ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

টাইম স্কেল কর্তনের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • / ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:টাইম স্কেল কর্তনের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে প্রায় ৩ শ জন শিক্ষক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন তাঁরা। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভীন।

এ সময় তিনি স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণ করেন। এতে লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি তিন ধাপে জাতীয়করণ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিশাল সাফল্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেন এককভাবে ঘরে তুলতে না পারে, তার জন্য প্রশাসনের মধ্যে কিছু ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরি শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা এসআরও নম্বর ৩১৫ আইন-২০১৩ এর বিধি-২ উপবিধি-গ, বিধি-৯ উপবিধি (২) ও (৩) অনুযায়ী কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড এবং প্রযোজ্য টাইমস্কেল প্রাপ্য হবেন।

কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ০৮/১০/২০১৭ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে বিভাগ-ওয়ারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদেরকে ডেকে এনে কার্যকর চাকরিকালের তারিখের পরিবর্তে ০১/০১/২০১৩ইং (জাতীয়করণের তারিখ) ধরে জ্যেষ্ঠতা তালিকা করার মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয়কণকৃত শিক্ষকদের কতগুলো আইন ও পরিপত্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা হয়েছে, তার কোনোটাতেই জাতীয়করণের তারিখ অর্থাৎ ০১/০১/২০১৩ ইং থেকে চাকরিকাল গণনা করার কথা বলা নেই। এখন আবার ৭ (সাত) বছর পর বিধি-৯, উপবিধি ১ এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে একই কায়দায় ষড়যন্ত্রকারীদের কু-প্ররোচনায় জাতীয়করণের পূর্বের চাকরিকাল গণনা না করে, হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উন্যোনকৃত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৭ (সাত) বছর পর টাইমস্কেল কর্তনের পত্র জারি করেন। যার দরুন ৪৮৭২০ জন টাইমস্কেল উত্তোলনকৃত শিক্ষক চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। স্মারকলিপিতে টাইম স্কেল কর্তনের নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জাতীয়করণকৃত শিক্ষক মহাজোটের সমন্বয়ক ইসলামপাড়া পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী, সরিষাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম সোনা, ডুগডুগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী, জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, আলমডাঙ্গার বকশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রহমতইল্লাহ, নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজির হোসেন, বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন মৃধা, নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালিদ হাসান জাহাঙ্গীর, ৬২ আড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, পীরগঞ্জ নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহামুদুন্নবী, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রজব আলী প্রমুখ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

টাইম স্কেল কর্তনের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

আপলোড টাইম : ১২:৫১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:টাইম স্কেল কর্তনের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে প্রায় ৩ শ জন শিক্ষক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন তাঁরা। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের পক্ষে স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভীন।

এ সময় তিনি স্মারকলিপিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি স্কুল জাতীয়করণ করেন। এতে লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকরি তিন ধাপে জাতীয়করণ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিশাল সাফল্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যেন এককভাবে ঘরে তুলতে না পারে, তার জন্য প্রশাসনের মধ্যে কিছু ঘাপটি মেরে থাকা জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অধিগ্রহণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (চাকরি শর্তাদি নির্ধারণ) বিধিমালা এসআরও নম্বর ৩১৫ আইন-২০১৩ এর বিধি-২ উপবিধি-গ, বিধি-৯ উপবিধি (২) ও (৩) অনুযায়ী কার্যকর চাকরিকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড এবং প্রযোজ্য টাইমস্কেল প্রাপ্য হবেন।

কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গত ০৮/১০/২০১৭ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে বিভাগ-ওয়ারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদেরকে ডেকে এনে কার্যকর চাকরিকালের তারিখের পরিবর্তে ০১/০১/২০১৩ইং (জাতীয়করণের তারিখ) ধরে জ্যেষ্ঠতা তালিকা করার মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে জাতীয়করণকৃত সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাতীয়কণকৃত শিক্ষকদের কতগুলো আইন ও পরিপত্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা হয়েছে, তার কোনোটাতেই জাতীয়করণের তারিখ অর্থাৎ ০১/০১/২০১৩ ইং থেকে চাকরিকাল গণনা করার কথা বলা নেই। এখন আবার ৭ (সাত) বছর পর বিধি-৯, উপবিধি ১ এর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে একই কায়দায় ষড়যন্ত্রকারীদের কু-প্ররোচনায় জাতীয়করণের পূর্বের চাকরিকাল গণনা না করে, হিসাবরক্ষণ অফিসগুলো জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উন্যোনকৃত টাইমস্কেল ফেরত প্রদানের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৭ (সাত) বছর পর টাইমস্কেল কর্তনের পত্র জারি করেন। যার দরুন ৪৮৭২০ জন টাইমস্কেল উত্তোলনকৃত শিক্ষক চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। স্মারকলিপিতে টাইম স্কেল কর্তনের নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জাতীয়করণকৃত শিক্ষক মহাজোটের সমন্বয়ক ইসলামপাড়া পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ আলী, সরিষাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম সোনা, ডুগডুগি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলী, জীবননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, আলমডাঙ্গার বকশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রহমতইল্লাহ, নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজির হোসেন, বহালগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিম উদ্দিন মৃধা, নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালিদ হাসান জাহাঙ্গীর, ৬২ আড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, পীরগঞ্জ নীলমণিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহামুদুন্নবী, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রজব আলী প্রমুখ।