ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে সিজারের পর দুই শিশুর মৃত্যু!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / ২১৬ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার রাবেয়া হাসপাতালে সিজারের পর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে শহরের আল ফালাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ ডিএসবির একটি সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত বুধবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পরমান্দপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাবনী, শৈলকুপার ফুলহরি কাজীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাস সেণ্টুর স্ত্রী শারমিন আক্তার ও হরিণাকু-ুর শাখারীদহ গ্রামের নাজমুল হকের স্ত্রী সীমা খাতুনকে সিজার করা হয়। সিজারের পরপরই সদ্য ভূমিষ্ট শিশুরা মূমুর্ষ হয়ে পড়ে। বেগতিক দেখে ক্লিনিকের মালিক তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু শিশুর অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের প্রিন্স ও আল ফালাহ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত বৃহস্পতিবার লাবনীর সন্তান প্রিন্স হাসপাতালে ও শারমিন আক্তারের শিশুসন্তান আল ফালাহ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর শাখারীদহ গ্রামের নাজমুল হকের স্ত্রী সীমা খাতুনের সন্তনও এখন মূমুর্ষ। তাকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার আল ফালাহ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাবেয়া হাসপাতালে একই দিন অপরেশন হওয়া দুই শিশুর মৃত্যু ও এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশের বিশেষ শাখা তৎপর হয়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক মালিক রানা জানান, তাঁদের ক্লিনিকে কোনো শিশুর মৃত্যু হয়নি। তবে পুলিশের ভাষ্য রাবেয়া হাসপাতালে সিজারের পরই শিশুদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম শুক্রবার রাতে জানান, ‘আমি বিএমএর একটি জরুরি মিটিংয়ে আছি। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলব।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে সিজারের পর দুই শিশুর মৃত্যু!

আপলোড টাইম : ১০:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার রাবেয়া হাসপাতালে সিজারের পর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে শহরের আল ফালাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ ডিএসবির একটি সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানায়, গত বুধবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পরমান্দপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাবনী, শৈলকুপার ফুলহরি কাজীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাস সেণ্টুর স্ত্রী শারমিন আক্তার ও হরিণাকু-ুর শাখারীদহ গ্রামের নাজমুল হকের স্ত্রী সীমা খাতুনকে সিজার করা হয়। সিজারের পরপরই সদ্য ভূমিষ্ট শিশুরা মূমুর্ষ হয়ে পড়ে। বেগতিক দেখে ক্লিনিকের মালিক তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কিন্তু শিশুর অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের প্রিন্স ও আল ফালাহ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত বৃহস্পতিবার লাবনীর সন্তান প্রিন্স হাসপাতালে ও শারমিন আক্তারের শিশুসন্তান আল ফালাহ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া হরিণাকুন্ডুর শাখারীদহ গ্রামের নাজমুল হকের স্ত্রী সীমা খাতুনের সন্তনও এখন মূমুর্ষ। তাকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার আল ফালাহ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাবেয়া হাসপাতালে একই দিন অপরেশন হওয়া দুই শিশুর মৃত্যু ও এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশের বিশেষ শাখা তৎপর হয়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক মালিক রানা জানান, তাঁদের ক্লিনিকে কোনো শিশুর মৃত্যু হয়নি। তবে পুলিশের ভাষ্য রাবেয়া হাসপাতালে সিজারের পরই শিশুদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম শুক্রবার রাতে জানান, ‘আমি বিএমএর একটি জরুরি মিটিংয়ে আছি। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলব।