ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ট্রেনের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনায় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে দর্শনা স্টেশনে মারামারি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩২১ বার পড়া হয়েছে

স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা নিয়ে রাজার পলায়ন
দর্শনা অফিস: দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে এই মারামারির ঘটনা ঘটলে এতে ৪ জন আহত হয় এবং নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেউন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে। এনিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে বেগমপুর ইউয়িনের কৃষ্ণপুর গ্রামের রোনগহাল পাড়ার রহম বারী তার স্ত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকা থেকে এসে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ স্টেশন থেকে গোয়ালন্দ এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে। ট্রেনটি কুষ্টিয়া স্টেশনে পৌছুলে দর্শনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান খালেকুজ্জামান খালেক তার পরিবার পরিজনকে নিয়ে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনে ভিড় এবং কোন ছিট ফাকা না থাকায় রহম বারী তার নিজের বসা ছিট ছেড়ে কাউন্সিলর খালেককে সম্মান দেখিয়ে তার স্ত্রীকে বসতে দেন। এসময় আরো একটি ছিট ছেড়ে দেওয়ার জন্য রহম বারীর স্ত্রীকে বলেন কাউন্সিলর খালেক। তখন রহম বারীর স্ত্রী ছিট না ছাড়লে তাদের উদ্যোশে কাউন্সিলর খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে থাকলে রহম বারীর ছেলে তার প্রতিবাদ করে। এসময় কাউন্সিলরের সাথে রহম বারীদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে ট্রেন জয়রামপুরে স্টেশনে পৌছালে রহম বারীর ছেলে পারভেজ তাদের আত্মীয়স্বজনদের স্টেশনে ডেকে কাউন্সিলরকে হেনস্থা করে নিজের শক্তির জানান দেন। এ দেখে কাউন্সিলর তার শক্তি দেখাতে তার ভাই হাবলু ও ভায়ের ছেলে রাজাকে মোবাইল ফোনে করে দর্শনা স্টেশনে এসে দাড়াতে বলে। এর কিছুক্ষণ পর গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা হল্ট স্টেশনে ট্রেন পৌছালে পূর্ব থেকে থাকা কাউন্সিলর খালেকের ভাই হাবলু ও ভাইয়ের ছেলে রাজা রহম বারীর পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রহম বারীর স্ত্রী পারুল খাতুন (৪৫), ছেলে পলাশ (২৪), মেয়ে ঝুমা (১১) ও ছেলের গর্ভবতী স্ত্রী রুমা (২০) আহত হয়। এসময় রহম বারীর কাছে থাকা ঘর তৈরির করার জন্য জমানো নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও ১টি সোনার চেইন খোয়া যায়। তবে রহম বারীর পরিবারের অভিযোগ এই ঠাকা ও স্বর্নের চেইন কাউন্সিলর খালেকের ভাইয়ের ছেলে রাজা তাদের কাছ থেকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। এদিকে, আহতের স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করে দামুড়হুদার চিৎলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে কাউন্সিলর খালেক জানান, ট্রেনে ভিতরে তর্কতর্কির একপর্যায়ে রহম বারীর ছেলে জয়রামপুরে এসে তার লোকজন ডেকে আমাদের হেনস্থা করে। এরপর আমি আমার ভাই ও ভাতিজাদে খবর দিয় স্টেশনে আসার জন্য। এরই মধ্যে আমার অনুপস্থিতিতে তারা আমাকে গালাগালি করলে আমার ভাতিজা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি তাদের সাথে কথা বলেছি পরে মিমাংসা করে নেব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ট্রেনের মধ্যে সৃষ্ট ঘটনায় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে দর্শনা স্টেশনে মারামারি

আপলোড টাইম : ০৯:১৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৮

স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকা নিয়ে রাজার পলায়ন
দর্শনা অফিস: দর্শনায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার দিকে এই মারামারির ঘটনা ঘটলে এতে ৪ জন আহত হয় এবং নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণের চেউন ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে। এনিয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকালে বেগমপুর ইউয়িনের কৃষ্ণপুর গ্রামের রোনগহাল পাড়ার রহম বারী তার স্ত্রী পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকা থেকে এসে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ স্টেশন থেকে গোয়ালন্দ এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে। ট্রেনটি কুষ্টিয়া স্টেশনে পৌছুলে দর্শনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসান খালেকুজ্জামান খালেক তার পরিবার পরিজনকে নিয়ে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনে ভিড় এবং কোন ছিট ফাকা না থাকায় রহম বারী তার নিজের বসা ছিট ছেড়ে কাউন্সিলর খালেককে সম্মান দেখিয়ে তার স্ত্রীকে বসতে দেন। এসময় আরো একটি ছিট ছেড়ে দেওয়ার জন্য রহম বারীর স্ত্রীকে বলেন কাউন্সিলর খালেক। তখন রহম বারীর স্ত্রী ছিট না ছাড়লে তাদের উদ্যোশে কাউন্সিলর খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে থাকলে রহম বারীর ছেলে তার প্রতিবাদ করে। এসময় কাউন্সিলরের সাথে রহম বারীদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে ট্রেন জয়রামপুরে স্টেশনে পৌছালে রহম বারীর ছেলে পারভেজ তাদের আত্মীয়স্বজনদের স্টেশনে ডেকে কাউন্সিলরকে হেনস্থা করে নিজের শক্তির জানান দেন। এ দেখে কাউন্সিলর তার শক্তি দেখাতে তার ভাই হাবলু ও ভায়ের ছেলে রাজাকে মোবাইল ফোনে করে দর্শনা স্টেশনে এসে দাড়াতে বলে। এর কিছুক্ষণ পর গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা হল্ট স্টেশনে ট্রেন পৌছালে পূর্ব থেকে থাকা কাউন্সিলর খালেকের ভাই হাবলু ও ভাইয়ের ছেলে রাজা রহম বারীর পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রহম বারীর স্ত্রী পারুল খাতুন (৪৫), ছেলে পলাশ (২৪), মেয়ে ঝুমা (১১) ও ছেলের গর্ভবতী স্ত্রী রুমা (২০) আহত হয়। এসময় রহম বারীর কাছে থাকা ঘর তৈরির করার জন্য জমানো নগদ ৬৫ হাজার টাকা ও ১টি সোনার চেইন খোয়া যায়। তবে রহম বারীর পরিবারের অভিযোগ এই ঠাকা ও স্বর্নের চেইন কাউন্সিলর খালেকের ভাইয়ের ছেলে রাজা তাদের কাছ থেকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। এদিকে, আহতের স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার করে দামুড়হুদার চিৎলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে কাউন্সিলর খালেক জানান, ট্রেনে ভিতরে তর্কতর্কির একপর্যায়ে রহম বারীর ছেলে জয়রামপুরে এসে তার লোকজন ডেকে আমাদের হেনস্থা করে। এরপর আমি আমার ভাই ও ভাতিজাদে খবর দিয় স্টেশনে আসার জন্য। এরই মধ্যে আমার অনুপস্থিতিতে তারা আমাকে গালাগালি করলে আমার ভাতিজা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি তাদের সাথে কথা বলেছি পরে মিমাংসা করে নেব।