ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঢিলেঢালা লকডাউন, বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
  • / ২১৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ঢিলেঢালা লকডাউনে বাড়ছে মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা। উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহন, হাট-বাজারগুলোতে কোথাও সামাজিক দূরত্ব নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি, মাইক্রো, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সযোগে শৈলকুপায় প্রবেশ করছে বহু ব্যক্তি ও পরিবার। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা আশঙ্কাজনকভাবে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা তথা শৈলকুপা উপজেলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বিভাগীয় জেলা শহর থেকে পালিয়ে আসা ৮৪টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। তারপরও বিভিন্ন ব্যক্তি পরিবার লকডাউন না মেনে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোর কারণে অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে করোনা সংক্রমণ। অপর দিকে, জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহ জেলাকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও সংক্রমণ রোধে তৎপর। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে রাখতে রাজনৈতিক ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় রাস্তায় যানবাহন এবং হাট-বাজারে মানুষের চলাচল অনেকটা কমে যায়। তবে শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা তেমনটি কঠোর দেখা যায়নি। কিন্তু গত দু-তিন দিন যাবৎ উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা কম থাকায় রাস্তায় যানবাহন ও লোকজনের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও ভোগ্য পণ্যের বাজার খোলা রাখার অনুমতি বাজারে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। কিন্তু কোথাও মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব। ফলে মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত। তবে পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি জনসচেতনতা ছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কঠিন। পুলিশ জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঢিলেঢালা লকডাউন, বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি

আপলোড টাইম : ০৯:৩৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ঢিলেঢালা লকডাউনে বাড়ছে মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা। উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহন, হাট-বাজারগুলোতে কোথাও সামাজিক দূরত্ব নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এ ছাড়া প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি, মাইক্রো, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সযোগে শৈলকুপায় প্রবেশ করছে বহু ব্যক্তি ও পরিবার। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা আশঙ্কাজনকভাবে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা তথা শৈলকুপা উপজেলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বিভাগীয় জেলা শহর থেকে পালিয়ে আসা ৮৪টি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। তারপরও বিভিন্ন ব্যক্তি পরিবার লকডাউন না মেনে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোর কারণে অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে করোনা সংক্রমণ। অপর দিকে, জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহ জেলাকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও সংক্রমণ রোধে তৎপর। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মানুষকে ঘরে রাখতে রাজনৈতিক ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় রাস্তায় যানবাহন এবং হাট-বাজারে মানুষের চলাচল অনেকটা কমে যায়। তবে শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা তেমনটি কঠোর দেখা যায়নি। কিন্তু গত দু-তিন দিন যাবৎ উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা কম থাকায় রাস্তায় যানবাহন ও লোকজনের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলা দুইটা পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও ভোগ্য পণ্যের বাজার খোলা রাখার অনুমতি বাজারে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। কিন্তু কোথাও মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব। ফলে মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত। তবে পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি জনসচেতনতা ছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কঠিন। পুলিশ জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে।