ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তরিকুল ইসলাম চিরনিদ্রায় শায়িত : জানাজায় লাখো মানুষের ঢল!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩৩৬ বার পড়া হয়েছে

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় খুলনা বিভাগীয় বিএনপির প্রাণ পুরুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার নেতাকর্মি ও যশোরের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় চিরবিদায় নিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার বাদ আসর যশোর ঈদগাহ ময়দানে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষ অংশ নেন। জানাযা শেষে শহরের কারবালা কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা আড়াইটায় হেলিকপ্টারে তার মরদেহ যশোর বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তরিকুল ইসলামের লাশ শেষবারের মতো নেওয়া হয় তার যশোর শহরের ঘোপ রোডের বাসভবনে। বিকেলে ৩টায় দিকে মরদেহ নেওয়া হয় শহরের লালদীঘী পাড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে। এখানে কিছু সময় রাখার পর মরদেহ নেওয়া হয় যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। এখানেই বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে মরহুমের নামাজের জানাজা শেষ হয়। জানাজায় বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মি, তরিকুল ইসলামের ভক্ত-অনুসারীসহ যশোরের সব রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মি ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষ ঈদগাহ ছাড়িয়েও আশপাশের রাস্তাগুলোয় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। স্মরণকালে এতো বড়ো জানাজা যশোরে দেখা যায়নি। জানাজার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পক্ষে মরহুমের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আবদুল মঈন খান। এসময় তার সঙ্গে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে যশোর জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
জানাজা শুরুর আগে ড. মঈন খান, নিতাই রায় চৌধুরী এবং মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম ও শান্তনু ইসলাম।


বড় ছেলে শান্তুনু ইসলাম সুমিত বলেন, ‘আমার বাবা মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো ভুল বা কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন, আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আপনাদের কাছে আমি হাতজোড় করে বাবার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমার বাবার কাছে কারও কোনো পাওনা থাকলে, জানালে আমরা শোধ করে দেব। আপনার আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। এ সময় তিনি আগামী বুধবার বাদ আসর যশোরের নিজ বাসভবনে দোয়া মাহফিলে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।
ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমার বাবা আপনাদের সমর্থনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। চারবার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে আপনাদের কল্যাণে কাজ করেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করেছেন আমৃত্যু। আমিও যেন বাবার মতো আপনাদের পাশে থাকতে পারি, সে দোয়া করবেন।’ তিনি বলেন, ‘বাবা যদি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কারণে কারও কোনো কষ্ট দিয়ে থাকেন, তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমার বাবা কখনো মানুষে মানুষে বিভেদ করেননি। সর্বস্তরের মানুষ বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্পিকারের উপস্থিতিতে জানাযা হয়েছে। সেখানে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান অনিন্দ্য। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা যখন অসুস্থ ছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা খোঁজ নিয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাই আমার বাবার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করবেন।’
জানাযা নামাযের আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম আমৃত্যু এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। তিনি যশোর উন্নয়নের কারিগর। দলের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
এর আগে সকাল ১০ টা ৭ মিনিটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তরিকুল ইসলামের মরহেদ নয়াপল্টনে পৌঁছালে কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ও দলের দুঃসময়ে তরিকুল ইসলামের চলে যাওয়া জাতির অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। অন্যায়ের সঙ্গে তিনি কখনো আপোষ করেননি। তরিকুল ভাই এভাবে চলে যাবেন আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কোনোভাবে বিশ্বাস করতে পারছি না ভাই নেই। পরে তার কফিন দলীয় পতাকায় ঢেকে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর সোয়া ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।


এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার নিজ জেলা যশোরে পৌছালে তার জানাজার নামাজে অংশগ্রহন করে ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. ওয়াহেদুজ্জ¥ান বুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা শরীফুজ্জামান শরীফ, আবু বকর সিদ্দিক আবু, আলমডাঙ্গা থানা বিএপির সহ-সভাপতি ও জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সাদিদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, জেলা জাসাস’র সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মুক্ত, ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, আব্দুল হান্নান, আব্দুল গণি, ঝন্টু, শাহ জামাল, তুহিন ইসলাম, রনি আলম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, আরিফ আহমেদ শিপ্লব, সাহেদ সিদ্দিকী সোহেল প্রমূখ। এছাড়াও মেহেরপুুর জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তরিকুল ইসলামের জানাযার নামাজে অংশগ্রহন করেন ও শেষ শ্রদ্ধা জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তরিকুল ইসলাম চিরনিদ্রায় শায়িত : জানাজায় লাখো মানুষের ঢল!

