ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে পেঁয়াজের জন্য হাহাকার!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯
  • / ৩১৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বাজারগুলো এখন পেঁয়াজের জন্য হাহাকার। বাইরের থেকে পেঁয়াজ না আসায় সংকট প্রকট হয়েছে। তাই গৃহস্থররা ইচ্ছামতো দাম হাকাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের বৃহত্তম মোকাম হচ্ছে শৈলকুপা ও কুষ্টিয়া এলাকার কিছু বাজার। কুষ্টিয়ার বাঁশগ্রাম, পানটি, রাজারহাট, শৈলকুপার সানদিয়াড়া, শ্বশ্মানের হাট, খুলুমবাড়িয়া, কাতলাগাড়ী, লাঙ্গলবাধ ও শেকড়া বাজারে প্রচুর পেয়াঁজ উঠছে। এতদিন ঘরে রাখা পেঁয়াজ গৃহস্থরা দাম বেশি পাওয়ায় বাজারে তুলছেন।
ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানান, তাঁরা আট হাজার টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কিনে ঝিনাইদহের হাটে বিক্রি করছেন। আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ শ টাকা। ঝিনাইদহের বড় ছোট বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হলেও খুচরা বাজারে বিক্রয় করছে ২০০ টাকা দরে। গত দুদিন আগেও শহরের নতুন হাট খোলা থেকে শুরু করে ঝিনাইদহ ট বাজার, ওয়াপদা বাজার, পুরাতন হাট খোলা, আরাপপুর কাঁচা বাজার, পাগলাকানাই কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজারে আগুন দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহ নতুন হাটখোলা থেকে কয়েকজন পেঁয়াজ ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বাজারে এটা একটা রেকর্ড হয়ে থাকবে।
ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, দেশ স্বাধীনের পর পেঁয়াজের এতো সংকট কখনো তিনি দেখেননি। তিনি বলেন, ‘ঝিনাইদহের বাজারে পেঁয়াজের এমন দাম দেখে আমরা হতাশ।’ এনিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে গৃহিনীরা পেয়াঁজের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেয়াঁজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। অনেকে বলেছেন ‘পেয়াঁজ এমন একটি পণ্য, যা বাজারে কাঁদাচ্ছে পুরুষকে, আর ঘরে পেয়াঁজ কাটতে গিয়ে কাঁদছে নারী।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে পেঁয়াজের জন্য হাহাকার!

আপলোড টাইম : ১০:৩৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের বাজারগুলো এখন পেঁয়াজের জন্য হাহাকার। বাইরের থেকে পেঁয়াজ না আসায় সংকট প্রকট হয়েছে। তাই গৃহস্থররা ইচ্ছামতো দাম হাকাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের বৃহত্তম মোকাম হচ্ছে শৈলকুপা ও কুষ্টিয়া এলাকার কিছু বাজার। কুষ্টিয়ার বাঁশগ্রাম, পানটি, রাজারহাট, শৈলকুপার সানদিয়াড়া, শ্বশ্মানের হাট, খুলুমবাড়িয়া, কাতলাগাড়ী, লাঙ্গলবাধ ও শেকড়া বাজারে প্রচুর পেয়াঁজ উঠছে। এতদিন ঘরে রাখা পেঁয়াজ গৃহস্থরা দাম বেশি পাওয়ায় বাজারে তুলছেন।
ঝিনাইদহের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানান, তাঁরা আট হাজার টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কিনে ঝিনাইদহের হাটে বিক্রি করছেন। আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২ শ টাকা। ঝিনাইদহের বড় ছোট বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি ১৮০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হলেও খুচরা বাজারে বিক্রয় করছে ২০০ টাকা দরে। গত দুদিন আগেও শহরের নতুন হাট খোলা থেকে শুরু করে ঝিনাইদহ ট বাজার, ওয়াপদা বাজার, পুরাতন হাট খোলা, আরাপপুর কাঁচা বাজার, পাগলাকানাই কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রয় করা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজারে আগুন দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহ নতুন হাটখোলা থেকে কয়েকজন পেঁয়াজ ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বাজারে এটা একটা রেকর্ড হয়ে থাকবে।
ক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, দেশ স্বাধীনের পর পেঁয়াজের এতো সংকট কখনো তিনি দেখেননি। তিনি বলেন, ‘ঝিনাইদহের বাজারে পেঁয়াজের এমন দাম দেখে আমরা হতাশ।’ এনিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে গৃহিনীরা পেয়াঁজের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেয়াঁজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নেটিজেনরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। অনেকে বলেছেন ‘পেয়াঁজ এমন একটি পণ্য, যা বাজারে কাঁদাচ্ছে পুরুষকে, আর ঘরে পেয়াঁজ কাটতে গিয়ে কাঁদছে নারী।’