ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সিভিল সার্জন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৮১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার দেশ ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দেশ ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হলে অভিযুক্ত ডা. মো. আল ইমরান জুয়েল ও দেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাঁচাতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ চালাচ্ছে। এ ছাড়াও নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনকে নিজের পক্ষে কথা বলতে বাধ্য করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান।
চুয়াডাঙ্গার সিবিল সার্জন বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গার বাইরে আছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ পরে তিনি ঘটনার বিস্তারিত শোনেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত-সংশ্লিষ্টদের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের আইজুলের মেয়ে আহরন খাতুনের গলাই টনসিলের অপারেশন করেন দেশ ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডা. আল ইমরান জুয়েল। রাতেই তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ভোরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহীতে পাঠালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, রাজশাহী যাওয়ায় পূর্বেই আহরণ খাতুন মারা যান। তাঁরা ক্লিনিক ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। ঘটনার পরপরই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিহত ব্যক্তির সব ডকুমেন্টস সরিয়ে ফেলেন।
এর আগেও গত ১২ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতাল নামক ক্লিনিকে সিজারের পর আমেনা খাতুন নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। আমেনা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের জেহালা মদন বাবুর মোড় এলাকার আনারুল ইসলাম সোহেল মাস্টারের স্ত্রী। এ ঘটনা পর ১৬ সেপ্টেম্বর আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতাল নামক ক্লিনিকটির চিকিৎসা প্রদানের বৈধতা না থাকা ও ক্লিনিকে ১০টিরও অধিক ত্রুটি পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৫৩ ধারায় ওই ক্লিনিকের মালিক ডা. তরিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং একইসঙ্গে ক্লিনিকটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেন মোবাইল কোর্ট। এ ছাড়া ক্লিনিকটি সিলগালা করে বন্ধ করায় ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্য ক্লিনিক বা হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সিভিল সার্জন

আপলোড টাইম : ১০:৩০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

চুয়াডাঙ্গার দেশ ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দেশ ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় পত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশিত হলে অভিযুক্ত ডা. মো. আল ইমরান জুয়েল ও দেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিজেদের বাঁচাতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ চালাচ্ছে। এ ছাড়াও নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনকে নিজের পক্ষে কথা বলতে বাধ্য করাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান।
চুয়াডাঙ্গার সিবিল সার্জন বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গার বাইরে আছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ পরে তিনি ঘটনার বিস্তারিত শোনেন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত-সংশ্লিষ্টদের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের আইজুলের মেয়ে আহরন খাতুনের গলাই টনসিলের অপারেশন করেন দেশ ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডা. আল ইমরান জুয়েল। রাতেই তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ভোরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহীতে পাঠালে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের অভিযোগ, রাজশাহী যাওয়ায় পূর্বেই আহরণ খাতুন মারা যান। তাঁরা ক্লিনিক ও ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। ঘটনার পরপরই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিহত ব্যক্তির সব ডকুমেন্টস সরিয়ে ফেলেন।
এর আগেও গত ১২ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতাল নামক ক্লিনিকে সিজারের পর আমেনা খাতুন নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। আমেনা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের জেহালা মদন বাবুর মোড় এলাকার আনারুল ইসলাম সোহেল মাস্টারের স্ত্রী। এ ঘটনা পর ১৬ সেপ্টেম্বর আঁখি তারা জেনারেল হাসপাতাল নামক ক্লিনিকটির চিকিৎসা প্রদানের বৈধতা না থাকা ও ক্লিনিকে ১০টিরও অধিক ত্রুটি পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৫৩ ধারায় ওই ক্লিনিকের মালিক ডা. তরিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং একইসঙ্গে ক্লিনিকটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেন মোবাইল কোর্ট। এ ছাড়া ক্লিনিকটি সিলগালা করে বন্ধ করায় ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রোগীদের অন্য ক্লিনিক বা হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়।