ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে হিজড়াদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষনে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান থাকা ব্যক্তিরা হিজড়া তালিকায়!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে হিজড়াদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষনে প্রকৃত হিজড়াদের বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হিজড়াদের জীবন মানোন্নয়নে এই খাতে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রোববার ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ায় সিনিয়র হিজড়া নাজমার বাসায় এক জরুরী বৈঠক ও প্রতিবাদ সভায় এই অভিযোগ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, প্রকৃত হিজড়াদের বাদ দিয়ে এই প্রশিক্ষনে স্বামী সন্তান থাকা ব্যক্তিদের নেওয়া হচ্ছে। তবে হিজড়াদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোমিনুর রহমান বলেছেন, নাজমা ও বর্ষাদের প্রশিক্ষনে নেওয়ার জন্য বহুবার তাদের বলা হয়েছে। তারা আসেন নি। এমনকি তারা প্রশিক্ষন ভুন্ডুল করারও হুমকী দেয়। অবশেষে জেলা প্রশাসকের একান্ত তত্বাবধানে এই প্রশিক্ষন করা হচ্ছে। এদিকে প্রশিক্ষন থেকে বাদ পড়া হিজড়াদের অভিযোগ, আমরাই প্রকৃত হিজড়া। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে যাদের বউ ছেলে মেয়ে ও সংসার আছে তাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। ৬৭ বছর বয়সী নাজমা হিজড়া অভিযোগ করেন, আদর্শপাড়ার মিলনের দুই মেয়ে রয়েছে। তাকে প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। একই ভাবে ব্যাপারীপাড়ার আক্তার বিবাহিত ও তার স্ত্রী আছে। বয়ড়াতলা গ্রামের খঞ্জর দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়েও হয়েছে। ষাটবাড়িয়া গ্রামের যাদবের তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। খাজুরার হাসেমের এক মেয়ে থাকা সত্বেও এরা কি ভাবে হিজড়া হয় এ প্রশ্ন রাখেন তরা। তাদের অভিযোগ ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন অফিসে ঘুষ দিয়ে স্বামী, সন্তান ও স্ত্রী থাকা ব্যক্তিতদের হিজড়া বানিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।  বাদপড়া হিজড়াদের মধ্যে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরের বর্ষা, ব্যাপারী পাড়ার মনোয়ারা, কাঞ্চননগরের আকাশী, উদয়পুরের কারীশমা, কালীচরনপুরের প্রিয়ংকা, নগরবাথানের খালেদা, লক্ষীপুরের সুমী, বয়ড়াতলার কাজল, খাজুরার স্বপ্না ও সুলতানা, ভুটিয়ারগাতির আনোয়ারা, আদর্শপাড়ার শিউলী ও পায়েলসহ ২৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন রাশেদা সুলতানা জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই যানি না। ঝিনাইদহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোমিনুর রহমান বলেন, হিজড়াদের অভিযোগ সত্য নয়। তাদের পেছনে আমরা বহুবার ঘুরেছি, বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। কিন্তু তারা প্রশিক্ষন করবে না এবং উল্টো প্রশিক্ষন ভুন্ডুল করার হুমকী দেয়। এখন প্রশিক্ষন শুরুর মুহুর্তে এই অভিযোগ করা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য বলে তিনি মনে করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে হিজড়াদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষনে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান থাকা ব্যক্তিরা হিজড়া তালিকায়!

আপলোড টাইম : ০৪:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০১৭

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে হিজড়াদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রশিক্ষনে প্রকৃত হিজড়াদের বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হিজড়াদের জীবন মানোন্নয়নে এই খাতে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রোববার ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ায় সিনিয়র হিজড়া নাজমার বাসায় এক জরুরী বৈঠক ও প্রতিবাদ সভায় এই অভিযোগ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, প্রকৃত হিজড়াদের বাদ দিয়ে এই প্রশিক্ষনে স্বামী সন্তান থাকা ব্যক্তিদের নেওয়া হচ্ছে। তবে হিজড়াদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোমিনুর রহমান বলেছেন, নাজমা ও বর্ষাদের প্রশিক্ষনে নেওয়ার জন্য বহুবার তাদের বলা হয়েছে। তারা আসেন নি। এমনকি তারা প্রশিক্ষন ভুন্ডুল করারও হুমকী দেয়। অবশেষে জেলা প্রশাসকের একান্ত তত্বাবধানে এই প্রশিক্ষন করা হচ্ছে। এদিকে প্রশিক্ষন থেকে বাদ পড়া হিজড়াদের অভিযোগ, আমরাই প্রকৃত হিজড়া। অথচ আমাদের বাদ দিয়ে যাদের বউ ছেলে মেয়ে ও সংসার আছে তাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। ৬৭ বছর বয়সী নাজমা হিজড়া অভিযোগ করেন, আদর্শপাড়ার মিলনের দুই মেয়ে রয়েছে। তাকে প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। একই ভাবে ব্যাপারীপাড়ার আক্তার বিবাহিত ও তার স্ত্রী আছে। বয়ড়াতলা গ্রামের খঞ্জর দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়েও হয়েছে। ষাটবাড়িয়া গ্রামের যাদবের তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। খাজুরার হাসেমের এক মেয়ে থাকা সত্বেও এরা কি ভাবে হিজড়া হয় এ প্রশ্ন রাখেন তরা। তাদের অভিযোগ ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন অফিসে ঘুষ দিয়ে স্বামী, সন্তান ও স্ত্রী থাকা ব্যক্তিতদের হিজড়া বানিয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।  বাদপড়া হিজড়াদের মধ্যে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরের বর্ষা, ব্যাপারী পাড়ার মনোয়ারা, কাঞ্চননগরের আকাশী, উদয়পুরের কারীশমা, কালীচরনপুরের প্রিয়ংকা, নগরবাথানের খালেদা, লক্ষীপুরের সুমী, বয়ড়াতলার কাজল, খাজুরার স্বপ্না ও সুলতানা, ভুটিয়ারগাতির আনোয়ারা, আদর্শপাড়ার শিউলী ও পায়েলসহ ২৭ জন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন রাশেদা সুলতানা জানান, আমি নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি কিছুই যানি না। ঝিনাইদহ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোমিনুর রহমান বলেন, হিজড়াদের অভিযোগ সত্য নয়। তাদের পেছনে আমরা বহুবার ঘুরেছি, বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। কিন্তু তারা প্রশিক্ষন করবে না এবং উল্টো প্রশিক্ষন ভুন্ডুল করার হুমকী দেয়। এখন প্রশিক্ষন শুরুর মুহুর্তে এই অভিযোগ করা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য বলে তিনি মনে করেন।