ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তাপস কুমারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মানববন্ধন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ৩৩৫ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার সাথে অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকগন। প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিউলী খাতুনের সাথে স্কুলের ভিতরে অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে এ মানববন্ধন করা হয়। প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষাথীরা জানায়, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার ও শিউলী খাতুনের সম্পর্কের কারণে তারা ক্লাস না নিয়ে অফিসে বসে গল্প করে এবং বাজে বাজে কথা বলে। কোন শিক্ষার্থী যদি পড়াশোনার বিষয়ে জানতে গেলেও তাপস কুমার শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ভাষায় কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও শিউলী দু’জনই স্কুলে আসেন সবার আগে এবং দু’জনই একই সাথে মোটরসাইকেলে চেপে স্কুলে আসেন। এমন কি তারা ক্লাস না নিয়ে গল্পে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কোন প্রতিবাদ করলেই তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক যে ভাবে ক্লাস রুটিন করেছে তাতে, তাদের দুই জনের কোন ক্লাসই নেই, আর এই সুযোগে তারা দুইজন অফিসে বসে আড্ডা দেন।
অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, তাপস কুমার স্কুলে আসার সময় শিউলী আপাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়া আসা করেন। এ বিষয়টি গ্রামের সকলেই জানে। তাকে বেশ কয়েকদিন নিষেধও করা হয়েছে, তবুও তিনি শোনেননি। তা ছাড়া অভিভাবকগন যদি কোন বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতেন, তাহলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতেন। তারা আরও বলেন, গত কয়েক দিন আগে স্কুলে অভিভাবকার উপবৃত্তির জন্য আসলে প্রধান শিক্ষক তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ. গাপ্পার জানান, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার ও সহকারী শিক্ষিকা শিউলী খাতুনের মধ্যে দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পক রয়েছে বলে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন আমাদেরকে জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ মতে আমরা তাদেরকে বিষয়টি বলি। তারপরও তারা আমাদের কোন কথা শুনতে রাজি হননি। তাছাড়াও প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের নামে স্কুলের উন্নয়নমুলক কাজের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যগন একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তারই পরিপেক্ষিতে গতকাল উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে দুই জন সহকারী শিক্ষা অফিসার তদন্তের জন্য আসেন। এ সময় স্কুলের সকল শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করেন এবং গ্রামবাসী ও অভিভাকগন স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেন।
জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এইউইও নুর ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরিপেক্ষিতে আমরা স্কুলে তদন্ত করতে আসি। সেখানে গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থী যে অভিযোগ তুলেছেন সে বিষয়টি আমরা ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট জানাবো।
সুত্রে জানা গেছে, তাপস কুমারের সাথে শিউলী খাতুনের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কথা তার স্ত্রী জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় তাকে বেধড়ক মারধর করেন তাপস কুমার। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বকেনডিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করা অবস্থায় সেখানে এক শিক্ষিকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় তাপস কুমারকে সেখান থেকে বদলি করা হয় হাসাদহ স্কুলে। সেখানেও এক শিক্ষিকার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানাযানি হলে সেখান থেকে তাকে বদলি করা হয় হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়ে। সেখানও একই অবস্থা। তাছাড়া তাপস কুমারের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার জোগসাজে সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আত্মসাত করার ও অভিযোগ আছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষ প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারকে জুতার মালা পরান বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে, এটি সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যদি সে অপরাধী প্রমানিত হয় তা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পরে যদি দোষি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে স্কুলের ভিতরে শিক্ষাথীদের সামনে প্রধান শিক্ষক স্কুলের শিক্ষিকার সাথে এ ধরনের অপকর্ম করায় তার শাস্তির দাবি তুলেছেন স্কুলের শিক্ষাথী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগন ও অভিভাবক মহল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তাপস কুমারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মানববন্ধন

আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জীবননগর হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকার সাথে অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ

জীবননগর অফিস: জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকগন। প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিউলী খাতুনের সাথে স্কুলের ভিতরে অবৈধ কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে এ মানববন্ধন করা হয়। প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ের সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।
হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষাথীরা জানায়, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার ও শিউলী খাতুনের সম্পর্কের কারণে তারা ক্লাস না নিয়ে অফিসে বসে গল্প করে এবং বাজে বাজে কথা বলে। কোন শিক্ষার্থী যদি পড়াশোনার বিষয়ে জানতে গেলেও তাপস কুমার শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ভাষায় কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক ও শিউলী দু’জনই স্কুলে আসেন সবার আগে এবং দু’জনই একই সাথে মোটরসাইকেলে চেপে স্কুলে আসেন। এমন কি তারা ক্লাস না নিয়ে গল্পে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কোন প্রতিবাদ করলেই তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক যে ভাবে ক্লাস রুটিন করেছে তাতে, তাদের দুই জনের কোন ক্লাসই নেই, আর এই সুযোগে তারা দুইজন অফিসে বসে আড্ডা দেন।
অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, তাপস কুমার স্কুলে আসার সময় শিউলী আপাকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যাওয়া আসা করেন। এ বিষয়টি গ্রামের সকলেই জানে। তাকে বেশ কয়েকদিন নিষেধও করা হয়েছে, তবুও তিনি শোনেননি। তা ছাড়া অভিভাবকগন যদি কোন বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতেন, তাহলে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতেন। তারা আরও বলেন, গত কয়েক দিন আগে স্কুলে অভিভাবকার উপবৃত্তির জন্য আসলে প্রধান শিক্ষক তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আ. গাপ্পার জানান, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার ও সহকারী শিক্ষিকা শিউলী খাতুনের মধ্যে দীর্ঘদিনের অবৈধ সম্পক রয়েছে বলে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন আমাদেরকে জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ মতে আমরা তাদেরকে বিষয়টি বলি। তারপরও তারা আমাদের কোন কথা শুনতে রাজি হননি। তাছাড়াও প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের নামে স্কুলের উন্নয়নমুলক কাজের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যগন একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তারই পরিপেক্ষিতে গতকাল উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে দুই জন সহকারী শিক্ষা অফিসার তদন্তের জন্য আসেন। এ সময় স্কুলের সকল শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করেন এবং গ্রামবাসী ও অভিভাকগন স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেন।
জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের এইউইও নুর ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরিপেক্ষিতে আমরা স্কুলে তদন্ত করতে আসি। সেখানে গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থী যে অভিযোগ তুলেছেন সে বিষয়টি আমরা ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তার নিকট জানাবো।
সুত্রে জানা গেছে, তাপস কুমারের সাথে শিউলী খাতুনের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কথা তার স্ত্রী জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় তাকে বেধড়ক মারধর করেন তাপস কুমার। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বকেনডিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী করা অবস্থায় সেখানে এক শিক্ষিকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় তাপস কুমারকে সেখান থেকে বদলি করা হয় হাসাদহ স্কুলে। সেখানেও এক শিক্ষিকার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি জানাযানি হলে সেখান থেকে তাকে বদলি করা হয় হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়ে। সেখানও একই অবস্থা। তাছাড়া তাপস কুমারের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তার জোগসাজে সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আত্মসাত করার ও অভিযোগ আছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষ প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারকে জুতার মালা পরান বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে, এটি সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। আমাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
জীবননগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে যদি সে অপরাধী প্রমানিত হয় তা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, এ বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পরে যদি দোষি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে স্কুলের ভিতরে শিক্ষাথীদের সামনে প্রধান শিক্ষক স্কুলের শিক্ষিকার সাথে এ ধরনের অপকর্ম করায় তার শাস্তির দাবি তুলেছেন স্কুলের শিক্ষাথী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগন ও অভিভাবক মহল।