ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ট্রাক সেক্টরে নতুন কৌশলের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০
  • / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

????????????????????????????????????

চুয়াডাঙ্গায় আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক সেক্টরে নতুন কৌশলের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় শ্রমিক ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এমদাদুর রহমান। ইউনিয়নের সেক্রেটারি শেখ মুনতাজ আলীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন সহসভাপতি পিরু মিয়া, মামুন অর রশীদ ও লাইন সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে গত ২৬ শে মার্চ সারা দেশে শুরু হয় লকডাউন। সে কারণে দেশের প্রায় ৭০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে এবং কর্মহীনতায় চরম সংকটে পড়ে সারা দেশের পরিবহন শ্রমিকেরা। সে সময় দেশের অধিকাংশ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকের সংগঠনগুলো তাদের শ্রমিকদের যথার্থ সাহায্য সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়। ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা সারা দেশের মালিক ও শ্রমিক কল্যাণের নামে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রাজপথে জড়ো হয়ে দফায় দফায় ক্ষোভ প্রকাশ ও বিক্ষোভ করে। এ সকল কর্মসূচি দেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়ে মালিক শ্রমিক সংগঠন ও তাদের নের্তৃত্ব।
গত ৪ জুন বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নের্তৃবৃন্দ এক সভায় এ ঐক্যমতে পৌঁছায়। এরপর পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর হয়ে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৯ জুন পর্যন্ত পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজ আটকসহ ৬৬টি মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরলস পরিশ্রম আর প্রচেষ্টায় সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলাতে বন্ধ হয়ে যায় সব প্রকার অবৈধ চাঁদা। পরিবহন সেক্টরে দীর্ঘদিনের অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে শৃঙ্খলা ফেরে পরিবহন সেক্টরে। প্রশংসিত হয়েছে অইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। পূর্ব দিগন্তের সোনালী সূর্যটা উদিত হতেই আবার কালো মেঘের আনাগোনা। তেমনিভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে পরিবহন সেক্টরে আবারও নৈরাজ্য সৃষ্ট করে নব্য কৌশলে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গঠন করা হয়েছে ট্রাক সেক্টরে সিন্ডিকেট। চুয়াডাঙ্গা জেলাতে গঠন করা হয়েছে ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এখানে বর্তমান রয়েছ ৩টি সংগঠন যথা: চুয়াডাঙ্গা জেল ট্রাক মালিক গ্রুপ, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং ৫৯৫) ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক-ট্রাংকলরি ট্যাক্টর কাভারভ্যন (দাহ্য পদার্থ বহনকারী ব্যতিত) শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং ৯৫৭)। ঐক্য পরিষদে বাদ পড়েছে চুয়াডাঙ্গা আন্ত:জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি:নং ১৮৯৫)।
এ সময় সংগঠনের সাাধারণ সম্পদক মুনতাজুর রহমান বলেন, ‘ট্রাক শ্রমিকেরা অধিকার জিম্মি করে শুধুমাত্র চাঁদাবাজি করার জন্য ঐক্য গঠনে আমরা দ্বিমত পোষণ করি। সে কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নামক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রমের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সেহেতু ট্রাক ভাড়ার জন্য প্রতি ট্রাকে মালামাল বহনের জন্যে স্থান, পণ্য, ট্রাক পরিচিতি, ভাড়া বিবরণী সম্মিলিত চালানপাত্র ব্যবহার করে থাকে। আর এই অপশাসনকে টার্গেট করেই চাঁদাবাজির কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ট্রাক বন্দোবস্তকারী (দালাল/ট্রান্সপোর্ট) অফিসগুলোকে। ঐক্য পরিষদের নামিয় চালানপত্র ৫০ পাতার বই ৫ হাজার টাকায় ক্রয় করে ট্রাক প্রতি ১ শ/ ২শ টাকা চাঁদা উত্তোলনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব ট্রাক বন্দোবস্ত অফিস এ নির্দেশনা মানবে না তাদের ব্যবস্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে। এভাবে জিম্মি করা হচ্ছে ট্রাক বন্দোবস্তকারী অফিসগুলোকে। আমরা এ ধরনের কাজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি ইউনিয়নের লাইন সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, দৌলাতদিয়াড় শাখার সেক্রেটারি ডাবলু ড্রাইভার, আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি আব্দুল মালেক, দামুড়হুদা শাখার সভাপতি ফকির আহম্মেদ, জীবননগর শাখার সেক্রেটারি আব্দুল হালিম, সরোজগঞ্জ শাখার সভাপতি ইদ্রিস আলী ও কার্পাসডাঙ্গা শাখার সেক্রেটারি জামাত আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ট্রাক সেক্টরে নতুন কৌশলের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি

