ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা খোকন খানের শয্যাপাশে মির্জা ফখরুল নেতার অসুস্থ্যতাকে পুঁজি করে দলীয় ফায়দা লুটতে মিথ্যাচার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:১৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে

image-0-02-06-baf6ca2eef2b2d2387f19a96dc30fc628347a3925b26f84e60445b8bc6410aনিজস্ব প্রতিবেদক: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় ট্রেন দূর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা খোকন খান ও তার মেয়ে এ্যানি ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত মঙ্গলবার খোকন খানকে দেখতে তার শয্যাপাশে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার শারীরিক ও চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন মির্জা ফখরুল। খোকন খানের পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করে তাদেরকে নানাভাবে সান্ত¡না দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, খোকন খানের স্ত্রী, ছেলে-জামাইসহ শুভানুধ্যায়ীরা।
এদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা খোকন খানের শয্যাপাশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম থাকাকালীন সেখানে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট উপস্থিত ছিলেন। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছে ওই সময় এ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও রেজাউল করিম মুকুট সেখানে ছিলেন না। সূত্রটির মতে, জেলার দলীয় রাজনীতিতে তাদের নিষ্ক্রিয় অবস্থান সত্বেও দলের কর্মীদের কাছে নিজেদেরকে গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতেই একটি স্থানীয় দৈনিকের যোগসাজসে এই মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খোকন খানকে দেখতে মহাসচিব যখন আসেন, তখন আমি ও খোকন খানের স্বজনেরা ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারী সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেয়ে-জামাইসহ প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় যাওয়ার পথে আন্দুলবাড়ীয়া বেলতলা নামক স্থানে খুলনা থেকে আসা রুপসা ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় খোকন খানের নাতী রাফিন নিহত হয়। মারাত্মকভাবে জখম হন খোকন খান ও তার মেয়ে এ্যানি আখতার। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে হেলকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (পিজি) নেয়া হয়। এরপর থেকে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা খোকন খানের শয্যাপাশে মির্জা ফখরুল নেতার অসুস্থ্যতাকে পুঁজি করে দলীয় ফায়দা লুটতে মিথ্যাচার

আপলোড টাইম : ০৩:১৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০১৭

image-0-02-06-baf6ca2eef2b2d2387f19a96dc30fc628347a3925b26f84e60445b8bc6410aনিজস্ব প্রতিবেদক: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় ট্রেন দূর্ঘটনায় আহত বিএনপি নেতা খোকন খান ও তার মেয়ে এ্যানি ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত মঙ্গলবার খোকন খানকে দেখতে তার শয্যাপাশে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার শারীরিক ও চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন মির্জা ফখরুল। খোকন খানের পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করে তাদেরকে নানাভাবে সান্ত¡না দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, খোকন খানের স্ত্রী, ছেলে-জামাইসহ শুভানুধ্যায়ীরা।
এদিকে, গতকাল চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা খোকন খানের শয্যাপাশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম থাকাকালীন সেখানে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও জেলা বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট উপস্থিত ছিলেন। তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছে ওই সময় এ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা ও রেজাউল করিম মুকুট সেখানে ছিলেন না। সূত্রটির মতে, জেলার দলীয় রাজনীতিতে তাদের নিষ্ক্রিয় অবস্থান সত্বেও দলের কর্মীদের কাছে নিজেদেরকে গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতেই একটি স্থানীয় দৈনিকের যোগসাজসে এই মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খোকন খানকে দেখতে মহাসচিব যখন আসেন, তখন আমি ও খোকন খানের স্বজনেরা ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারী সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেয়ে-জামাইসহ প্রাইভেটকারযোগে ঢাকায় যাওয়ার পথে আন্দুলবাড়ীয়া বেলতলা নামক স্থানে খুলনা থেকে আসা রুপসা ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় খোকন খানের নাতী রাফিন নিহত হয়। মারাত্মকভাবে জখম হন খোকন খান ও তার মেয়ে এ্যানি আখতার। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে হেলকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (পিজি) নেয়া হয়। এরপর থেকে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।