি বড় ইনিংস খেলতে পারব।’
সিনিয়র সতীর্থ তামিমও তাকে সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছেন বিজয়। তার ভাষ্য, ‘তামিম ভাই সব সময় খুব সমর্থন করেন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ভাইয়ের চেয়ে সাপোর্টিভ কেউ নেই। তামিম ভাইয়ের সাথে ব্যাটিং করা গর্বের ব্যাপার। বাংলাদেশে এত বড় একজন ওপেনার জন্ম নিয়েছেন’ এটা বিরাট ব্যাপার। তার সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়। মাঠে এবং মাঠের বাইরেও কথা হয়েছে। তিনিও আমার প্রশংসা করেছেন।’
বৃহত্তর স্বার্থেই বড় ইনিংস খেলার অভ্যাস গড়তে হবে বিজয়কে। দুদিক থেকে ডানহাতি ও বামহাতি দুই ব্যাটসম্যান সেট হলে বোলারদের বেগ পেতে হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজয়ও চান দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে পূর্বের অবস্থানে ফিরেপ পেতে।
প্রায় তিন বছর জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে ছিলেন না বিজয়। পুরোনো পরিবেশে নতুন করে ফেরার আনন্দ যেমন তাকে ছুঁয়ে গেছে, ঠিক তেমনি বর্তমান ড্রেসিং রুম নিয়ে তার অনেক গর্ব। রোমাঞ্চ নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সবাই এখন একটা দল হিসেবে খেলছি। সবাই চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে বড় জায়গায় নিয়ে যেতে। আর একটা ব্যাপার হলো, আমাদের দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। যারা একা হাতে ম্যাচ জেতাতে পারেন, যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া সবাই স্বাধীনতা নিয়ে খেলছে, যা খুব দরকার ছিল।’
‘ড্রেসিং রুমে থাকলে একটা ভালো লাগা কাজ করে; তামিম ভাইয়ের ১১ হাজার রান, সাকিব ভাইয়ের ১০ হাজার রান, মুশফিক ভাইয়ের ৩০০ ম্যাচ, মাশরাফি ভাইয়ের নেতৃত্ব, রিয়াদ ভাইয়ের মতো দারুণ ফাইটার, মুস্তাফিজের মতো এ রকম একজন প্লেয়ার; ড্রেসিং রুমটা এখন অনেক ভারি। যেখানে থাকলে মনে হয় আমাকেও আরো ভালো কিছু করতে হবে। ড্রেসিং রুমে থাকলে মনে হয়, বাংলাদেশ এখন অনেক বড়’- বলেন বিজয়। বড় দলের বড় ড্রেসিং রুমে বড় স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন বিজয়। ‘দ্বিতীয়’ সুযোগটি বড় করে কাজে লাগাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তামিমে অনুপ্রাণিত বিজয়

আপলোড টাইম : ১০:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৮

খেলাধুলা ডেস্ক: নিঃসন্দেহে এ মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা ওপেনারদের একজন তামিম ইকবাল। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের সূচক ঊর্ধ্বগামী। একটি পরিসংখ্যান তামিমের পারফরম্যান্স স্পষ্ট করবে গাঢ়ভাবে। ১৭৬ ওয়ানডেতে ৫৯৩৪ রান করা তামিম ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত রান করেছেন ১৪১৯। সেটাও ২৮ ইনিংসে। গড় রান ৫৬.৭৬, স্ট্রাইক রেট ৭৮.৩১। চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। এমন এক ব্যাটসম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং ওপেন করছেন এনামুল হক বিজয়। এ নিয়ে অনেক গর্ব তার। যদিও তামিমের সঙ্গী আগেও ছিলেন বিজয়। তবে চোটের কারণে বাদ পড়ার পর আর দলে ফেরা হয়নি তার। এবার ত্রিদেশীয় সিরিজে ফিরে দুজনের জুটিটা জমছে ভালোই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩০ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭১ রানের জুটি হয় দুজনের। সেই রানকে কমপক্ষে দেড়শ রানে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় বিজয়।
দুই ইনিংসেই ভালো শুরুর পর আগে আউট হয়েছেন বিজয়। তাই তামিমের থেকে বড় ইনিংস খেলার কৌশল শিখছেন ডানহাতি ওপেনার। আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বলেছেন, ‘বড় ইনিংস খেলা একটা অভ্যাসের ব্যাপার। তামিম ভাইকে দেখলে বুঝতে পারি। তিনি ২০১৫ সাল থেকে যেভাবে বড় ইনিংস খেলে যাচ্ছে, আমার মনে হয় জুনিয়র ব্যাটসম্যান হিসেবে এটা আমার জন্য শিক্ষণীয় ব্যাপার। আমার পক্ষেও বড় ইনিংস খেলা সম্ভব। এটাকে যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা যায়, তাহলে আশা করি বড় ইনিংস খেলতে পারব।’
সিনিয়র সতীর্থ তামিমও তাকে সমর্থন করছেন বলে জানিয়েছেন বিজয়। তার ভাষ্য, ‘তামিম ভাই সব সময় খুব সমর্থন করেন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ভাইয়ের চেয়ে সাপোর্টিভ কেউ নেই। তামিম ভাইয়ের সাথে ব্যাটিং করা গর্বের ব্যাপার। বাংলাদেশে এত বড় একজন ওপেনার জন্ম নিয়েছেন’ এটা বিরাট ব্যাপার। তার সাথে নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়। মাঠে এবং মাঠের বাইরেও কথা হয়েছে। তিনিও আমার প্রশংসা করেছেন।’
বৃহত্তর স্বার্থেই বড় ইনিংস খেলার অভ্যাস গড়তে হবে বিজয়কে। দুদিক থেকে ডানহাতি ও বামহাতি দুই ব্যাটসম্যান সেট হলে বোলারদের বেগ পেতে হয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজয়ও চান দ্রুতই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে পূর্বের অবস্থানে ফিরেপ পেতে।
প্রায় তিন বছর জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে ছিলেন না বিজয়। পুরোনো পরিবেশে নতুন করে ফেরার আনন্দ যেমন তাকে ছুঁয়ে গেছে, ঠিক তেমনি বর্তমান ড্রেসিং রুম নিয়ে তার অনেক গর্ব। রোমাঞ্চ নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা সবাই এখন একটা দল হিসেবে খেলছি। সবাই চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে বড় জায়গায় নিয়ে যেতে। আর একটা ব্যাপার হলো, আমাদের দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার আছে। যারা একা হাতে ম্যাচ জেতাতে পারেন, যেকোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া সবাই স্বাধীনতা নিয়ে খেলছে, যা খুব দরকার ছিল।’
‘ড্রেসিং রুমে থাকলে একটা ভালো লাগা কাজ করে; তামিম ভাইয়ের ১১ হাজার রান, সাকিব ভাইয়ের ১০ হাজার রান, মুশফিক ভাইয়ের ৩০০ ম্যাচ, মাশরাফি ভাইয়ের নেতৃত্ব, রিয়াদ ভাইয়ের মতো দারুণ ফাইটার, মুস্তাফিজের মতো এ রকম একজন প্লেয়ার; ড্রেসিং রুমটা এখন অনেক ভারি। যেখানে থাকলে মনে হয় আমাকেও আরো ভালো কিছু করতে হবে। ড্রেসিং রুমে থাকলে মনে হয়, বাংলাদেশ এখন অনেক বড়’- বলেন বিজয়। বড় দলের বড় ড্রেসিং রুমে বড় স্বপ্ন নিয়ে এসেছেন বিজয়। ‘দ্বিতীয়’ সুযোগটি বড় করে কাজে লাগাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।