আপলোড টাইম : ১০:২৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর ২০১৮

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় খুলনা বিভাগীয় বিএনপির প্রাণ পুরুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার নেতাকর্মি ও যশোরের সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা-ভালবাসায় চিরবিদায় নিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার বাদ আসর যশোর ঈদগাহ ময়দানে তার নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাখো মানুষ অংশ নেন। জানাযা শেষে শহরের কারবালা কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা আড়াইটায় হেলিকপ্টারে তার মরদেহ যশোর বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তরিকুল ইসলামের লাশ শেষবারের মতো নেওয়া হয় তার যশোর শহরের ঘোপ রোডের বাসভবনে। বিকেলে ৩টায় দিকে মরদেহ নেওয়া হয় শহরের লালদীঘী পাড় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে। এখানে কিছু সময় রাখার পর মরদেহ নেওয়া হয় যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। এখানেই বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটে মরহুমের নামাজের জানাজা শেষ হয়। জানাজায় বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মি, তরিকুল ইসলামের ভক্ত-অনুসারীসহ যশোরের সব রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মি ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষ ঈদগাহ ছাড়িয়েও আশপাশের রাস্তাগুলোয় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। স্মরণকালে এতো বড়ো জানাজা যশোরে দেখা যায়নি। জানাজার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের পক্ষে মরহুমের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা অর্পণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আবদুল মঈন খান। এসময় তার সঙ্গে দলের ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে যশোর জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
জানাজা শুরুর আগে ড. মঈন খান, নিতাই রায় চৌধুরী এবং মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন তরিকুল ইসলামের ছেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম ও শান্তনু ইসলাম।


বড় ছেলে শান্তুনু ইসলাম সুমিত বলেন, ‘আমার বাবা মানুষের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। কাজ করতে গিয়ে যদি কোনো ভুল বা কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন, আপনারা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আপনাদের কাছে আমি হাতজোড় করে বাবার জন্য ক্ষমা চাইছি। আমার বাবার কাছে কারও কোনো পাওনা থাকলে, জানালে আমরা শোধ করে দেব। আপনার আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। এ সময় তিনি আগামী বুধবার বাদ আসর যশোরের নিজ বাসভবনে দোয়া মাহফিলে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান।
ছোট ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমার বাবা আপনাদের সমর্থনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। চারবার মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে আপনাদের কল্যাণে কাজ করেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করেছেন আমৃত্যু। আমিও যেন বাবার মতো আপনাদের পাশে থাকতে পারি, সে দোয়া করবেন।’ তিনি বলেন, ‘বাবা যদি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের কারণে কারও কোনো কষ্ট দিয়ে থাকেন, তার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমার বাবা কখনো মানুষে মানুষে বিভেদ করেননি। সর্বস্তরের মানুষ বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন, সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্পিকারের উপস্থিতিতে জানাযা হয়েছে। সেখানে যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন উপস্থিত ছিলেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান অনিন্দ্য। তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা যখন অসুস্থ ছিলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা খোঁজ নিয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবাই আমার বাবার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করবেন।’
জানাযা নামাযের আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘তরিকুল ইসলাম আমৃত্যু এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। তিনি যশোর উন্নয়নের কারিগর। দলের নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
এর আগে সকাল ১০ টা ৭ মিনিটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তরিকুল ইসলামের মরহেদ নয়াপল্টনে পৌঁছালে কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ও দলের দুঃসময়ে তরিকুল ইসলামের চলে যাওয়া জাতির অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল। অন্যায়ের সঙ্গে তিনি কখনো আপোষ করেননি। তরিকুল ভাই এভাবে চলে যাবেন আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কোনোভাবে বিশ্বাস করতে পারছি না ভাই নেই। পরে তার কফিন দলীয় পতাকায় ঢেকে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর সোয়া ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।


এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মরদেহ তার নিজ জেলা যশোরে পৌছালে তার জানাজার নামাজে অংশগ্রহন করে ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. ওয়াহেদুজ্জ¥ান বুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা শরীফুজ্জামান শরীফ, আবু বকর সিদ্দিক আবু, আলমডাঙ্গা থানা বিএপির সহ-সভাপতি ও জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রোকন, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান লিপটন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সাদিদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, জেলা জাসাস’র সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মুক্ত, ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, আব্দুল হান্নান, আব্দুল গণি, ঝন্টু, শাহ জামাল, তুহিন ইসলাম, রনি আলম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম মোমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, আরিফ আহমেদ শিপ্লব, সাহেদ সিদ্দিকী সোহেল প্রমূখ। এছাড়াও মেহেরপুুর জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তরিকুল ইসলামের জানাযার নামাজে অংশগ্রহন করেন ও শেষ শ্রদ্ধা জানান।