ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে ৮ দিনে গ্রেফতার ৩৮৫ জন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৩৩৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জুড়ে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ৮ দিনে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৮৫ জনকে। ঝিনাইদহ জেলা ডিএসবির মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তা থেকে সাংবাদিকদের এই গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়েছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিএসবির এসআই কামরুজ্জামান ক্ষুদে বার্তায় জানিয়েছেন, জেলা ব্যাপী সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গী ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় ৫৪ জনকে। ওই দিন ৮টি বোমা, একটি ওয়ান সুটারগান ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ২ নভেম্বর ৪৬ জনকে গ্রেফতারসহ ১০টি বোমা প্রায় দেড় কেজি গাজা ও ১১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ৪ নম্বের ৪৫ জনকে গ্রেফতার ১০টি বোমা ও ৫৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ৫ নভেম্বর ৫৩ জনকে গ্রেফতার ১০টি বোমা ও ৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। ৬ নভেম্বর ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ৭ নভেম্বর ৫৩ জনকে গ্রেফতার ও ১০৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ৮ নভেম্বর ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সারা জেলা থেকে ৪৩ জনকে গ্রেফতারসহ ৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এদিকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্যমতে, নাশকতা, জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই অভিযান চালানো হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিএনপি জামায়াতের কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে দল দুইটির পালিয়ে থাকা নেতারা অভিযোগ করেছেন। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ এ লক্ষ্যে ডিএসবি থেকে গ্রামে গ্রামে তালিকা করা হয়েছে। সরকারী দলের নেতা ও দল সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানরাও তালিকা দিচ্ছে পুলিশকে। সেই তালিকা নিয়ে পুলিশ ছুটছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। তবে পুলিশ বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে তাদের অভিযান নাশকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গী ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। কাউকে হয়রানী করার জন্য নয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে ৮ দিনে গ্রেফতার ৩৮৫ জন

আপলোড টাইম : ০৯:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ জুড়ে পুলিশের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ৮ দিনে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৮৫ জনকে। ঝিনাইদহ জেলা ডিএসবির মুঠোফোনের ক্ষুদে বার্তা থেকে সাংবাদিকদের এই গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়েছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিএসবির এসআই কামরুজ্জামান ক্ষুদে বার্তায় জানিয়েছেন, জেলা ব্যাপী সন্ত্রাস, নাশকতা, জঙ্গী ও মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় ৫৪ জনকে। ওই দিন ৮টি বোমা, একটি ওয়ান সুটারগান ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ২ নভেম্বর ৪৬ জনকে গ্রেফতারসহ ১০টি বোমা প্রায় দেড় কেজি গাজা ও ১১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ৪ নম্বের ৪৫ জনকে গ্রেফতার ১০টি বোমা ও ৫৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ৫ নভেম্বর ৫৩ জনকে গ্রেফতার ১০টি বোমা ও ৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। ৬ নভেম্বর ৪৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ৭ নভেম্বর ৫৩ জনকে গ্রেফতার ও ১০৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। ৮ নভেম্বর ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার সারা জেলা থেকে ৪৩ জনকে গ্রেফতারসহ ৮টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এদিকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্যমতে, নাশকতা, জঙ্গী, সন্ত্রাস, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এই অভিযান চালানো হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিএনপি জামায়াতের কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে দল দুইটির পালিয়ে থাকা নেতারা অভিযোগ করেছেন। বিরোধী নেতাদের অভিযোগ এ লক্ষ্যে ডিএসবি থেকে গ্রামে গ্রামে তালিকা করা হয়েছে। সরকারী দলের নেতা ও দল সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যানরাও তালিকা দিচ্ছে পুলিশকে। সেই তালিকা নিয়ে পুলিশ ছুটছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। তবে পুলিশ বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে তাদের অভিযান নাশকতা, সন্ত্রাস, জঙ্গী ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য। কাউকে হয়রানী করার জন্য নয়।