ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব, অতিষ্ঠ মানুষ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২৭:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ পৌরসভায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। ইফতার, নামাজ ও সেহেরি কিছুই শান্তিতে করা যাচ্ছে না মশার উপদ্রবে। কয়েল কিংবা স্প্রে সবকিছুই মশার কাছে হার মানছে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহাই মিলছে না। এতে অতিষ্ঠ মানুষ। পৌরবাসীর অভিযোগ, শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা খাল, পাড়া-মহল্লার ড্রেন ও গর্তে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিনের দখল ও দূষণে খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। শহরের সমস্ত ময়লা পানি ড্রেনের মাধ্যেমে দেওয়া হয় সেখানে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলে পৌরবাসী। ফলে পানিতে ময়লা জমে প্রচুর মশার লাভা জন্ম নিচ্ছে। এদিকে, পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মশা নিধন না করায় বাড়ছে উপদ্রব। পৌরবাসী জানায়, নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকার ড্রেন পরিস্কার ও মশা নিধনে ওষুধ ছিটিয়েছিল। তবে বর্তমানে এ ধরণের কার্যক্রম চোখে পড়ে না। ফলে মশা বাড়ছে।

সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, পৌর এলাকায় অধিকাংশ পাড়া-মহল্লাতে আছে ছোট ছোট ডোব-নালা ও বদ্ধ ড্রেন। এসব ডোবা-নালার ওপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা উড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাবিব আহম্মেদ বলেন, ‘দিন বা রাত, ঘরে-বাইরে সবসময়ই মশার উপদ্রব থাকে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখলেও মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েল, ধোয়া কিছু দিয়েই কিছু হচ্ছে না। এ বছর যেভাবে মশার যন্ত্রণা বেড়েছে, এর আগে কখনো এমন দেখা যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, রাতে মশা আর দিনে মাছির উৎপাত নিয়েই তাঁরা বসবাস করছেন।

হামদহ ট্যাংকিপাড়ার রুয়ের পারভেজ বলেন, ‘শুধু কাগজ-কলমে আমাদের পৌরসভা প্রথম শ্রেণির। নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মশার যন্ত্রণা বেড়েছে। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম করা হলেও বাকিগুলোতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না।’ রোকেয়া  খাতুন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, শুধু রাতে না, দিনের বেলায় মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে। চলছে রমজান মাস। মশার যন্ত্রণায় নামাজ, ইফতার, সেহেরি কিছুই শান্তিতে করতে পারছি না। নতুন মেয়র ভোটের আগে অনেক কিছুই করবে বলেছিলেন। তিনি এখন মশা মারতেই কাবু। মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মারুফ আহম্মেদ বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে মশা নিধনের ওষুধ ছিটাচ্ছে। ভেবেছিলাম পাড়া-মহল্লাতেও আসবে। কিন্তু তাদের দেখা আর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, ‘মশা নিধনের অভিযান বন্ধ হয়নি। একবারে সবকিছু করা যায় না। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানে মশা নিধনের মেশিনও ছিল না। আমি চারটি মেশিনের ব্যবস্থা করেছি। যেসব এলাকায় মশা বেশি উৎপাত করছে, আমাকে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহ শহরে বেড়েছে মশার উপদ্রব, অতিষ্ঠ মানুষ

আপলোড টাইম : ০৫:২৭:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহ পৌরসভায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। ইফতার, নামাজ ও সেহেরি কিছুই শান্তিতে করা যাচ্ছে না মশার উপদ্রবে। কয়েল কিংবা স্প্রে সবকিছুই মশার কাছে হার মানছে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করেও রেহাই মিলছে না। এতে অতিষ্ঠ মানুষ। পৌরবাসীর অভিযোগ, শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা খাল, পাড়া-মহল্লার ড্রেন ও গর্তে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিনের দখল ও দূষণে খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। শহরের সমস্ত ময়লা পানি ড্রেনের মাধ্যেমে দেওয়া হয় সেখানে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ময়লা-আবর্জনা ফেলে পৌরবাসী। ফলে পানিতে ময়লা জমে প্রচুর মশার লাভা জন্ম নিচ্ছে। এদিকে, পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মশা নিধন না করায় বাড়ছে উপদ্রব। পৌরবাসী জানায়, নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর কয়েকদিন বিভিন্ন এলাকার ড্রেন পরিস্কার ও মশা নিধনে ওষুধ ছিটিয়েছিল। তবে বর্তমানে এ ধরণের কার্যক্রম চোখে পড়ে না। ফলে মশা বাড়ছে।

সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, পৌর এলাকায় অধিকাংশ পাড়া-মহল্লাতে আছে ছোট ছোট ডোব-নালা ও বদ্ধ ড্রেন। এসব ডোবা-নালার ওপর দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা উড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সাবিব আহম্মেদ বলেন, ‘দিন বা রাত, ঘরে-বাইরে সবসময়ই মশার উপদ্রব থাকে। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখলেও মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েল, ধোয়া কিছু দিয়েই কিছু হচ্ছে না। এ বছর যেভাবে মশার যন্ত্রণা বেড়েছে, এর আগে কখনো এমন দেখা যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, রাতে মশা আর দিনে মাছির উৎপাত নিয়েই তাঁরা বসবাস করছেন।

হামদহ ট্যাংকিপাড়ার রুয়ের পারভেজ বলেন, ‘শুধু কাগজ-কলমে আমাদের পৌরসভা প্রথম শ্রেণির। নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার না করা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে মশার যন্ত্রণা বেড়েছে। নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম করা হলেও বাকিগুলোতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না।’ রোকেয়া  খাতুন নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, শুধু রাতে না, দিনের বেলায় মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে। চলছে রমজান মাস। মশার যন্ত্রণায় নামাজ, ইফতার, সেহেরি কিছুই শান্তিতে করতে পারছি না। নতুন মেয়র ভোটের আগে অনেক কিছুই করবে বলেছিলেন। তিনি এখন মশা মারতেই কাবু। মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মারুফ আহম্মেদ বলেন, কিছুদিন আগে দেখলাম পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে মশা নিধনের ওষুধ ছিটাচ্ছে। ভেবেছিলাম পাড়া-মহল্লাতেও আসবে। কিন্তু তাদের দেখা আর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল বলেন, ‘মশা নিধনের অভিযান বন্ধ হয়নি। একবারে সবকিছু করা যায় না। আমরা পর্যায়ক্রমে কাজ করছি। প্রতিষ্ঠানে মশা নিধনের মেশিনও ছিল না। আমি চারটি মেশিনের ব্যবস্থা করেছি। যেসব এলাকায় মশা বেশি উৎপাত করছে, আমাকে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’