ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

টাইব্রেকারে শেষ আটে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুলাই ২০১৮
  • / ৪৮৫ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক: টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল স্বাগতিক রাশিয়া। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় বিশ্বকাপের আয়োজকরা। এটাই চলতি বিশ্বকাপের প্রথম টাইব্রেকার। এদিকে, ২য় রাউন্ডের দিনের দ্বিতীয় খেলায় ট্রাইবেকারে ডেনমার্ককে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া।
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে উত্তেজনাকর ম্যাচের ১১ মিনিটেই আত্মঘাতী গোলে স্পেনকে এগিয়ে দেন ইগনাশেভিচ। এতে অবদান আছে সার্জিও রামোসেরও। মার্কো আসেননিওর ফ্রি কিকের পর রামোসকে ট্যাকেল করা চেষ্টা করেছিলেন ইগনাশেভিচ। হুড়োহুড়ির মাটিতে পড়ার সময় অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। চলতি বিশ্বকাপে এটি ১০ম আত্মঘাতী গোল। বিরতির আগে আগে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ সমতায় আসে রাশিয়া। পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। ডি বক্সের ভেতর হেড করতে লাফিয়ে উঠা জেরার্ড পিকের উঁচিয়ে থাকা হাতে পেছন থেকে জুবার হেড লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। এটা বোঝার কোনো উপায় ছিল না পিকের। রেফারির সঙ্গে বাকবিত-া করে কার্ডও দেখতে হয়েছে তাকে। ৪১তম মিনিটে পেনাল্টি শ্যুটআউটে বল জালে জড়া জুবা। বাকী সময় আর কোনো গোল হয়নি। ১-১ সমতা নিয়েই পূর্ণ সময় শেষ করে দুই দল। যেহেতু এটা নক-আউট পর্ব, তাই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের এই ম্যাচে সর্বশেষ একাদশ থেকে ৩টি পরিবর্তন এনেছে স্পেন। বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, দানি কারভাহাল ও তিয়াগো আলকান্তারা। অন্যদিকে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে রাশিয়া। ‘ড্রাগ গুঞ্জন’ কারণে বাদ পড়েছেন ৩ গোল করা ডেনিস চেরিশেভ। লাল কার্ড দেখে বাদ ইগর স্মলনিকভ। এছাড়া ইউরি গাজিনস্কি ও আলেক্সি মিরানচুকও জায়গা পাননি।
অপরদিকে, নাটকের পর নাটক জন্ম দিচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও স্পেন। তাদের পথ ধরে বাড়ি ফিরেছে শক্তিশালী পর্তুগাল। এবার কী বিদায়ঘণ্টা বাজবে পরিষ্কার ফেভারিট ক্রোয়েশিয়ার? অপেক্ষা করতে হলো শেষ দৃশ্য পর্যন্ত। যেখানে সফল পরিণতি হলো ক্রোয়াটদের। টাইব্রেকার নামক ভাগ্যে জিতে গেল তারা। ডেনমার্ককে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখালো লুকা মড্রিচ-ইভান রাকিতিচরা। জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে, হারলে বিদায়। এমন সমীকরণ নিয়ে নোভগোরদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্ক। ভূমিকাতেই গোল পেয়ে যায় ডেনমার্ক। শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় নিশানাভেদে এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন মেথিয়াস জর্গেনেনেন। তবে তার রেকর্ডের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মারিও মানজুকিচ। এরপর এগিয়ে যেতে মরিয়া আক্রমণ চালায় উভয় দল। তবে কোনো দলই গোলমুখ খুলতে পারেনি। ফলে স্কোর লাইন ১-১ নিয়ে বিরতিতে যায় তারা। বিরতির পর আক্রমণের ধারা বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। তবে মূল ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেনি ক্রোয়াটরা। বলতে গেলে দুর্ভাগ্যবশত গোল পায়নি তারা। মড্রিচ-রাকিতিচ-মানজুকিচের বেশ কয়েকটি শট গোল পোস্ট না গোলবারে লেগে ফিরে এসেছে। মাঝে মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠেছে ডেনমার্ক। কিন্তু কাঙ্খিত সাফল্য পায়নি তারাও। একজন ভালো ফিনিশারের দারুণ অভাববোধ করেছে ডেনিশরা। ফলে ১-১ সমতাতেই নির্ধারিত ৯০ মিনেটের খেলা শেষ হয়। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এ সময়ে গোল পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় ক্রোয়েশিয়া। সুযোগও পায় দলটি। ১১৪ মিনিটে ডেনমার্ক গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান রেবিচ। সেটি নিশ্চিত গোল হতো। তবে তাকে ফাউল করে তা নস্যাৎ করেন নিকোলাই জর্গেনসেন। এতে পেনাল্টি পায় ক্রোয়াটরা। কিন্তু তা থেকে গোল আদায় করতে পারেননি লুকা মড্রিচ। ফলে আগের অবস্থাতেই খেলা শেষ হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