আপলোড টাইম : ০৯:৩৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২০

চুয়াডাঙ্গায় আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিবাদ সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক সেক্টরে নতুন কৌশলের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় শ্রমিক ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এমদাদুর রহমান। ইউনিয়নের সেক্রেটারি শেখ মুনতাজ আলীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন সহসভাপতি পিরু মিয়া, মামুন অর রশীদ ও লাইন সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে গত ২৬ শে মার্চ সারা দেশে শুরু হয় লকডাউন। সে কারণে দেশের প্রায় ৭০ লাখ পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে এবং কর্মহীনতায় চরম সংকটে পড়ে সারা দেশের পরিবহন শ্রমিকেরা। সে সময় দেশের অধিকাংশ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকের সংগঠনগুলো তাদের শ্রমিকদের যথার্থ সাহায্য সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়। ক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা সারা দেশের মালিক ও শ্রমিক কল্যাণের নামে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে রাজপথে জড়ো হয়ে দফায় দফায় ক্ষোভ প্রকাশ ও বিক্ষোভ করে। এ সকল কর্মসূচি দেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। সমালোচনার ঝড়ের মুখে পড়ে মালিক শ্রমিক সংগঠন ও তাদের নের্তৃত্ব।
গত ৪ জুন বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নের্তৃবৃন্দ এক সভায় এ ঐক্যমতে পৌঁছায়। এরপর পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর হয়ে মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ৯ জুন পর্যন্ত পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজ আটকসহ ৬৬টি মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরলস পরিশ্রম আর প্রচেষ্টায় সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলাতে বন্ধ হয়ে যায় সব প্রকার অবৈধ চাঁদা। পরিবহন সেক্টরে দীর্ঘদিনের অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে শৃঙ্খলা ফেরে পরিবহন সেক্টরে। প্রশংসিত হয়েছে অইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। পূর্ব দিগন্তের সোনালী সূর্যটা উদিত হতেই আবার কালো মেঘের আনাগোনা। তেমনিভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলাতে পরিবহন সেক্টরে আবারও নৈরাজ্য সৃষ্ট করে নব্য কৌশলে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গঠন করা হয়েছে ট্রাক সেক্টরে সিন্ডিকেট। চুয়াডাঙ্গা জেলাতে গঠন করা হয়েছে ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এখানে বর্তমান রয়েছ ৩টি সংগঠন যথা: চুয়াডাঙ্গা জেল ট্রাক মালিক গ্রুপ, চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং ৫৯৫) ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক-ট্রাংকলরি ট্যাক্টর কাভারভ্যন (দাহ্য পদার্থ বহনকারী ব্যতিত) শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং ৯৫৭)। ঐক্য পরিষদে বাদ পড়েছে চুয়াডাঙ্গা আন্ত:জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি:নং ১৮৯৫)।
এ সময় সংগঠনের সাাধারণ সম্পদক মুনতাজুর রহমান বলেন, ‘ট্রাক শ্রমিকেরা অধিকার জিম্মি করে শুধুমাত্র চাঁদাবাজি করার জন্য ঐক্য গঠনে আমরা দ্বিমত পোষণ করি। সে কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলা ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নামক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রমের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। সেহেতু ট্রাক ভাড়ার জন্য প্রতি ট্রাকে মালামাল বহনের জন্যে স্থান, পণ্য, ট্রাক পরিচিতি, ভাড়া বিবরণী সম্মিলিত চালানপাত্র ব্যবহার করে থাকে। আর এই অপশাসনকে টার্গেট করেই চাঁদাবাজির কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বলির পাঠা বানানো হচ্ছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ট্রাক বন্দোবস্তকারী (দালাল/ট্রান্সপোর্ট) অফিসগুলোকে। ঐক্য পরিষদের নামিয় চালানপত্র ৫০ পাতার বই ৫ হাজার টাকায় ক্রয় করে ট্রাক প্রতি ১ শ/ ২শ টাকা চাঁদা উত্তোলনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেসব ট্রাক বন্দোবস্ত অফিস এ নির্দেশনা মানবে না তাদের ব্যবস্য বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে। এভাবে জিম্মি করা হচ্ছে ট্রাক বন্দোবস্তকারী অফিসগুলোকে। আমরা এ ধরনের কাজের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন আন্তঃজেলা ট্রাক ও ট্রাংকলরি ইউনিয়নের লাইন সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, দৌলাতদিয়াড় শাখার সেক্রেটারি ডাবলু ড্রাইভার, আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি আব্দুল মালেক, দামুড়হুদা শাখার সভাপতি ফকির আহম্মেদ, জীবননগর শাখার সেক্রেটারি আব্দুল হালিম, সরোজগঞ্জ শাখার সভাপতি ইদ্রিস আলী ও কার্পাসডাঙ্গা শাখার সেক্রেটারি জামাত আলীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।