ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঢাকা সংলাপ থিয়েটারের নাটক ‘বোধ’ মঞ্চস্থ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটারের একুশে নাট্যমেলার ৩য় দিনে
দর্শনা অফিস: দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটারের আয়োজনে একুশে নাট্যমেল তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান মালায় আলোচনা সভা, নজরুল ও রবিন্দ্র সংগীত এবং ঢাকার সংলাপ গ্রুপ থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক ‘বোধ’ পরিবেশিত হয়। একুশে নাট্যমেলার তৃতীয় দিন মেলায় বিকাল থেকে ব্যাপক লোক সমাগম ছিলো। মেলার মাঠ ও অডিটরিয়াম ছিলো কানায় কানায় দর্শকে পরিপূর্ণ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একুশে নাট্যমেলা উৎসবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচক ছিলেন অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি এস এ এম জাকারিয়া আলম। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো সংস্কৃতি চর্চা ও সংগঠন।
এ সম্পর্কে আলোচকরা বলেন- সংস্কৃতি বলতে আমার কৃষ্টি, কালচারগুলো ধারণ করে মুক্ত চিন্তার মানুষ গড়ে তুলতে হবে। সংস্কৃতি যেমন দেশের ভালো সংগঠন গুলো ধরে রাখার চেষ্টা করছে পাশাপাশি কিছু সংগঠন রয়েছে অপ-সংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছে। ফলে অপ-সংস্কৃতিকে দূরে ঠেলে দিয়ে প্রকৃত সংস্কৃতি যারা চর্চা করে সে সব সংগঠনগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পহেলা বৈশাখ, জারি গান, সারি গান, ভাষান গান, যাত্রাপালা এগুলো আমাদের বাঙ্গালী ইতিহাসকে স্মরণ করে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক অপ-রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে বাঙ্গালী চেতনা বোধ ক্ষতিগ্রস্থ করছে। ফলে বাঙ্গালী জাতির ২১শে ফেব্রুয়ারী ও মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বোধ জাগিয়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর বেশি বেশি ভুমিকা রাখতে হবে এবং রাজনীতি ও মুক্তচিন্তার মানুষ বা নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দল ও সংস্কৃতিক সংগঠনকে ভুমিকা রাখতে হবে। আলোচনা শেষে ঢাকা সংলাপ গ্রুপ থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক ‘বোধ’ পরিবেশিত হয়। নাটক শেষে আনন্দধাম ও চুয়াডাঙ্গা উদিচী সংগঠনের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল গীতি সংগীত পরিবেশিত হয়। সংগীতানুষ্ঠানে যন্ত্র সংগীতে ছিলেন ওস্তাদ মশিউর রহমান, ইসলাইল হোসেন খান টিটো ও মিল্টন কুমার সাহা। লাইটিং করেছেন রেজাউল হোসেন ও আবুল হোসেন। ইসরাইল হোসেন ও মাহাবুবুর রহমান মুকুল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঢাকা সংলাপ থিয়েটারের নাটক ‘বোধ’ মঞ্চস্থ

আপলোড টাইম : ০৯:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটারের একুশে নাট্যমেলার ৩য় দিনে
দর্শনা অফিস: দর্শনা অনির্বাণ থিয়েটারের আয়োজনে একুশে নাট্যমেল তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান মালায় আলোচনা সভা, নজরুল ও রবিন্দ্র সংগীত এবং ঢাকার সংলাপ গ্রুপ থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক ‘বোধ’ পরিবেশিত হয়। একুশে নাট্যমেলার তৃতীয় দিন মেলায় বিকাল থেকে ব্যাপক লোক সমাগম ছিলো। মেলার মাঠ ও অডিটরিয়াম ছিলো কানায় কানায় দর্শকে পরিপূর্ণ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একুশে নাট্যমেলা উৎসবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচক ছিলেন অনির্বাণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং দর্শনা সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি এস এ এম জাকারিয়া আলম। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো সংস্কৃতি চর্চা ও সংগঠন।
এ সম্পর্কে আলোচকরা বলেন- সংস্কৃতি বলতে আমার কৃষ্টি, কালচারগুলো ধারণ করে মুক্ত চিন্তার মানুষ গড়ে তুলতে হবে। সংস্কৃতি যেমন দেশের ভালো সংগঠন গুলো ধরে রাখার চেষ্টা করছে পাশাপাশি কিছু সংগঠন রয়েছে অপ-সংস্কৃতি চর্চা করে যাচ্ছে। ফলে অপ-সংস্কৃতিকে দূরে ঠেলে দিয়ে প্রকৃত সংস্কৃতি যারা চর্চা করে সে সব সংগঠনগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পহেলা বৈশাখ, জারি গান, সারি গান, ভাষান গান, যাত্রাপালা এগুলো আমাদের বাঙ্গালী ইতিহাসকে স্মরণ করে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক অপ-রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে বাঙ্গালী চেতনা বোধ ক্ষতিগ্রস্থ করছে। ফলে বাঙ্গালী জাতির ২১শে ফেব্রুয়ারী ও মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বোধ জাগিয়ে তুলতে রাজনৈতিক দলগুলোর বেশি বেশি ভুমিকা রাখতে হবে এবং রাজনীতি ও মুক্তচিন্তার মানুষ বা নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে রাজনৈতিক দল ও সংস্কৃতিক সংগঠনকে ভুমিকা রাখতে হবে। আলোচনা শেষে ঢাকা সংলাপ গ্রুপ থিয়েটারের পরিবেশনায় নাটক ‘বোধ’ পরিবেশিত হয়। নাটক শেষে আনন্দধাম ও চুয়াডাঙ্গা উদিচী সংগঠনের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল গীতি সংগীত পরিবেশিত হয়। সংগীতানুষ্ঠানে যন্ত্র সংগীতে ছিলেন ওস্তাদ মশিউর রহমান, ইসলাইল হোসেন খান টিটো ও মিল্টন কুমার সাহা। লাইটিং করেছেন রেজাউল হোসেন ও আবুল হোসেন। ইসরাইল হোসেন ও মাহাবুবুর রহমান মুকুল।