ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহ বিআরটিএ অফিসে দালালদের অত্যাচারে মালিকরা অতিষ্ঠ প্রতিকার নেই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:২১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের বিআরটিএ অফিসে দালালদের অত্যাচারে মোটরসাইকেল মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী পরিচয় দিয়ে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মালিকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্রাম থেকে আসা শত শত মানুষ এমন প্রতারণার শিকার হলেও কোন প্রতিকার নেই। মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এমন প্রতারণার শিকার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সিংগী গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন দত্ত। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার ভগ্নিপতির ডিসকভার ১০০ সিসির মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট প্রয়োজনের জন্য তারা বিআরটিএ অফিসে আসে। অফিসে আসার পর মহেশপুরের জনৈক আলী হোসেনের সাথে সিড়িতে উঠার সময় দেখা হলে তিনি বিআরটিএ অফিসে চাকরি করেন দাবী করে গাড়ির কাগজপত্র করে দেওয়ার আগ্রহ দেখায়। আপনি তার কথায় রাজি হলে তিনি আমাকে জানান, মোট ১১ হাজার টাকা দিলে আমি বিআরটিএ’র সহকারি পরিচালককে দিয়ে সব করে দিতে পারব। আলী হোসেন আরও জানান, স্যার ঘুষ খায়। আপনার হাত দিয়ে ঘুষের টাকা নিবে না। এ কথা শুনে আমি ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য (সদস্য নম্বর-২৬৮) মোঃ বেল্লাল হোসেনের সামনে টাকাসহ কাগজ পত্র দিই। এ সময় আমার সাথে মিন্টু চক্রবর্তী ও বিপুল নন্দী ছিল। এরপর ১৪ মাস কেটে গেছে। আমার কাগজপত্র হয়নি। দিনের পর দিন ঘুরিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আলী হেসেন ও বেল্লালের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সাফ জানিয়ে দেয় আমরা টাকা ও কাগজপত্র অফিসে জমা দিয়েছি। সেখানে যোগাযোগ করেন। আমরা কোন কাগজ পত্র করে দিতে পারব না। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আহসান আলী মিলন জানান, আমি আলী হোসেন ও বেল্লালকে চিনি না। তারা আমার কাছে কোন টাকা জমা দেয় নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহ বিআরটিএ অফিসে দালালদের অত্যাচারে মালিকরা অতিষ্ঠ প্রতিকার নেই

আপলোড টাইম : ১২:২১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের বিআরটিএ অফিসে দালালদের অত্যাচারে মোটরসাইকেল মালিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী পরিচয় দিয়ে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল মালিকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গ্রাম থেকে আসা শত শত মানুষ এমন প্রতারণার শিকার হলেও কোন প্রতিকার নেই। মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। এমন প্রতারণার শিকার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সিংগী গ্রামের ব্যবসায়ী সুমন দত্ত। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার ভগ্নিপতির ডিসকভার ১০০ সিসির মোটরসাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট প্রয়োজনের জন্য তারা বিআরটিএ অফিসে আসে। অফিসে আসার পর মহেশপুরের জনৈক আলী হোসেনের সাথে সিড়িতে উঠার সময় দেখা হলে তিনি বিআরটিএ অফিসে চাকরি করেন দাবী করে গাড়ির কাগজপত্র করে দেওয়ার আগ্রহ দেখায়। আপনি তার কথায় রাজি হলে তিনি আমাকে জানান, মোট ১১ হাজার টাকা দিলে আমি বিআরটিএ’র সহকারি পরিচালককে দিয়ে সব করে দিতে পারব। আলী হোসেন আরও জানান, স্যার ঘুষ খায়। আপনার হাত দিয়ে ঘুষের টাকা নিবে না। এ কথা শুনে আমি ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য (সদস্য নম্বর-২৬৮) মোঃ বেল্লাল হোসেনের সামনে টাকাসহ কাগজ পত্র দিই। এ সময় আমার সাথে মিন্টু চক্রবর্তী ও বিপুল নন্দী ছিল। এরপর ১৪ মাস কেটে গেছে। আমার কাগজপত্র হয়নি। দিনের পর দিন ঘুরিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আলী হেসেন ও বেল্লালের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সাফ জানিয়ে দেয় আমরা টাকা ও কাগজপত্র অফিসে জমা দিয়েছি। সেখানে যোগাযোগ করেন। আমরা কোন কাগজ পত্র করে দিতে পারব না। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আহসান আলী মিলন জানান, আমি আলী হোসেন ও বেল্লালকে চিনি না। তারা আমার কাছে কোন টাকা জমা দেয় নি।