ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে খালের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ, ফসলহানির শঙ্কা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:০৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুণ্ডু গ্রামে কাটার খাল এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালের মুখ বন্ধ করে ওই গ্রামে সহোদর লিয়াকত আলী খা ও আলাল খা মাছ চাষ করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। খালটি উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ তৈরি করতে জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।

জানা গেছে, সদর উপজেলার সাধুহাটি বিএডিসি ফার্ম, সাধুহাটি, নাথকুণ্ডু, মামুনশিয়া, রাঙ্গিয়ারপোতা, মাগুরাপাড়া, পোতাহাটি, বংকিরা, জিবনাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের পানিপ্রবাহ হত কাটার খাল দিয়ে। হঠাৎ করেই ওই খালের ওপর নজর পড়ে নাথকুণ্ডু গ্রামের প্রভাবশালী লিয়াকত আলী খা ও আলাল খা নামের দুই ভাইয়ের। তারা খালের মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করে। এতে করে খালের পানিপ্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকেরা তাদের ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে না।

নাথকুণ্ডু গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মোল্লা ও বংকিরা গ্রামের সবুজ বিশ্বাস জানান, খালের মুখ বন্ধ করে রাখার কারণে ২০ গ্রামের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমিতে পানি জমে থাকছে। ফলে আমন মৌসুমের আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন খালের মুখ বন্ধ করার খবর নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ জন্য তিনি সরেজমিন তদন্ত করবেন। তিনি বলেন, খালের মুখ খুলে না দিলে কৃষকরা চরমভাবে বিপদগ্রস্ত হবেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিন জানান, খালের মুখ বন্ধ করার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

ঝিনাইদহে খালের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষ, ফসলহানির শঙ্কা

আপলোড টাইম : ১২:০৬:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুণ্ডু গ্রামে কাটার খাল এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালের মুখ বন্ধ করে ওই গ্রামে সহোদর লিয়াকত আলী খা ও আলাল খা মাছ চাষ করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। খালটি উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ তৈরি করতে জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।

জানা গেছে, সদর উপজেলার সাধুহাটি বিএডিসি ফার্ম, সাধুহাটি, নাথকুণ্ডু, মামুনশিয়া, রাঙ্গিয়ারপোতা, মাগুরাপাড়া, পোতাহাটি, বংকিরা, জিবনাসহ প্রায় ২০টি গ্রামের পানিপ্রবাহ হত কাটার খাল দিয়ে। হঠাৎ করেই ওই খালের ওপর নজর পড়ে নাথকুণ্ডু গ্রামের প্রভাবশালী লিয়াকত আলী খা ও আলাল খা নামের দুই ভাইয়ের। তারা খালের মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করে। এতে করে খালের পানিপ্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকেরা তাদের ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে না।

নাথকুণ্ডু গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মোল্লা ও বংকিরা গ্রামের সবুজ বিশ্বাস জানান, খালের মুখ বন্ধ করে রাখার কারণে ২০ গ্রামের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমিতে পানি জমে থাকছে। ফলে আমন মৌসুমের আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন খালের মুখ বন্ধ করার খবর নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ জন্য তিনি সরেজমিন তদন্ত করবেন। তিনি বলেন, খালের মুখ খুলে না দিলে কৃষকরা চরমভাবে বিপদগ্রস্ত হবেন।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া জেরিন জানান, খালের মুখ বন্ধ করার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।