টাইব্রেকারে শেষ আটে রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া

আপলোড টাইম : ১২:০৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুলাই ২০১৮

স্পোর্টস ডেস্ক: টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল স্বাগতিক রাশিয়া। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় বিশ্বকাপের আয়োজকরা। এটাই চলতি বিশ্বকাপের প্রথম টাইব্রেকার। এদিকে, ২য় রাউন্ডের দিনের দ্বিতীয় খেলায় ট্রাইবেকারে ডেনমার্ককে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া।
মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে উত্তেজনাকর ম্যাচের ১১ মিনিটেই আত্মঘাতী গোলে স্পেনকে এগিয়ে দেন ইগনাশেভিচ। এতে অবদান আছে সার্জিও রামোসেরও। মার্কো আসেননিওর ফ্রি কিকের পর রামোসকে ট্যাকেল করা চেষ্টা করেছিলেন ইগনাশেভিচ। হুড়োহুড়ির মাটিতে পড়ার সময় অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। চলতি বিশ্বকাপে এটি ১০ম আত্মঘাতী গোল। বিরতির আগে আগে পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচ সমতায় আসে রাশিয়া। পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ আছে। ডি বক্সের ভেতর হেড করতে লাফিয়ে উঠা জেরার্ড পিকের উঁচিয়ে থাকা হাতে পেছন থেকে জুবার হেড লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দিয়েছিলেন রেফারি। এটা বোঝার কোনো উপায় ছিল না পিকের। রেফারির সঙ্গে বাকবিত-া করে কার্ডও দেখতে হয়েছে তাকে। ৪১তম মিনিটে পেনাল্টি শ্যুটআউটে বল জালে জড়া জুবা। বাকী সময় আর কোনো গোল হয়নি। ১-১ সমতা নিয়েই পূর্ণ সময় শেষ করে দুই দল। যেহেতু এটা নক-আউট পর্ব, তাই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের এই ম্যাচে সর্বশেষ একাদশ থেকে ৩টি পরিবর্তন এনেছে স্পেন। বাদ পড়েছেন অভিজ্ঞ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, দানি কারভাহাল ও তিয়াগো আলকান্তারা। অন্যদিকে চার পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে রাশিয়া। ‘ড্রাগ গুঞ্জন’ কারণে বাদ পড়েছেন ৩ গোল করা ডেনিস চেরিশেভ। লাল কার্ড দেখে বাদ ইগর স্মলনিকভ। এছাড়া ইউরি গাজিনস্কি ও আলেক্সি মিরানচুকও জায়গা পাননি।
অপরদিকে, নাটকের পর নাটক জন্ম দিচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও স্পেন। তাদের পথ ধরে বাড়ি ফিরেছে শক্তিশালী পর্তুগাল। এবার কী বিদায়ঘণ্টা বাজবে পরিষ্কার ফেভারিট ক্রোয়েশিয়ার? অপেক্ষা করতে হলো শেষ দৃশ্য পর্যন্ত। যেখানে সফল পরিণতি হলো ক্রোয়াটদের। টাইব্রেকার নামক ভাগ্যে জিতে গেল তারা। ডেনমার্ককে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখালো লুকা মড্রিচ-ইভান রাকিতিচরা। জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে, হারলে বিদায়। এমন সমীকরণ নিয়ে নোভগোরদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্ক। ভূমিকাতেই গোল পেয়ে যায় ডেনমার্ক। শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় নিশানাভেদে এবারের বিশ্বকাপে দ্রুততম গোলের রেকর্ড গড়েন মেথিয়াস জর্গেনেনেন। তবে তার রেকর্ডের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান মারিও মানজুকিচ। এরপর এগিয়ে যেতে মরিয়া আক্রমণ চালায় উভয় দল। তবে কোনো দলই গোলমুখ খুলতে পারেনি। ফলে স্কোর লাইন ১-১ নিয়ে বিরতিতে যায় তারা। বিরতির পর আক্রমণের ধারা বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। তবে মূল ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেনি ক্রোয়াটরা। বলতে গেলে দুর্ভাগ্যবশত গোল পায়নি তারা। মড্রিচ-রাকিতিচ-মানজুকিচের বেশ কয়েকটি শট গোল পোস্ট না গোলবারে লেগে ফিরে এসেছে। মাঝে মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠেছে ডেনমার্ক। কিন্তু কাঙ্খিত সাফল্য পায়নি তারাও। একজন ভালো ফিনিশারের দারুণ অভাববোধ করেছে ডেনিশরা। ফলে ১-১ সমতাতেই নির্ধারিত ৯০ মিনেটের খেলা শেষ হয়। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এ সময়ে গোল পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালায় ক্রোয়েশিয়া। সুযোগও পায় দলটি। ১১৪ মিনিটে ডেনমার্ক গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান রেবিচ। সেটি নিশ্চিত গোল হতো। তবে তাকে ফাউল করে তা নস্যাৎ করেন নিকোলাই জর্গেনসেন। এতে পেনাল্টি পায় ক্রোয়াটরা। কিন্তু তা থেকে গোল আদায় করতে পারেননি লুকা মড্রিচ। ফলে আগের অবস্থাতেই খেলা শেষ হয়।